মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে চরঝাপটা এলাকা থেকে নৌ-বাহিনীর উদ্ধারকারী দল একটি মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি ওই ঘটনায় নিখোঁজ সাব্বিরের বলে শনাক্ত করেছে স্বজনরা।
এর আগে একইদিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এই ঘটনায় নিখোঁজ জান্নাতুল মারওয়া নামে ৮ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৩ শিশু।
তারা হচ্ছে- মফিজুলের দুই মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬), জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) ও সাব্বিরের ছেলে ইমাত (২)। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখা হলেও রোববার সকাল ৬ টা থেকে পুনরায় সমন্বিত উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিটিএ ও নৌপুলিশ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, উত্তাল মেঘনায় তীব্র স্রোত রয়েছে এবং পানির গভীরতা অনেক বেশি। এ কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ চিরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটের অদূরে গজারিয়ার মেঘনা নদীতে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় আনন্দ ভ্রমণের ট্রলার। এতে নিখোঁজ হয় ৬ জন। শনিবার সকালে সুমনা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ ও রোববার সকালে জান্নাতুল মারওয়া ও পরে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।