স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও ১৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি ২০১৪
সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে এডিস মশাবাহিত এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৩ জন। আর চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে ১ হাজার ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকায় ১০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭ জন মারা গেছেন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ত্যথ জানানো হয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৫ হাজার ৯৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৬১ হাজার ১৭৬ জন।
দেশে বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। তখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা অনেকের কাছে নতুন ছিল। ওই বছর ডেঙ্গুতে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়।
এরপর প্রতিবছর মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কোনো কোনো বছর মৃত্যু হয়েছে। তবে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই।
করোনা মহামারির আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ডেঙ্গুতে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন, মারা যান ১৭৯ জন। আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
এএম/
রোগব্যাধি
মস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গগুলি কী, কেন হয়?
মাথার যন্ত্রণা এখন ঘরে ঘরে, জনে জনে সমস্যা। কোনও আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ এটি হানা দেয়। ওষুধ খাওয়ার পর অবশ্য ধীরে ধীরে ব্যথা মিলিয়েও যায়। দু’দিন যেতে না যেতেই ফের যন্ত্রণা ফিরে আসে। শুধু যে মাথাব্যথা, তা তো নয়। সঙ্গে বমি, চোখের সামনে অন্ধকার দেখার মতো লক্ষণও থাকে। সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মস্তিষ্কে টিউমার হলে এমন হতে পারে।
তবে রোগ শনাক্ত করার জন্য আগে উপসর্গগুলি জানতে হবে।
উপসর্গগুলি কী?
১. এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ তীব্র মাথার যন্ত্রণা। তবে টিউমার হলে মাথাব্যথার ধরনটা অন্য রকম হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা করে।
২. জ্বর বা অন্য কোনও কারণ ছাড়া হঠাৎ হঠাৎ শরীরে কাঁপুনি শুরু হতে পারে। কিছুক্ষণ পর আপনা থেকেই কমে যায়। হজমের সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ বমি পায়।
৩. খুব সাধারণ ও সাম্প্রতিক ঘটনার কথা বেমালুম ভুল হয়ে যাওয়াও রোগের একটি লক্ষণ। কিছুতেই মনে পড়ে না। সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঝিমুনি থাকে, আলস্য লাগে।
৪. মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে, তার উপরেও কিছু কিছু লক্ষণ নির্ভর করে। যেমন, সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দেখতে অসুবিধে হয়। অন্যত্র হলে অন্য সমস্যা তৈরি হয়।
কেন হয় টিউমার?
নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই ব্রেন টিউমারের। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোবাইল ও ইয়ার ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু কিছু রাসায়ানিকের প্রভাবেও ক্যানসার-যুক্ত ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়েটে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও এই রোগ ডেকে আনতে পরে। এ ছাড়া, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্য
শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্র দিচ্ছে সরকার
শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় কানে শোনার যন্ত্র ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস’ দিচ্ছে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট।
জানা গেছে, বিনামূল্যে বা আংশিক মূল্যে সার্জারির মাধ্যমে এই ডিভাইস প্রতিবন্ধী শিশুর কানে দেয়া হবে। এ জন্য আগ্রহী অভিভাবকদের আগামী ১৩ জুনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাকারিয়া সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটিতে (জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট) শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সার্জারির মাধ্যমে সরকারি অর্থে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান করা হবে।
আগামী ১৩ জুনের মধ্যে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিভাগ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসটি বরাদ্দ পাওয়া ও সার্জারির মাধ্যমে কানে স্থাপনের জন্য আগ্রহী শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু রোগীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে। ৫ বছরের নিচের শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বিনামূল্যে অথবা আংশিক মূল্যে এই ডিভাইসটি দেয়া হবে।
কেএস/
রোগব্যাধি
ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ কি? নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা এখন অনেক বেশি বেড়ে গেছে। স্তন ক্যানসার, ব্লাড ক্যানসারের পাশাপাশি ওভারিয়ান (ডিম্বাশয়) ক্যানসারের প্রবণতা প্রবল আকারে বেড়ে গেছে মহিলাদের মধ্যে। তবে কিছু সচেতনতা এবং সাবধানতা বজায় রাখলে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই ক্যানসার থেকে।
ওভারিয়ান ক্যানসার কী?
ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হল এমন একটি ক্যানসার, যা ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়ে খুব তাড়াতাড়ি সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। ডিম্বাশয়ে ডিম্বানুগুলি যখন অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভাবেই ওভারিয়ান ক্যানসার হয়।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
এই ক্যানসারকে প্রথমে চিহ্নিত করা অসম্ভব কারণ কোনও উপসর্গ ছাড়াই এই ক্যানসার মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে। তবে কিছু কিছু উপসর্গ এমন আছে যা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ক্যানসার বাসা বেধেছে।
পেটে অতিরিক্ত ব্যথা এবং অস্বস্তি হলে, খিদে না পেলে, অল্প খাওয়ার পর পেট ভরে গেলে, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা, ঋতুচক্রের অনিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘনঘন মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত পানি তেষ্টা, বদ হজম হলে বুঝতে হবে আপনার ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে।
কেন হয় ডিম্বাশয় ক্যান্সার?
মূলত দুইভাবে ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হতে পারে। প্রথমত, যদি পরিবারের কারোর ডিম্বাশয় ক্যানসার হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দ্বিতীয়তঃ শারীরিক সমস্যার কারণে ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকি আরো বেশি বেড়ে যায়।
কীভাবে ডিম্বাশয় ক্যানসার নির্ণয় করবেন?
ডিম্বাশয়ে অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করলে পেলভিক পরীক্ষা করতে পারেন। ডিম্বাশয়ের ছবি তোলার জন্য এমআরআই করতে পারেন। ডিম্বাশয় ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত কিছু প্রোটিন পরীক্ষা করে আপনি দেখতে পারেন আপনার শারীরিক কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা।
ওভারিয়ান ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি
ডিম্বাশয়, প্রজনন অঙ্গ অথবা প্রভাবিত এলাকা অস্ত্রপ্রচার করে বাদ দিয়ে দিতে হবে। ক্যানসার বৃদ্ধি আটকানোর জন্য হরমোন থেরাপি করতে হবে। প্রয়োজন হলে করতে হবে রেডিয়েশন থেরাপি। চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে।
ডিম্বাশয় ক্যানসারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে
নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। মেনোপজের পর হরমোন থেরাপি করলে হবে না। সুষম খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। এই কটি পদক্ষেপ মেনে চললেই ডিম্বাশয় ক্যানসারের প্রবণতা কমে যাবে অনেকটা।
জেএইচ
- আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা7 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা