Connect with us

রংপুর

নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১

Avatar of author

Published

on

দুর্ঘটনা

নীলফামারীর খোকশাবাড়ীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোছা. মেহের নিগার নামক এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত মেহের নিগার ওই এলাকার মৃত আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে কিশামত গোড়গ্রাম এলাকায় নিজ বাড়ীর সামেনে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিহত হয়েছেন তিনি। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৯ টার দিকে নিজ বাড়ীর সামনের রাস্তা পার হতে গিয়ে মোটরসাইকেলে ধাক্কায় আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। মোটরসাইকেল আরেহী তরুণ মো. সিয়াম পালিয়ে গেলেও তার মোটরসাইকেল আটক করে এলাকাবাসী।

 

Advertisement

রংপুর

বন্যার পানিতে কালভার্ট ও সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর গোরকমন্ডল আবাসনগামী সড়কে নির্মিত ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। সেই সাথে পানির তোড়ে বিলীন হয়েছে প্রায় ১৩০ মিটার সড়ক। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় দুইদিন ধরে চরম বিপাকে পড়েছেন আবাসনের বাসিন্দাসহ ওই এলাকার তিন শতাধিক পরিবার।

গেলো শনিবার (৬ জুলাই) রাতে আকস্মিকভাবে কালভাট দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে রাস্তাসহ কালভাট ভেঙে যায় বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চর গোরকমন্ডল এলাকার আবাসন গামী সড়কের প্রায় ১৩০ মিটার জায়গা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে আবাসনের বাসিন্দাসহ এলাকাবাসী কলাগাছের ভেলা দিয়ে অতি কষ্টে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় আব্দুল মালেক ও হাজরা খাতুন জানান, এই সড়কটি ছিল আবাসন ও আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক। শিক্ষার্থীদের স্কুল- কলেজ যাওয়া আসা, গ্রামবাসীর হাট- বাজার যাতায়ত, কৃষি পণ্য আনা নেয়া, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা সেবা সবকিছুই নির্ভর করতো এই রাস্তার উপর।

ওই এলাকায় চলতি এইচ এস সি পরীক্ষার্থী মিজানুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম জানান, সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আমরাসহ এলাকার কমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই দুই শিক্ষার্থী দ্রুত ভাঙা অংশে ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানান।

Advertisement

ইউপি চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, প্রতি বছর বন্যার সময় ধরলার পানি ঢুকে কালভার্টের দুইপাশ ভেঙে যেত। সেকারনে সেখানে একটি বড় ব্রীজ নির্মাণের আবেদন করা হয়েছিল। ব্রীজের টেন্ডারও হয়েছে। কিন্তু তার আগেই বন্যায় কালভার্ট সহ অনেক দুর রাস্তা ভেঙে গেল। ফলে গ্রামবাসীর সাময়িক কষ্ট হচ্ছে। পানি নেমে গেলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

Published

on

নির্মাণাধীন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের পানিতে ডুবে দেড় বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুর নাম রোজা মনি। সে ওই গ্রামের আহিদুল ইসলামের মেয়ে।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই গ্রামের ওয়াপদা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নওয়াবুর রহমান।

চর বড়লই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, সোমবার সকাল দশটার দিকে শিশুটির মা শিল্পী বেগম রান্না ঘরে ভাত খাচ্ছিলেন। এসময় সকলের অগোচরে রোজ মনি ঘর থেকে বের হয়ে উঠানের নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। ভাত খাওয়া শেষে শিল্পী বেগম বের হয়ে সেপটিক ট্যাংকের পানিতে রোজা মনির মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। পরে বাড়ির লোকজন এসে ট্যাংকের পানি থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর সন্তান প্রসব

Published

on

নড়বড়ে-বাঁশের-সাঁকোর-ওপর-সন্তান-প্রসব

গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় প্রসূতিকে নিয়ে পায়ে হেঁটেই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছিলেন স্বজনরা। এক সময় সাঁকোর ওপরে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রসুতি মা। সেখানেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। নবজাতকের নাম রাখা হয় স্বপ্না।

শনিবার (৬ জুলাই) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী বেড়িবাঁধের খাটিয়ামারী-রৌমারী সড়কে সুতিরপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সন্তান প্রসব করা ওই নারীর নাম বিলকিস বেগম। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর গ্রামের সাইজুদ্দিনের স্ত্রী।

প্রসূতি বিলকিস খাতুনের ভাই শাফি আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, শুধুমাত্র সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে আজ আমার বোন পথেই সন্তান জন্ম দেয়। এটা বড় দুঃখের বিষয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই ভাঙা চোরা সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগে আছি স্থানীয়রা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার মিলছেনা। দ্রুত একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এ কারণে আজ এক প্রসূতি মা সেখানে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। বাঁশের সাঁকোটি চলাচলের জন্য মেরামত করা হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মনছুরুল হক বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই সড়কের বিষয়টি আমার জানা নেই।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে বন্যায় ভেঙে যায় সড়কের একাংশ। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে সেখানে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজারও মানুষকে। এতে প্রায় ঘটছে নানা ধরণের দুর্ঘটনা।

উল্লেখ, ২০১৪ সালে বন্যায় পাকা রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। পরে চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। স্থানীয়রা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি ব্রীজ নির্মাণর জন্য দাবি করেন। কিন্তু সেখানে আজও কোনো স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত