Connect with us

রাজশাহী

জমির পাট কেটে নিলো দুর্বৃত্তরা, বিচারের জন্য ঘুরছে কৃষক 

Avatar of author

Published

on

পাবনার সদর উপজেলার চরতারাপুরে কৃষকের দুই বিঘা জমির পাট কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও বিচারের দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও থানাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ঘুরছে ভুক্তভোগীরা।

আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পাবনার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।

এর আগে গেলো ১৬ সেপ্টেম্বর চরতারাপুর ইউনিয়নের আরিয়া গোহাইলবাড়ি মাঠে এঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রয়াত তোফাজানের উত্তরসূরীদের কাছ থেকে ১৯৯২ সালে শূন্য দশমিক ৬৬ একর জমি কেনেন আবুল হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে আবুল হোসেন ওই জমিতে কৃষি কাজ করে ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি সেই জমি নিজেদের দাবি করেন একই এলাকার মজিদ প্রামাণিক, শহিদ প্রামাণিক, ইকবাল প্রামাণিক ও তাদের লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় সালিশী বৈঠকও হয়। সেই সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই জমি দখলের চেষ্টা করেন মজিদ প্রামাণিকের লোকজন। চলতি মৌসুমে সেখানে পাটের আবাদ করেন আবুল হোসেনের ছেলেরা।

গেলো  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০-২৫ জন লোক জমিতে গিয়ে জোর করে পাট কাটেন। এতে বাধা দিলে ভুক্তভোগীদের হত্যার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পারভেজ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাট জমি থেকে না নেওয়ার নির্দেশনা দিলেও তাদের কথা অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে তারা পাট জমি থেকে রাতের আধারে নিয়ে যায়।

আবুল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাবনা সদর থানায় অভিযোগ করেছি। সবাই বিচারের আশ্বাস দিলেও ঘটনার ৭ দিনেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এবিষয়ে থানা পুলিশও এখন পর্যন্ত মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।’ সঠিক বিচারের দাবি করেন তিনি।

Advertisement

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মজিদ প্রামাণিক বলেন, ‘ওই জমি আমাদের বাপ-দাদাদের। ওরা ৪০ বছর ধরে আমাদের জমিতে যেতে দেয় না। এবার আমরা ওই জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। আমাদের জমিতে আমাদের পাট আমরা কেটে নিয়ে আসছি। চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, এ বিষয়ে মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু যারা পাট কেটে নিয়ে গেছে সেই আব্দুল মজিদরা আসেনি। এখন থানা পুলিশের কাছে বলেছি সমাধান করার জন্য। কাগজ যাদের জমি তাদের হবে।

এ বিষয়ে পাবনার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে একজন এসআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

Advertisement

জাতীয়

প্রার্থীর এজেন্টসহ প্রিজাইডিং অফিসার আটক, দুজনকে অব্যাহতি

Published

on

বগুড়ার গাবতলীতে রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাহিরে দেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটি বুথে জাল ভোট দেয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা ও ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।

মাঝপাড়া কুসুম কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আটকরা হলেন— প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী এবং এজেন্ট এরশাদ আলী। অপরদিকে, সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন— হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন গণমাধ্যমে জানান, প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সিলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাহিরে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন ভোটারের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বক্সে ফেলানো হয়। পরবর্তীতে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালটের মুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে, বগুড়া গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোটের অভিযোগ উঠে। সকাল ৮টা থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই এ তথ্য পাওয়া যায়।

Advertisement

অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন থেকে চার সারি পুরুষ ভোটার দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ওপরের ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে দেখা যায়, তাদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে ঘটনার সত্যতা পায়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

বগুড়ায় দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি

Published

on

অব্যাহতি

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দু’টি বুথে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ২ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা ১২টার দিকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এটিএম আমিনুর ইসলাম।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন, হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।

ওই কেন্দ্রে দেখা যায়, প্রায় তিন থেকে চার সারি পুরুষ ভোটার দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ওপরে ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে দেখা যায়, তাদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো।

পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ ঘটনায় ২ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে মোবাইল কোর্ট জানায়।

Advertisement

সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা জানান, ১০-১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাদের কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন তারা।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

রাজশাহীতে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নেই উপস্থিতি

Published

on

ভোটকেন্দ্রে

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ঘুরে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মনজেল হোসেন।

তিনি জানান, কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ভালো। তবে সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে।

জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই উপজেলার মোট ১৬৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫৫টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

এ দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এসব কেন্দ্রকে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা আছে। কেন্দ্রগুলোতে চারজন পুলিশ ও ১৬ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫ প্লাটুন ও তানোর উপজেলার ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি দুই উপজেলায় ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।

প্রথম ধাপে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৭টি, ভোট কক্ষ ৭১৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৭০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৯ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটার সংখ্যা ১ জন।

তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১টি, ভোট কক্ষ ৪২৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৩ জন। উপজেলার মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯৭ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৮৪ হাজার ২৬৬ জন।

গোদাগাড়ী উপজেলা রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনও ঘটেনি।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত