Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ

Avatar of author

Published

on

গাজায়-ইসরায়েলের-হামলা

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। এছাড়া ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। অর্থাৎ অবরুদ্ধ এ উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন বাস্তুহারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গাজায়-ইসরায়েলের-হামলা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ জানিয়েছে, গাজায় সংস্থাটি পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয়ের খোঁজে আছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে ইউএনডব্লিউআরএর এসব স্কুলের অবস্থা ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্কুলগুলোর মধ্যে একটি মধ্য গাজার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবির। এখানে প্রায় চার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়।

ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় এসব মানুষ আহত হন। পরে সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়। গাজায় হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি যুদ্ধাপরাধ। হাসপাতালটি শত শত আহত ও অসুস্থ মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল। হাসপাতালটি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল নামেও পরিচিত ছিল। এটি একই সঙ্গে যুদ্ধে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের আশ্রয়স্থল এবং রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতো।

Advertisement

গাজায়-ইসরায়েলের-হামলা

এ ঘটনার পর পশ্চিম তীরের শহরগুলোতে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মহাপরিচালক এক্স নেটওয়ার্কে এক পোস্টে এ নিন্দা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য সংস্থা মেডগ্লোবালের জাহের সাহলুল এ হামলাকে কোনো চিকিৎসা স্থাপনায় ২১ শতকের সবচেয়ে বাজে আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। নিন্দা জানিয়েছে মিশর এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোও।

 

এসি//

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেটি জরুরি ভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।

ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইবরাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা মারা গেছেন সে ব্যাপারেও সরকারিভাবে কোনো বিৃবতি দেয়নি প্রেসিডেন্টের দপ্তর।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি।

ইরনার  প্রতিবেদনে বলা হয়,  ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে  হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

Advertisement

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফেরে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে নিরাপদে ফিরেছেন।

ইরনা নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

যে কারণে ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস

Published

on

ব্যবসা ভালো হওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্মীদের ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। সবশেষ অর্থবছরে সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা অর্জন করায় এ ঘোষণা দেয়া হল।

শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে,  চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় ধরনের লাভের দেখা পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সিইও গোহ চুন ফং বলেন, তাঁদের সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাদের এই পরিশ্রমের কারণে মহামারির পরও বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

দুই পা ছাড়া এক হাত নিয়েই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় লিঙ্গের মডেল

Published

on

সংগৃহীত ছবি

তৃতীয় লিঙ্গের নারী মডেল আউম। পুরো নাম আমবুন আউ মায়খাও। ঈশ্বর জন্ম থেকেই তার দুই পায়ের নিচের অংশ ও এক হাত কেড়ে নিয়েছেন। তবে দমে যাননি তিনি। হার না মানা লড়াকু মনোভাবের কারণেই পেরেছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। মিস ট্রান্স থাইল্যান্ড‍ ২০২৩ এর ফাইনালিস্টদের তালিকায়ও ছিলেন এই মডেল।

২০২৩ সালের ২৯ জুলাই থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের মাম্বো এন্টারটেইনমেন্ট হলে অনুষ্ঠিত হয় ওই মিস ট্রান্স থাইল্যান্ড প্রতিযোগিতা। শীর্ষ ২২ ফাইনালিস্টদের তালিকায় ছিলেন বেউং কান প্রদেশ থেকে উঠে আসা সুন্দরী আউম। তার লক্ষ্য ছিলো সেরা দশের তালিকায় থাকা। তবে পরে আর এগুতো পারেননি। ওই প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট পরেন সিংবুড়ি প্রদেশের পলি নথায়া।

 

গ্রান্ড ফিনালের সেরা দশে পৌঁছতে না পারলেও একটি সবার কাছে একটি মেসেজ পৌঁছে দিয়েছেন আউম। জীবনের আসল বিজয় অন্যকে হারানো নয়-এই চিরন্তন সত্যটি সমাজের কাছে তুলে ধরেন এই তৃতীয় লিঙ্গের মডেল।

শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী মডেল দেখিয়ে দিয়েছেন-আসল বিজয় হচ্ছে-অতীতকে ভুলে গিয়ে বর্তমান অস্তিত্বকে নিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

Advertisement

তাইতো আউমের অক্ষমতা তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত করেনি। আউম শিরোপা জয়ের জন্য কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল  তা বিচারকরাও টের পেয়েছেন। র‌্যাম্প মডেলের বেশে সাবলিল ভাবে মঞ্চে ক্যাটওয়াক ও দলীয় নৃত্যপর্বে তার পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মতো।

আউমের অধ্যাবসায় ও ইতিবাচক মনোভাব অনেকের মন জয় করেছে। যারা দুঃখ ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আউমের গল্পটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। কষ্ট ও বিভ্রান্তির মধ্যে থেকে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য উদাহরণ হতে পারে আউম।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের অনেকে আউমের আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ় মনোভাবের  প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অসম্ভব শক্তিশালী! প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর যেসব কষ্ট ও নেতিবাচকতা আউমকে সহ্য করতে হয়েছিল তা কল্পনীয়। তবে আউম নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন, সবকিছু সহ্য করেছেন এবং অবশেষে তার  ক্ষমতা নিয়ে যারা সন্দিহীন ছিলো তা ভুল বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন।

আরেকজন লিখেছেন- সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাকে আমি সব সময় অস্বস্তিকর বলে মনে করি। কিন্তু এটি এমন এক ধরণের প্রতিযোগিতা যেটি আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। তুমি আগুন জালিয়ে রাখো সুন্দরী।

Advertisement

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় হাত-পা ছাড়া একমাত্র প্রতিযোগি নন আউম। ২০২১ সালে মিস ইকুয়েডর প্রতিযোগি ভিক্টোরিয়া সালসেডোরের নামও জড়িয়ে আছে। ২০০১ সালে পাঁচ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়া বৈদ্যুতিক দুর্ঘনায়  আহত হলে জীবন বাঁচাতে তার দুই ও এক কেটে ফেলা হয়।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত