মাদারীপুরের শিবচরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জাকির হাওলাদার (২৫) নামে এক দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ধর্ষণ শেষে ওই কিশোরীকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় জাকির।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হিন্দু এক দরিদ্র দিনমজুর নিজের ঘর-বাড়ি না থাকায় স্ত্রী ও এক মেয়েসহ প্রায় দশ বছর এক মুসলিম পরিবারে আশ্রয় নেয়। ওই দরিদ্র দিনমজুর বাহাদুরপুর মাছ বাজারে মজুরী করে। অভাবরে কারণে মেয়েটিকে লেখাপড়া করাতে পারেনি পরিবার। ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েটি অন্যের দেওয়া একটি সেলাই মেশিনে সেলাইয়ের কাজ শিখছিল। জাকির প্রায়ই ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিত। গত ২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে দেলোয়ার ও তার স্ত্রী জান্নাত প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে বাসা থেকে বের করে বাহাদুরপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে দেলোয়ার ও জান্নাতের সহযোগীতায় জাকির জোর করে কিশোরীকে অটোরিক্সা করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে জাকির রাতভর ধর্ষণ করে। পরদিন বুধবার দুপুরে কিশোরীকে জাকির রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা মেয়েটিকে বাহাদুরপুর তার বাসায় পৌঁছে দেয়। পরে মেয়ের কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে ওই দিনই ৪ মার্চ মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে জাকির, দেলোয়ার ও জান্নাতকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করে।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিরাজ হোসেন বলেন, ধর্ষক জাকিরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ধর্ষণে সহযোগীতা করায় স্বামী-স্ত্রী দেলোয়ার ও জান্নাতকে আটক করা হয়েছে।
মুনিয়া