শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম রাসেল সরদার।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় একটি সেলুনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের সঙ্গে একই এলাকার রাসেল সরদারের সঙ্গে রাজনৈতিক, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ এলাকায় মাছের ঘেরের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
শুক্রবার দুপুরে রাসেল সরদার ইসলামপুর ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় একটি সেলুনে চুল কাটাতে যায়। এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের নেতৃত্বে যুবদল কর্মী সাইফুল মাদবরসহ ১০/১২ জন হঠাৎ করে রাসেল সরদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হাতপায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। ওই হাসপাতালে রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ইসলামপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের বোন ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই ব্যবসা করতো। এছাড়া তার কোনো দোষ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই আমার ভাইকে জ্বালাতন করছিল ওরা। কেন কী জন্য আমার ভাইকে মারা হলো আমরা জানি না। আমরা এর বিচার চাই।’
নিহতের ভাই রাকিব বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কাছে ওরা বারবার চাঁদা চাইতে এলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পরে একটি সেলুনে আমার ভাই চুল দাড়ি কাটার প্রায় শেষের দিকে ওরা যেয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় ভাইয়ের ওপরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে। আমরা সেখানে যেয়ে দেখি ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থান, মাথা সহ হাতে-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তখন আমরা দ্রুত সময়ে শরীয়তপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা পাঠায় চিকিৎসক। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত তিনটার দিকে মারা যায়। ঘটনার সাথে জড়িতদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব থেকে দ্বন্দ্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাসেল নামের একজনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গিয়েছে। এখনও মামলা হয়নি। তবে আমাদের কাছে মামলা নিয়ে আসলে আমরা মামলা নিয়ে নেব।’
এসি//