এশিয়া
গাজায় হামলা অব্যাহত,মৃত্যু বেড়ে ৯ হাজার ৭৭০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এখনও চলছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলা। পাশপাশি চলছে তাদের স্থল অভিযান।ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস হামলা চালালে ওইদিন থেকেই এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সবশেষ সংবাদ বায়ান্ন ডট কম-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
গাজায় মৃত্যু বেড়ে ৯৭৭০: ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,ইসরায়েলির হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৭৭০ হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৮৮০।এপর্যন্ত আহত হয়েছেন ২৬ হাজার ফিলিস্তিনি। এছাড়া, পশ্চিম তীরে এ পর্যন্ত ১৫২ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ১০০ জন।
ইসরায়েলে মৃত্যু বেড়ে ১৪০৫: হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০৫ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৬০০ ইসরায়েলি। দেশটির সামরিক বাহিনীর ৩৪৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
১ মাসে ৫২টি মসজিদ ধ্বংস:গাজায় প্রায় ১ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে ৫২টি মসজিদ। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলুর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য উঠে এসেছে। হামাস প্রশাসনের তথ্য দপ্তরের পরিচালক জানান, গত তিন সপ্তাহে ধ্বংস হয়েছে দুই শতাধিক স্কুল, ৮০টির বেশি সরকারি কার্যালয়, ৭টি গীর্জা।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখের বেশি ঘরবাড়ি। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৩২ হাজার আবাসিক ভবন।
মাহমুদ আব্বাস-ব্লিঙ্কেনের বৈঠক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরাইলের তীব্র যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রোববার রামাল্লায় প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে গাজায় ‘দ্রুত যুদ্ধবিরতি’ এবং ইসরাইলের ‘গণহত্যা’ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দেননি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৈঠকের বিষয়ে বলেছেন, গাজায় জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে মার্কিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ব্লিঙ্কেন।
আরব নেতাদের তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন: ইসরায়েল সফরের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জর্ডানের রাজধানী আম্মানে লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়,গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করছে যে যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে, এবং আবারো ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। তবে দেশটি যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এসময় আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুরষ্ক-ইসরায়েলের কূটনৈতিক বিরোধ: গাজায় বিমান হামলায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুতে গত সপ্তাহে ইসরায়েলির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগ আনেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুধু তাই নয় হামাসকে স্বাধীনতাকামী ‘মুক্তিবাহিনী’ বলে অভিহিত করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল তাদের ভূখণ্ড থেকে তুরস্কের কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে,হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায় তুরস্ক তাদের দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে।
নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ: হামাসের হামলা রুখতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে ও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন ইসরায়েলিরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান।
এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে কলকাতার রাস্তায় হাজারো মানুষ: ইসরায়েলি হামলা ও ‘গণহত্যা’ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের কলকাতাতেও।এর আগে, হামাসের হামলার প্রতিবাদে এই শহরে ইসরায়েলিদের পক্ষে বিক্ষোভ হয়।
এশিয়া
ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি
সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।
এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেডএস/
এশিয়া
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জেএইচ
এশিয়া
থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’ ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
জেডএস
- অপরাধ2 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়7 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়1 day ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস14 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়22 hours ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়19 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী