Connect with us

আওয়ামী লীগ

কোলে করে কেউ ক্ষমতায় বসাবে না: তথ্যমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে প্রমাণ হয়, এতোদিন পরে তাদের উপলব্ধি হয়েছে যে, কোলে করে কেউ ক্ষমতায় বসাবে না এবং যারাই নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের সবার ক্ষেত্রে ভিসানীতি প্রযোজ্য হবে, সেটিও মির্জা ফখরুল সাহেব বা বিএনপি বুঝতে পেরে কর্মীদেরকে বলেছেন- আন্দোলন করতে হবে। তাদের এই উপলব্ধি ভালো। বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত শ্বেতপত্র ‘হোয়াইট পেপার অন ক্রাইসিস অব ইস্ট পাকিস্তান’ পুণ:মুদ্রণের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের আগের উৎফুল্ল ভাব এখন আস্তে আস্তে ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে এবং কেউ তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিরও অনেকেই অংশগ্রহণ করবে, তৃণমূল বিএনপিতে তো ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিএনপি নেতা যোগদান করেছেন।

হাছান মাহমুদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথ পরিহার করে নির্বাচনে আসার জন্য, বাস্তবতা বিবর্জিত না হয়ে বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটার জন্যই বিএনপি’র প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করলো সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ নেয়নি কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ সেখানে ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি আসে তাদের আমরা স্বাগত জানাই, আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু না আসলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।

Advertisement

নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্তই গ্রহণ করতে পারেন। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করা হয়নি। যে সরকার ছিলো সেই সরকারই দায়িত্ব পালন করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল শনিবার দেশে এসেছে, এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি তো ভালো। কারণ বিদেশিদের আগ্রহ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে, আমাদের উন্নয়নে, সব জায়গায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক আছে। তাদের যে প্রতিনিধি দল এসেছে, আমি মনে করি সেটি ভালো।

এর আগে পুণ:মুদ্রিত শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচনকালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ‘ইস্ট পাকিস্তান ক্রাইসিস’ শিরোনামে যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিলো সেটি পড়লেই বোঝা যাবে যে, আসলে মুক্তিযুদ্ধে কে নেতৃত্ব দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ কাকে ঘিরে হয়েছে। এই শ্বেতপত্রের কোনো জায়গায় জিয়াউর রহমানের নাম নেই। অথচ এ দেশে খলনায়কদের নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই শ্বেতপত্রে পাকিস্তান সরকার আগাগোড়াই বঙ্গবন্ধুকে অভিযুক্ত করেছে এবং আরো কিছু কিছু নেতৃবৃন্দের নাম এসেছে, যারা আওয়ামী লীগ নেতা এবং জাতীয় নেতা হিসেবে সমাদৃত। ঠিক ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত সহায়ক একটি প্রকাশনা এবং এটি পুণ:মুদ্রণের জন্য চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই।

Advertisement
Advertisement

আওয়ামী লীগ

ওলামা লীগে চাঁদাবাজের স্থান নেই: কাদের

Published

on

ওলামা লীগে চাঁদাবাজের স্থান নেই। ধর্মের নামে ধর্ম ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলবেন, এই রকম লোকের আমাদের দরকার নেই। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগের ইতিহাস আমাদের জন্য খুব সুখকর নয়। অতীতে যা দেখেছি কার সঙ্গে কারো মিল নেই। নেতায় নেতায় বিবেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থি সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ উচ্চারণ করবে সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিবেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে গঠন করতে হবে। কোন টাউট বাটপার যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যেখানে সম্মেলন সেখানেই কমিটি করতে হবে। দেরি হলে কলহ বাড়ে, মতভেদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে কমিটি অনিশ্চয়তা পড়ে যায়। আমাদের দলের শৃঙ্খলা মেনে ওলামা লীগ করতে হবে। দলের বিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে কেউ রেহাই পাবে না।

টিআর/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে : কাদের

Published

on

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যা খুশি তা–ই বলেন, ফ্রি স্টাইলে। এর বাস্তবতা নেই। তাঁরা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ৪২ শতাংশ যদি ভোট দেয়, তাহলে ভোটাররা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করল কেমন করে? বললেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকজনই ভোট দিতে যায়নি। বিএনপি নেতাদের এ দাবি সত্য নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশের বেশি। তাঁরা কি এদেশের মানুষ নন?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলন করার অধিকার আছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবে। আর যদি আন্দোলন রূপ নেয় আগুন–সন্ত্রাসে, যে চেহারা তারা অতীতে দেখিয়েছে, তাহলে সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রো রেলের ব্র্যান্ডিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

ওয়েবসাইট থাকতে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকবে কেন, প্রশ্ন কাদেরের

Published

on

পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন? প্রশ্ন করলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি। ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের যে প্রবণতা। এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

Advertisement

টিআর/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত