Connect with us

পরামর্শ

শিশুদের হার্টে ছিদ্র কেন হয়, লক্ষণ কী

Avatar of author

Published

on

মানুষে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র থাকা মূলত একটি জন্মগত ত্রুটি। সাধারণত গর্ভাবস্থায় শিশুর হৃৎপিণ্ডের বিকাশজনিত সমস্যা কারণে এই ছিদ্র দেখা দিতে পারে।

বাংলাদেশ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের করা সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গিয়ে, দেশটিতে প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে আট থেকে নয়জন এই হৃদপিণ্ডের ছিদ্রজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে।

লক্ষণ

শিশু বড় হতে থাকলে তাদের ছুটোছুটি বাড়ে। এতে হার্টের ওপর চাপ বাড়ে। তখন লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।

হার্টের এ ছিদ্র ছোট-বড় হওয়ার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো কেমন হবে।

Advertisement

যদি ছিদ্র ছোট হয়, তাহলে শিশু জোরে জোরে শ্বাস নেয়, ঘন ঘন কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয় এবং শ্বাসনালীতে ইনফেকশন বা নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

তার সম বয়সী অন্য শিশুদের মতো পরিশ্রম করতে পারে না। সামান্য খেলাধুলা বা ছোটাছুটি করলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীর দুর্বল লাগে, ক্লান্তিতে ঝিমিয়ে পড়ে।

অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা এরিথমিয়া, ছিদ্র দিয়ে রক্ত প্রবাহের কারণে হার্ট থেকে মারমার জাতীয় শব্দ বের হয়। বুক ধকধক করতে থাকে, অনেক সময় খালি চোখে বুকের মাংসপেশির লাফানো দেখা যায়।

সব সময় জ্বর বা অসুস্থতা থাকে। খেতে পারে না, ক্ষুধামন্দা। খাওয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে যায়, কান্নাকাটি করে বা অল্পতেই ঘামতে থাকে। কান্নার সময় দম আটকে যাওয়া। শারীরিক বৃদ্ধি দেরিতে হওয়া, বয়সের সাথে ওজন না বাড়া।কাজে বা পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না। পা, পায়ের পাতা ও পেট ফুলে যায়।

শিশুর হার্টে ছিদ্র কেন হয়

Advertisement

শুরুতেই বলা হয়েছে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র হওয়া একটি জন্মগত ত্রুটি। অর্থাৎ শিশু হার্টে ছিদ্র নিয়েই জন্মায়। বাহ্যিক কোন কারণে হার্টে ছিদ্র হওয়ার নজির নেই।

মাতৃগর্ভে শিশুর হৃৎপিণ্ড একটি নল থেকে বিকশিত হয়, এরপর সেটি চারটি প্রকোষ্ঠে ভাগ হয়। সেই প্রকোষ্ঠের দুটি অংশ আলাদা করতে পর্দা গড়ে ওঠে।

জেনেটিক সমস্যা যেমন: ডাউন সিনড্রোম থাকলে শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে।

সেইসাথে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে যদি মায়ের রুবেলা হয় তাহলে শিশুর হার্টে ছিদ্র বা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ে।

মায়ের যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে। গর্ভকালীন মায়ের ভাইরালজনিত ইনফেকশন হলে। মা গর্ভকালীন অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগলে।

Advertisement

সেইসাথে মায়ের মদ ও তামাক জাতীয় পণ্য খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এবং বিভিন্ন মাদক সেবনের কারণেও এমনটা হতে পারে।

এছাড়া গর্ভবতী থাকাকালীন মা যদি খিঁচুনি প্রতিরোধী ওষুধ, কোলেস্টরেল কমানোর ওষুধ, ব্রণের ওষুধ এবং মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। সেটিও শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়া কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াও শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে।

যদি ছিদ্র বড় হয়, তাহলে উপরের সমস্যার পাশাপাশি শিশু উচ্চ-রক্তচাপে ভোগে। ফুসফুসে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহের অভাবে অক্সিজেন স্বল্পতায় অনেক সময় শিশুর ঠোঁট, জিহ্বা নীল হয়ে ওঠে।

এ ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

পরামর্শ

যে নিয়মে পানি পানেই ঝরবে ওজন, আরও যা লাভ শরীরের

Published

on

ওজন বেড়ে গেলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। ওজন না কমলে যে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধবে। ওজন ঝরাতে বিভিন্ন রকম ডায়েট করতে শুরু করেন কেউ কেউ। কিন্তু কেবল পানি পানেই ওজন ঝরানো যায়, সেটা জানেন কি? পুষ্টিবিদেরা একে বলেন ‘ওয়াটার ফাস্টিং’। ওজন ঝরাতে এই পন্থা বেশ কার্যকর।

এই উপবাসে পানি ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনাকে কেবল পানি পান করেই পেট ভরাতে হবে। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। ওই নির্দিষ্ট সময়ে কোনও খাবার শরীরে যায় না, তাই শরীরে কোনও ক্যালোরিও ঢুকতে পারে না। অন্য কোনও ডায়েট করলে শরীরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্যালোরি কম ঢোকে। তবে এই ডায়েটে শরীরে কোনও ক্যালোরিই যায় না। দীর্ঘ দিন এই উপোস করলে চলবে না। কারণ, কাজকর্ম চালানোর জন্য শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। অল্প সময়ে এই উপোস করলে তবেই শরীরে বিপাকহার বাড়বে, শরীর চাঙ্গা হবে।

কীভাবে করতে হবে?

পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এই উপোস না করাই ভালো। উপোস শুরু করার দিন চারেক আগে থেকে খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। প্রথমে এক দিন করে শুরু করুন উপোস। ধীরে ধীরে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত করতে পারেন এই উপোস। তবে সাবধান, এর বেশি কিন্তু উপোস করা চলবে না। এই উপোসে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। উপোস চলাকালীন খুব বেশি পরিশ্রম করা যাবে না। শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি হয় এই সময়ে, তাই অল্প কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।

ওজন হ্রাস ছাড়া এই ডায়েট করলে কী কী উপকার হয়?

Advertisement

১. শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমা হলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির কার্যকারিতা কমে যায়। পানি পান উপোস করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।

২. শরীরের কোষগুলির উপর ইনসুলিনের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এই উপোস করার আগে ডায়াবিটিসের রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

৩. শরীরে লেবটিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন খিদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে পানি পান করে উপোস করলে খিদে কম পাবে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যাবে। ওজন বশে থাকবে।

৪. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপোস করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. পানি পান করে থাকলে শরীর কিটোসিস পর্যায়ে চলে যায়। কিটোসিস পর্যায়ে স্নায়ুর কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

কিছু মানুষ কেন বার বার প্রেমে পড়েন?

Published

on

মানুষের জীবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে আবেগ, উত্থান, পতন, চাওয়া পাওয়া বা ভালোবাসা। ‘প্রেম’ তেমনই একটি শব্দ। তবে মানব প্রেম বৈচিত্রময়। এই প্রেম কখনো সুখের হয়ে আসে, আবার কখনো সব ছিন্নভিন্নও করে দিতে পারে। আবার কখনও সে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী, কখনও ক্ষণস্থায়ী হয়। ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে প্রেমের গভীরতা কেমন হবে। কিন্তু প্রেমের সাথে বিজ্ঞানের যোগসুত্র কী আদৌ আছে…?

বহুদিন ধরেই এই বিষয় নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হচ্ছে। উপাত্তে দেখা গেছে, প্রেমে পড়ার জন্য বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত তকমা খুব একটা কাজ করে না। কিন্তু গবেষণায় বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে মোটা দাগে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত প্রেম, দ্বিতীয়ত শুধু যৌন সম্পর্ক, তৃতীয়ত যৌন কর্মের উদ্দেশ্যে প্রেম করা এবং চতুর্থ জীবনসঙ্গীর বিকল্প সঙ্গী খুঁজে ফেরা।

মুশকিল হলো বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক যিনি করেন, গবেষণা বলছে, তিনি শেষ পর্যন্ত বিষণ্নতায় ভোগেন এবং কথা রাখতে পারেন না। এক্ষেত্রে তার সঙ্গী, যিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন না, তার কাউন্সেলিংয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ তিনি প্রতিমুহূর্তে অনুভব করেন, ভয়ংকরভাবে তিনি প্রতারিত হচ্ছেন। আবার দেখা গেছে, যেসব পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান, তাদের মধ্যে মাদক ব্যবহারের প্রবণতা এবং দাম্পত্যে যৌন অতৃপ্তির প্রবণতা বেশি থাকে।

ফলে এ ধরনের দম্পতি যখন কাপল কাউন্সেলিংয়ে আসেন, তখন দেখা যায়, তাদের অনেকেই হীনম্মন্যতা এবং অনৈতিক ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। সময়মতো কাপল কাউন্সেলিং না নিলে প্রতি তিনটির মধ্যে একটি দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যান। কিন্তু আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপিকে উপযুক্ত চিকিৎসা বলে গণ্য করা হয় না। গবেষণা বলছে, দাম্পত্য কলহ যদি অবিশ্বস্ততা বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য হয়, তবে এটি দাম্পত্যের ভোগান্তির কারণ হিসেবে বেশি ভূমিকা পালন করবে।

মনে রাখতে হবে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গোপন থাকে না। আর কেউ না জানুক জীবনসঙ্গী ঠিকই টের পাবেন। হয়তো কারও সময় বেশি অথবা করও কম লাগে। ধরা পড়ার পর মিথ্যা বলে নিজেকে সঠিক বলে দাবি না করে যখন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করা হয়, তখন পরস্পরের খোলামেলা আলোচনায় নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে ভালো ফলও পাওয়া যায়। দেখা গেছে, এতে দাম্পত্য কলহ কমে যায়। কিন্তু এই বদলানোর প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ নিজেকেই করতে হবে। কারণ, আমরা আসলে নিজেকে ছাড়া কাউকেই বদলাতে পারি না। তাই জীবনসঙ্গীর কাছে সততার সঙ্গে সব স্বীকার করে নেয়াটাই উত্তম। কারণ, একটা মিথ্যা ঢাকার জন্য শেষ পর্যন্ত কয়টা মিথ্যে বলতে হয়, তার কোনো হিসাব থাকবে না। মিথ্যা কখনো না কখনো ধরা পড়বেই।

