জাতীয় পার্টি
‘সব দলকে কীভাবে নির্বাচনে আনা যায়, জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। এজন্য আলোচনা করতে সরকারের সম্মতি দরকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কীভাবে সব দলকে আনা যায়, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। বলেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে বৈঠক করে তারা। সেসময় এ বিষয়ে দলটির মতামত জানতে চান মার্কিন প্রতিনিধিরা।
জি এম কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। এজন্য আলোচনা করতে সরকারের সম্মতি দরকার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজি না হলে তা ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেয়ার প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করব আমরা। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেব না- এমন কথা কখনও বলিনি। পরিস্থিতি বুঝে উদ্যোগ নেবে দল। এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখনও সংকট কাটেনি। বিএনপি ভোট বর্জন করে আন্দোলন করলে সহিংসতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা জানতে চেয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
জি এম কাদের বলেন, নির্বাচনে কোন কোন ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়, তা জানতে চেয়েছে ইউএস প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। সেটা কীভাবে রোধ করা যায়, সেই বিষয়েও আমাদের মতামত নিয়েছে তারা। অতীতে কখন কীভাবে ভোট হয়েছে তাও জেনেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে জাতীয় পার্টি। পরে তারা জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভূমিকা থাকবে না। দেশে ফিরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন সরকারকে অবহিত করবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাসরুর মওলা, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এবং সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল।
এএম/
জাতীয় পার্টি
আওয়ামী লীগ জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে : জিএম কাদের
আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন সেগুলো জনগণ আর বিশ্বাস করে না। বললেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে কাদের এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগে গাছের মতো ছিল। যেখানে জনগণ আশ্রয় নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সামনের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। আর সেজন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
তিনি দাবি করেন, দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই, প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে
প্রসঙ্গত, এর আগে সার্কিট হাউসে এসে পৌছালে প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগিত জানান।
আই/এ
জাতীয় পার্টি
‘রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক’
রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। রেলের ভাড়ায় রেয়াত তুলে দেয়ার সমালোচনাও করেছেন তিনি। এছাড়া পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের।
শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, রেল সাধারণ জনগণের বাহন। ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম ও নিরাপদ। বর্তমান বাজারে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। তার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক আয় ব্যহত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক। রেলপথে ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসহনীয় কষ্ট সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়ে যাবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে।
তিনি বলেন, যারা রেলপথে চলাচল করে না তাদের জীবনেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করছি রেলের রেয়াত বহাল রেখে সরকার রেলের ভাড়া সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় করে রাখবে।
এএম/
জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ
জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই। তারা এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে যেতে পারবে, কিন্তু আস্থার সংকট আছে। বন্দনা করা ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে আর কোনো রাজনীতি নেই। একমাত্র বন্দনা করে সংসদে ঢোকা ও নিজের কিছু আখের গোছানো ছাড়া। বললেন, জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এসব কথা বলেন ফিরোজ রশিদ।
ফিরোজ রশিদ বলেন, অনেক ছোট দলের কথাও গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। কারণ তাদের রাজনীতি আছে। এজন্য জনগণ জাতীয় পার্টির ওপর মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেনি। কাউকে করতেও বলে নাই। যদি কারও ইচ্ছা থাকে তারা করবে। তাঁর দল স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কা দিয়ে কোন হানাহানিতে যেতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ টিকতে পারবেনা। স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবেনা। একটি দল ছাড়া অন্য দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।
জাতীয় পার্টির একাংশের এ নেতা বলেন, আজ অর্থনৈতিক ও ব্যাংক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বড় বড় ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগিয়ে তা গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আজ সংসদে কথা হচ্ছে না।
জাপা নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিই মূল স্রোত। অচিরেই বুঝতে পারবেন লাঙ্গল কার। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন এ জাপা নেতা।
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিলের নির্ধারিত পরিচিত সভা স্থগিত করে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ১০টি স্থানে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।
আই/এ
- বাংলাদেশ4 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- অপরাধ7 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া4 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!