Connect with us

রংপুর

কীটনাশক দিয়ে পুকুরের আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন

Avatar of author

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কীটনাশক দিয়ে মাছ চাষি দুই ভাইয়ের পুকুরের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত খবর আলির ছেলে লুৎফর রহমান ও মতিয়ার রহমান প্রতিবেশী জোগেন্দ্র নাথের দুই বিঘা আয়তনের একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। এ বছর তারা ওই পুকুরে দেড় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ছাড়েন। মাছগুলো বিক্রির উপযুক্ত হলে সোমবার দিবাগত রাতে পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে। সকালে ঘুম থেকে জেগে লুৎফর রহমান দেখেন পুকুরের মাছ মরে ভেসে আছে। পরে সকাল ৯ টার দিকে জাল নিয়ে এসে প্রায় ত্রিশ মন মরা অর্ধগলিত মাছ পুকুর থেকে তোলা হয়। আরও প্রচুর পরিমাণ মাছ স্থানীয়রা তুলে নিয়ে যায়।

মাছ চাষি লুৎফর রহমান ও মতিয়ার রহমান জানান, রাতের আধারে কে বা কাহারা শত্রুতা করে আমাদের এমন ক্ষতি করল আমরা জানি না। আমাদের দুই ভাইয়ের সমস্ত বিনিয়োগ ধূলিসাৎ হয়ে গেল। আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেলাম।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুল হক জানান, পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি পুকুরের সমস্ত মাছ মরে ভেসে আছে। স্থানীয় লোকজন মাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। পরে জাল নিয়ে এসে প্রায় ত্রিশ মন এর মত মাছ তোলা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য আড়াই লক্ষাধিক টাকা। তবে বেশিরভাগ মাছ পচা বিক্রির অযোগ্য হওয়ায় সামান্য কিছু মাছ বিক্রি করে জাল ভাড়া করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুই মৎস্য চাষিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

এএম/

Advertisement

রংপুর

কুড়িগ্রামে কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় তিন লাখ গবাদি পশু

Published

on

আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশের উত্তরের সীমান্তঘেষা জেলা কুড়িগ্রামে  কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৩ লাখ গবাদি পশু। চলতি মাসের ৫ জুন বুধবার থেকে জেলার প্রতিটি হাট-বাজরে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু কেনা-বেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবারে কোরবানি ঈদে গরু ছাগল ও ভেড়া মিলে কোরবানির পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার। এর বিপরীতে ফুলবাড়ীতে ৩৭ হাজার গবাদিপশুসহ ৯ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ গবাদিপশু পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার এবং  ১ লাখ ৬৪ হাজার ছাগল ও ভেড়া পালন করা হচ্ছে।

খামার ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে এসব পশু পালন করা হচ্ছে। প্রয়োজন মিটিয়ে ৬৪ হাজারের বেশি পশু অতিরিক্ত থাকবে জেলায়। এসব পশু বিক্রি করা হবে।

তবে খামারিরা আশঙ্কা করছে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করায় অনেকের লোকসান গুণতে হবে। এ জন্য তারা চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে ২৭৮ কিলোমিটার  সীমান্তবর্তী জুড়ে কঠোর নজরদারির অনুরোধ জানিয়েছেন খামারিরা।

Advertisement

অধিকাংশ খামারিরা জানান, ভালো দামের আশায় কোরবানির পশু লালনপালন করেছেন তারা। বাজারে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দাম। হাটে ভালো দামে গরু বিক্রি করে হাতে বাড়তি টাকা আসলে নিজেকে সফল মনে হয়। এ ছাড়া যদি ভারতীয় গরু সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করলে বাজার গরুর দাম ভালো পাওয়া যেত। এতে সব খামারিরা লাভবান হবেন। আর দেশীয় খামারিদের রক্ষায় ভারতীয় গরু যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করে এবং গো-খাদ্যের কমানোর দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট এলাকার খামারি নেওয়াজ শরিফ শিমুল জানান, ভালো দামের আশায় কোরবানির পশু লালনপালন করেছি। আগে গো -খাদ্যের দাম কম ছিল লাভ অনেক বেশি হয়েছে। কিন্তু বাজারে গো- খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাই এখন লাভ কম হচ্ছে খামারিদের। এই খামারিকে ভারতীয় গরু আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন ভারতের গরু টুকটাক আসলেও আমাদের খামারিদের কোন প্রভাব পড়বে না। এ বছর দামও ভালো দেখা যাচ্ছে। তার খামারে মোট গরু ৩৩ টি রয়েছে । এর মধ্যে বড় ষাড় টি ও ছোট ষাড় ৫ টি। বাকিগুলো গাভী ও ছোট ছোট বাছুর।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান কনক জানান, খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। উন্নয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে তারা যেন গরু উৎপাদন করতে পারেন। এবার কোরবানির ঈদে উপজেলায় ১২ হাজার ১৯৭  টি গরু ও মহিষ এবং ২০ হাজার ৩৫০ টি ছাগল ও ভেড়া লালনপালন করা হয়েছে। সর্বমোট প্রাপ্যতা ২৪ হাজার ৫৭৮ টি ও চাহিদা ২১ হাজার ৭৭০ টি ও উদ্বৃত্ত আছে ১৪ হাজার ৫৭৮ টি বলে জানান প্রাণিসম্পদ বিভাগের এ কর্মকর্তা।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম জানান, এ উপজেলার পশুরহাটগুলোতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। সেই সাথে পাঁচারকারীরা যাতে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবি সীমান্তে টহল জোড়দার অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে সাড়ে ৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ

Published

on

কুড়িগ্রামে সরকারি উন্নয়নকাজে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি মালিকানায় ভোগদখলকৃত ৮৬টি পরিবারের ভূমি অধিগ্রহন বাবদ ৫ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ১৭০ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৫টায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান হাবীব নীলু, হুমায়ুন কবির সূর্য, একরামুল হক সম্রাট প্রমুখ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায় জানান, নাগেশ্বরীতে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য একজনের শূণ্য দশমিক ০৫৬১ একর জমির ক্ষতিপূরণের জন্য ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩১০টাকা, ভূরুঙ্গামারীতে কাস্টমস ভবণ নির্মাণের জন্য একজনের শূন্য দশমিক ০৫০০ একর জমির ক্ষতিপূরণের জন্য ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬২৭টাকা, উলিপুরে অনন্তপুর ও কুড়িগ্রামের সারেডোবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের জন্য ৯ জনের শূন্য দশমিক ৭৯৫ একর জমির ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণের জন্য ১ কোট ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫২০ টাকা, দাসেরহাট থেকে সোনাহাট স্থলবন্দরের বাইপাস রাস্তা নির্মাণের জন্য ১০ জনের শূন্য দশমিক ৯৭৩ একর জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ কোটি ২৭ লাখ ৮২ হাজার ৭৭১ টাকা এবং চিলমারীতে নদীবন্দর নির্মাণের জন্য ১৫ জনের শূন্য দশমিক ৩২১৭ একর জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯৮ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৩টাকার চেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ করা হলো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, সরকারি উন্নয়ন কাজে চিলমারীতে নদীবন্দর কাজ সম্প্রসারণ, সদর উপজেলার সারডোব ও উলিপুরের অনন্তপুরের শ্যামপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, পলাশবাড়ী ও মাধবরামে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, নাগেশ্বরীতে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ এবং ভূরুঙ্গামারীতে কাস্টমস ভবন নির্মার্ণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৬ জনকে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ১৭০ টাকার চেক বিতরণ করা হলো।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

স্ত্রীর গলাকেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

Published

on

রংপুর

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ জুন) বিকেলে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর বাজারের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গেলো মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূ শুকতারা বেগমের (৩৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

রংপুর,-স্ত্রীর-গলাকেটে-হত্যা

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে শুকতারার সঙ্গে বল্টুর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

বল্টুর মা ও তার ছেলে রংপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে বল্টু একা বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর দীর্ঘসময় ধরে শুকতারা বাড়ির বাইরে বের না হওয়ায় প্রতিবেশীরা তার খোঁজে ঘরে ঢুকে বিছানায় গলা ও হাতকাটা অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টু মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি আলমবিদিতর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনছুর আলী সরকারের নাতি।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত