তথ্য-প্রযুক্তি
সাধ্যের মধ্যেই মিলবে অপো’র স্মার্টফোন
গাছের পাতার রং পরিবর্তন ও ফুরফুরে হাওয়ার মাধ্যমে শরত্কাল যেমন প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দেয়, তেমনি শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্টফোন টেকনোলজি কোম্পানি ‘অপো’ এর জনপ্রিয় ‘অপো এ১৭কে’ এবং ‘অপো এ৭৭’ স্মার্টফোনের দাম কমানোর এক দারুণ খবর নিয়ে এ মৌসুম শুরু করছে। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভাইসগুলোর মূল্যহ্রাস শুরু হওয়ার পর, ইউজাররা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে আরও সহজেই পাচ্ছেন তাদের হাতের নাগালে।
স্টাইলিশ এবং ফিচার-সমৃদ্ধ ‘অপো এ১৭কে’ স্মার্টফোনের আগের দাম ছিল ১৪,৯৯০ টাকা, যা কমিয়ে এখন ১৩,৯৯০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩-ওয়াট সুপারকিক চার্জিংয়ের জন্য বিখ্যাত ‘অপো এ৭৭’ এখন ১৯,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যার পূর্ব মূল্য ছিল ২০,৯৯০ টাকা। এই শরৎ-এক্সক্লুসিভ মূল্য সংশোধনের কারণে বাংলাদেশি ইউজাররা কোনো রকম আর্থিক চাপ ছাড়াই এই স্মার্টফোনগুলো উপভোগ করতে পারবেন।
‘অপো এ১৭কে’ স্মার্টফোনে এখন আরও আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেওয়া হয়েছে, যা উদ্ভাবনকে সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি অপো’র প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। উন্নত ফিচার এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অপো এ১৭কে’ কোনো রকম বিঘ্ন ছাড়াই একটি নিরবচ্ছিন্ন এবং সন্তোষজনক ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিবে। স্টাইলিশ বডির সঙ্গে ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি ৫০০০এমএএইচ এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি যা সারাদিনের ব্যাটারির পাওয়ার নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে। ফোনটিতে ৪ জিবি পর্যন্ত র্যাম বৃদ্ধির সুবিধাসহ হাই- ডিমান্ডিং অ্যাপগুলোও কম ল্যাগসহ নির্বিঘ্নে চালানো যাবে। এর সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক ফিচার নিরাপদ এবং দ্রুত ডিভাইস অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে, এবং এর আইপিএক্স৪ পানি নিরোধক প্রযুক্তি ডিভাইসে পানি ঢুকে তা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়। এক কথায়, ইউজাররা সাশ্রয়ী মূল্যে একটি বিশাল প্যাকেজ পাচ্ছেন।
বেশ হালকা ও নান্দনিক ডিজাইনের ‘অপো এ৭৭’ যেন ঠিক পকেট-সাইজের একটি শিল্পকর্ম। স্মার্টফোনটির ৩৩-ওয়াট সুপারকিক চার্জিং ক্ষমতার কারণে ইউজাররা চলাফেরার সময় তাদের সুবিধামতো ফোনে চার্জ দিতে পারে। এমনকি কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও স্পিকারের আল্ট্রা-ভলিউম মোড সঙ্গীতে নিমগ্ন হওয়ার আনন্দের অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তোলে। গেমিং বা কন্টেন্ট ব্যবহারের সময় ডিভাইসটির ৬.৫৬-ইঞ্চি কালার-রিচ ডিসপ্লে ইউজারদের প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে। ৫০ মেগা পিক্সেল এআই ডুয়াল ক্যামেরা পরিষ্কার, উচ্চ-মানের ফটোগ্রাফের গ্যারান্টি দেয়, যেখানে বোকেহ ডেপথ ক্যামেরা পোর্ট্রেটগুলিতে একটি প্রফেশনাল টাচ যোগ করে। অপো এ১৭কে এবং অপো এ৭৭ স্মার্টফোন এখন নতুন সামঞ্জস্য বা দামে বাংলাদেশের সকল অনুমোদিত অপো স্টোরগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে।
এএম/
তথ্য-প্রযুক্তি
ঘূর্ণিঝড়ে ৪৫ জেলার মোবাইল সেবা বিঘ্নিত
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশের ৪৫টি জেলার ৮ হাজার ৪১০টি মোবাইল অপারেটর সাইট অচল হয়ে পড়েছে। এর ফলে উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর মহাপরিচালক (ইঅ্যান্ডও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিটিআরসি মহাপরিচালক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকূলসহ বিভিন্ন জেলাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল অপারেটরদের সাইটগুলো থেকে দুর্যোগকবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে জনসাধারণের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত, দুর্যোগ জরুরি সেবা হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে উপকূলীয় জেলাসহ সব জেলায় বিদ্যুৎ প্রবাহ করে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন বিটিআরসি মহাপরিচালক।
আই/এ
তথ্য-প্রযুক্তি
বন্ধ হচ্ছে না ২৮ হাজার মোবাইল সেট: পলক
২৮ হাজার মোবাইল সেট বন্ধ করে দেয়া হবে তথ্যটি সঠিক নয়। আমাদের এ ধরনের কোন পরিকল্পনাও নেই। জানালেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমপি-মন্ত্রীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলো ভেরিফিকেশন প্রয়োজন। তবে কেউ চাইলে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। গ্রাহক সেবা সঠিকভাবে দিতে না পারলে, লাইসেন্স গাইডলাইনে যেসব সাজার বিধান আছে, তা মোবাইল কোম্পানিগুলোর ওপর প্রয়োগ করা হবে।
জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, দেশে বর্তমানে ১৭টি কারখানায় মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে মোবাইল গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখের বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৫ লাখ।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়ন।
টিআর/
তথ্য-প্রযুক্তি
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
গেলো ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এ সিদ্ধান্তগুলো হলো- ১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না ৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না ৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
টিআর/
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়7 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি