Connect with us

ইউরোপ

মঙ্গলগ্রহের মাটির সঙ্গে গঠনে মিল তুরস্কের সালদা হ্রদ

Published

on

মঙ্গলগ্রহের মাটির সঙ্গে গঠনে মিল পাওয়ায় আলোচনায় এখন তুরস্কের সালদা হ্রদ। নাসার রোভার পারসেভারেন্সের পাঠানো ছবির সঙ্গে এই হ্রদের মাটির মিল পাওয়া গেছে। গঠনেও মিল আছে। গবেষকরা বলছে, দুই স্থানের নমুনা পরীক্ষার পর মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পানির রঙের কারণে তুরস্কের মালদ্বীপ হিসেবে পরিচিত সালদা হ্রদ। পর্যটকদের মধ্যে পরিচিতি থাকলেও হ্রদ নিয়ে আলোচনা একেবারে ভিন্ন কারণে। লালগ্রহ খ্যাত মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠের সঙ্গে এই হ্রদের মিল পাওয়া গেছে।

গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের জেজিরো বেসিনে অবতরণ করে নাসার রোভার পারসেভারেন্স। অবতরণস্থলটি বহু বছর আগে একটি হ্রদ ছিলো বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। জেজিরো বেসিনের মাটির সঙ্গেই মিল পাওয়া গেছে সালদা হ্রদ এবং এর আশেপাশের এলাকার মাটির। হ্রদের খনিজ পদার্থের সঙ্গে মঙ্গলপৃষ্ঠে থাকা খনিজেরও মিল রয়েছে।

নাসার গবেষক থমাস জারবুখেন জানান, মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণের পর খুব সামান্যই অগ্রসর হয়েছে নাসার রোভার। সেখান থেকে যেসব ছবি এবং মাটি ও পাথরের ছবি পাঠানো হয়েছে তার গঠন প্রকৃতির সঙ্গে সালদা হ্রদের মাটির গঠনের মিল পেয়েছি। সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে এখন আরও বেশি আশাবাদী। যদিও আরও গবেষণা করতে হবে।

রোবটের মতো ছয় চাকার ছোট্ট নভোযানটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ২৫টি ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। গ্রহের উপরের অংশের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং মাটির গঠন পর্যালোচনার পাশাপাশি সালদা হ্রদ নিয়েও গবেষণা চলছে। গবেষকরা বলছে, হ্রদের তলদেশে কোনো ফসিল থাকতে পারে। যা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, মঙ্গলগ্রহ এবং সালদা, দুই স্থানের মাটির গঠন মেলানোর চেষ্টা করছি। ধারণা করছি, দুই স্থানেই একই ধরনের অণুজীব রয়েছে। তাই এখন নমুনা সংগ্রহ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মোট ১০টা টিউবে মঙ্গলপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহ করবে পারসেভারেন্স। এরপর তা পৃথিবীতে পাঠাবে। এর আগে সেখানকার পাথর বা মাটির সূক্ষ্মকণার থ্রিডি অ্যানিমেশনের সঙ্গে পৃথিবীর মাটির গঠন মেলানো হবে।

পৃথিবীর মাটির সঙ্গে মঙ্গলগ্রহের মাটির মিল আসলেই আছে কি না তা জানতে অপেক্ষা করতে ২০৩১ সাল নাগাদ।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

ইউরোপ

যুক্তরাজ্যে ঋষি সুনাকের আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

Published

on

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি ‍সুনাক

বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের ৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (২২ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আগে এ ব্যাপারে মন্ত্রীদের অবহিত করেন যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী। তারপর তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এর আগে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে গিয়ে সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নতুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজার কাছ থেকে অনুমতি নেন ঋষি সুনাক। রাজার কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর সেটি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন তিনি।

Advertisement

ঋষি সুনাক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে নিজ সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উপস্থাপন করেন। একই সঙ্গে ভোটারদের কাছে ভোটের আহ্বান করেন। জানান―তাকে ভোট দিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হলে ব্রিটেনের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন তিনি।

গেলো ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্য শাসন করছে ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাার পর অনেকেই ধারণা করছেন, এ নির্বাচনে ব্রিটেনে আবারও লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে

Published

on

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।ফলে এই চুক্তির আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখান হওয়া ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। গেলো বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্যে তাঁরা এসব করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন জানান, চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

যুদ্ধের মধ্যেই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন পুতিন

Published

on

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই সোইগুকে সরিয়ে দিয়েছেন। রোববার (১২ মে) এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল প্রকাশিত মন্ত্রী পদের মনোনয়নের তালিকা অনুসারে, অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে বেলোসোভকে শোইগুর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।

৬৮ বছর বয়সী সেরগেই সোইগু ২০১২ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে এখন এই পদ থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। তবে পরবর্তীতে তাকে কোন পদে দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই সোইগু। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শোইগু এই সেক্টরেই (প্রতিরক্ষা) কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বিষয়গুলো ভালো জানেন। তিনি তার আগের কাজের জায়গায় তার সহকর্মী এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি এটি খুব ভালোভাবে জানেন।

গত মার্চের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে কারণেই পুতিনকে সাংবিধানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নতুন তালিকা দিতে হবে অথবা বিদ্যমান মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।

চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন পুতিন। ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে পুতিন আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার প্রথম দুটি মেয়াদ স্থায়ী হয়েছিল চার বছর। পরে সংবিধান সংশোধন করে রুশ সরকারপ্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। পুতিনের প্রথম ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে আবারও সংবিধান সংশোধন করা হয়, যার মাধ্যমে ২০২৪ সালেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান পুতিন।

গেলো মার্চের নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ৭১ বছর বয়সী এ নেতা। যদিও ওই নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা এবং ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত