Connect with us

ঢালিউড

বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম স্টাইল আইকন

Avatar of author

Published

on

জাফর ইকবাল

বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের মধ্যে অন্যতম তিনি। শহুরে রোমান্টিক ও রাগী তরুণের ভূমিকায় দারুণ মানালেও সব ধরনের চরিত্রে ছিল তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। অভিনয়ের পাশাপাশি চমৎকার গান গাইতে পারা এ অভিনেতা বেশকিছু ছবিতে গায়ক চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো এ নায়কের নাম জাফর ইকবাল।

চিরসবুজ ও স্টাইলিশ নায়ক হিসেবে তার বেশ পরিচিতি। সময়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন তিনি। তার ফ্যাশন ধারণা অবাক করে দিয়েছিল আশির দশকের তরুণ-তরুণীদের। সিনেমার নায়কদের জন্য তিনি দেখিয়েছেন নতুন পথ। যার ফলে জাফর ইকবালকে বলা হয় বাংলাদেশের সিনেমার প্রথম স্টাইল আইকন।

শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, পাশাপাশি  জাফর ইকবাল ছিলেন একজন গিটারিস্ট এবং সংগীতশিল্পীও। জাফর ইকবালের বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন দেশের খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক। ছোট বোন কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ভাই-বোনের মতো জাফর ইকবালও ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গান দিয়ে। গায়ক হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান।

জাফর ইকবাল ও তার ভাই বোন

মাত্র ১৬ বছর বয়সে বন্ধু তোতা, মাহমুদ ও ফারুককে নিয়ে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন জাফর ইকবাল। সে ব্যান্ডের নাম ছিল ‘রোলিং স্টোন’। এরপর ভাই আনোয়ার পারভেজের হাত ধরে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম প্লেব্যাক ছিল ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’। সেই সময় গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এরপর কিংবদন্তি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী তাকে দিয়ে অসংখ্য সিনেমায় গান করিয়েছিলেন।

Advertisement

১৯৬৭ সালে বন্ধুদের নিয়ে ‘র‌্যাম্বলিং স্টোনস’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন জাফর ইকবাল। এই ব্যান্ডের হয়ে বহু কনসার্ট করেছিলেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো, কনসার্ট করতে গিয়েই তার নায়ক হওয়ার জার্নির শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে এক অনুষ্ঠানে তিনি যখন মঞ্চে গিটার বাজিয়ে গলা ছেড়ে গাইছেন, তখন দর্শক সারিতে বসা নন্দিত নির্মাতা খান আতাউর রহমান। স্টেজের সেই সুদর্শন তরুণের মাঝে তিনি দেখতে পান আগামীর চিত্রনায়ককে। তাই নিজের পরবর্তী সিনেমা ‘আপন পর’-এ জাফর ইকবালকে কাস্ট করেন। আর এভাবেই গায়ক থেকে নায়ক হয়ে ওঠেন জাফর ইকবাল।

জাফর ইকবাল

সিনেমায় গান গাইতে গাইতে নয়, কনসার্ট করতে গিয়েই তার নায়ক হওয়ার জার্নির শুরু। কনসার্টের দর্শক সারিতে বসা নন্দিত নির্মাতা খান আতাউর রহমান জাফর ইকবালের মধ্যে দেখতে পান আগামীর চিত্রনায়ককে। তাই নিজের পরবর্তী সিনেমা ‘আপন পর’-এ জাফর ইকবালকে কাস্ট করেন। আর এভাবেই গায়ক থেকে তিনি বনে যান নায়ক। ১৯৬৯ সালের এই সিনেমায় ববিতার সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এরপর একসঙ্গেএই জুটিকে প্রায় ৩০টি সিনেমায় দেখা যায়। ক্যারিয়ার শুরু করার এক বছর পরই দেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সেই সময় তিনি অংশ নিয়েছিলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে।

স্বাধীনতার পর পুনরায় সিনেমায় নিয়মিত হন জাফর ইকবাল। তার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য প্রথম সাফল্য আসে ১৯৭৫ সালে ‘মাস্তান’ সিনেমা দিয়ে। এই সিনেমা তাকে প্রথম সারির জনপ্রিয় নায়কে পরিণত করে। রোমান্টিক কিংবা কোনো টগবগে রাগী তরুণের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয় জয় করা এই অভিনেতা।

জাফর ইকবাল

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে জাফর ইকবাল দেড় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে—‘বাঁদি থেকে বেগম’, ‘সুর্য সংগ্রাম’, ‘দিনের পর দিন’, ‘অংশীদার’, ‘মেঘ বিজলী বাদল’, ‘আশীর্বাদ’, ‘মর্যাদা’, ‘নয়নের আলো’, ‘মিস লংকা’, ‘প্রেমিক’, ‘অপেক্ষা’, ‘যোগাযোগ’, ‘অবুঝ হৃদয়’, ‘বদনাম’, ‘গর্জন’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘অবদান’ ইত্যাদি।

আজ এ নায়কের জন্মদিন। ১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে ঢাকায় তার জন্ম।

Advertisement

শোনা যায়, তুমুল জনপ্রিয়তা আর সাফল্য পেলেও ব্যক্তিজীবনে অশান্তিতে ছিলেন জাফর ইকবাল। মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন অনিয়ন্ত্রিত জীবনে। মদ হয়ে যায় তার নিত্যসঙ্গী। যার ফলে আক্রান্ত হন মরণব্যাধি ক্যানসারে। নষ্ট হয়ে যায় তার হার্ট ও দুই কিডনি। নানা জটিল রোগে জর্জরিত হয়ে অবশেষে ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি মারা যান জাফর ইকবাল।

Advertisement

ঢালিউড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

Published

on

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের এক ঘনিষ্ঠজনের বরাতে জানা যায়, পরশু রাতে (২৩ জুলাই) বাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জুয়েলের। দ্রুত অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

চিকিৎসকের বরাতে ওই ঘনিষ্ঠসূত্রটি জানায়, সংগীতশিল্পী জুয়েলকে চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এই সময় গেলে জুয়েলের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থাকে সংকটাপন্ন বলেই অভিহিত করেন চিকিৎসকরা।

ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায় ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।

১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

Advertisement

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে জেমসের শোকবার্তা

Published

on

সংগীতাঙ্গন যেন কালো মেঘে ঢেকে গেছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদে। ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টার হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘মাইলস’ খ্যাত এই গায়ক। তার চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা বাকরুদ্ধ। শোক ছুঁয়েছে নগরবাউল জেমসকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন জেমস। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে শাফিন আহমেদের গাওয়া গানের কয়েকটি লাইন তুলে দিয়ে জেমস লিখেছেন, ‘চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি, নও পাহাড়ি ঝর্না/ যদি বলি ফুল তবুও হবে ভুল/ তোমার তুলনা হয় না।’

এরপর নগরবাউল লিখেছেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলাদেশের মাইলস ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রতি। শোকস্তব্ধ দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আসুন আমরা সকলে তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। শো’য়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু আর ফেরানো গেল না তাঁকে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তানজিন তিশার সহকারী

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আলামিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে আলামিনকে নিয়ে তিশা লেখেন, ‘কিভাবে শুরু করব জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন। কিন্তু ও কিন্তু আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সাথেই থাকে আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কি লাগবে, আপু কি খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানতো আর দেখত।’

তিশা আরও লিখেছেন, ‘আলামিন, সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকত। আমার কত প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাব, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকতো। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কত বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকতো আবার একটু পর ঠিকই বুঝাতাম। একটা না দুই দুইটা গুলি কি করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’

সবশেষে তিশা লিখেছেন, ‘আলামিন কোনো দল অথবা কো্নোকিছুর সাথে জড়িত ছিল না। ওর বিগত ৪ বছর জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে। ওর জীবনে কোন পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

এসআই/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত