ফেনীতে বসতঘরে আগুন লেগে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। গ্রেপ্তারকৃত মামলার প্রধান আসামি ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম মধু গ্রামের আবু আহমেদের ছেলে আবদুল আজিম ও ফেনীর মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মায়া বেগম।
শনিবার (৭ অক্টোবর) গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জানিয়েছেন র্যাব-৭-এর কোম্পানির অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ফেনীতে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পূর্ববিরোধের জেরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে তাদের হত্যা করা হয় বলে দাবি স্বজনদের। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।
মৃত দুই শিশু হলো, ফকির বাড়ির মুহাম্মদ রনির ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাত ও রাহাদুল ইসলাম গোলাপ। শাহাদাত সপ্তম আর গোলাপ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহতের স্বজনরা জানায়, রাতে খাবার খেয়ে রনি ও তার স্ত্রী পলি আক্তার এক রুমে আর তাদের দুই সন্তান মাইদুল ও রাহাদুল পাশের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে দুই সন্তানের রুমে আগুন লাগে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে শাহাদাতের মরদেহ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয় আর তাদের ছোট ছেলে গোলাপকে খাটের নিচ থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সেও মারা যায়।
এদিকে পূর্ব বিরোধের জেরে পেট্রোল ঢেলে পাশের বাসার প্রতিপক্ষরা আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সন্তানদের শোকে বারবার জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে মা পলি আক্তার।
নিহত দুই শিশুর বাবা রনি বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি আর আনোয়ার তাদের এক স্বজনের মরদেহ দাফন করতে গেলে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।