Advertisement

কাপল থেরাপিতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ, কাপল থেরাপিতে তিনটি পর্যায়ে কাজ করতে হয়। আচরণ, চিন্তা এবং আবেগের জায়গাকে একই সুতোয় গাঁথা সহজ কথা নয়। ফলে কাপল থেরাপিতে সময় লাগে।

অনেকেই দু–তিনটি সেশনের পরই অস্থির হয়ে যান। তারা মনে করেন, থেরাপিস্টের কাছে কোনো জাদুর ছড়ি আছে, যেটা তিনি ঘুরিয়ে দিলে সহজেই যা চাচ্ছেন, তা পেয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে বলতে পারি, থেরাপিস্ট কাপলকে সম্পর্কে বিদ্যমান জটগুলো দেখিয়ে দেবেন। কোন জট আগে খুলবেন, সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে যারা এসেছেন, তাদের ইচ্ছা শক্তির ওপর। এ জন্যই কাপল থেরাপিতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। মাসের পর মাস তো বটেই, বছরও পেরিয়ে যেতে পারে। ফলে দুদিনে নিরাময় হয়ে যাবে এই চিন্তা করে এলে ভুল করবেন।

রবীন্দ্রনাথের কথায় বলতে পারি, ‘লোকে ভুলে যায়, দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নূতন করে সৃষ্টি করা চাই। ’ দাম্পত্য সম্পর্কে ঢোকার আগে প্রেমিক যুগলের মধ্যে বাস করে তীব্র রহস্য! দাম্পত্যে সেই রহস্য ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে। আর এর পরিণতিতে পরস্পরের প্রতি অনাগ্রহ জন্ম নেয়। একজন আরেকজনকে ভালোবাসতে ভুলে যান।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মানুষের বহু প্রেমে পড়ার কারণ হল একাকীত্ব। কেননা মানুষ একা হয়ে পড়লে সে তার জীবনে সবচেয়ে ভালো কিছুটাই খোঁজে। ভালো সঙ্গী খুঁজে নিতে বহুপ্রেমে পড়ে। এছাড়াও মানুষ বেশিরভাগ সময় তার পরবর্তী সম্পর্কে প্রবেশ করে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি এড়াতে চায়। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রেমকেই ভুল বলে মনে হতে পারে। এ কারণে তারা সেই প্রেম ভেঙে নতুন প্রেমে জড়ায়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

হালকা ক্ষুধা মেটাতে বিভিন্ন ধরণের বাদাম এবং বীজ খাওয়ার উপকারিতা জানুন

Published

on

বাদাম বা বীজের মধ্যে নানা ধরণের ভিটামিন, খনিজ ও ভাল মানের ফ্যাট রয়েছে। তাই এই জাতীয় খাবারকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। কারণ বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।

২৪ ঘণ্টায় শরীরের জন্য গ্রহণ করা তিনটি ভারী খাবারের মাঝে হালকা খিদে মেটাতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খাওয়া যেতে পারে। মুড়ি, চিঁড়ে কিংবা তেলে ভাজা মুখরোচক খাবারের চাইতে বিকল্প খাবার হিসেবে দারুণ পুষ্টিকর এই বাদাম এবং বীজ।

রোজকার ডায়েটে এই ধরণের খাবার রাখার পরামর্শ দেন স্বয়ং পুষ্টিবিদেরা। সকালের নাস্তার সঙ্গে কিংবা বিকেলে অল্প খিদে মেটাতে এই জাতীয় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। কারণ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা বীজের মধ্যে হরেক রকম ভিটামিন, খনিজ, ভাল মানের ফ্যাট রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে।

চলুন জেনে নেই নিয়মিত বাদাম এবং বীজ খাওয়ার উপকারিতা:

১) নিয়মিত একমুঠো বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবার খেলে হার্ট ভাল থাকে। কারণ, বাদাম এবং বীজে রয়েছে সুষম ফ্যাট, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

২) বাদাম এবং বীজের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই বাদাম এবং বীজ, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা তো করেই, সেই সঙ্গে সামগ্রিক সুস্থতায়ও ভূমিকা রাখে।

৩) বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। ফলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। পুষ্টিকর খাবার খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি ভাল উপায় হতে পারে এটি।

৪) বাদাম এবং বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। তাই এই ধরনের খাবার গ্রহণের পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ডায়াবেটিক আক্রান্তদের জন্যও খাবার’টি নিরাপদ।

৫) বাদাম এবং বীজের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতেও সাহায্য করে। ফলে স্নায়ুর বয়সজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে এই উপাদান।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত