Connect with us

চট্টগ্রাম

পাহাড়ে আজ থেকে বসছে বৈসাবী মেলা

Published

on

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী উপলক্ষে আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) থেকে ৫দিন ব্যাপী বৈসাবী মেলা শুরু হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে শুরু হচ্ছে বৈসাবীর আমেজ। মেলা উপলক্ষে রাঙামাটির বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে আনন্দ। মেলায় অংশ নিতে হাজারো পাহাড়ী নারী-পুরুষ যোগ দিবে এ আয়োজনে।

সোমবার বিকেল ৪ টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ইনস্টিটিউটে ৫দিন ব্যাপী বৈসাবী মেলার উদ্বোধন করবেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই-প্রু-চৌধুরী, রাঙামাটি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

মেলায় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও হস্ত সামগ্রীসহ নানান পসরা প্রদর্শিত হবে। এছাড়া প্রতিদিন থাকবে সভা-সেমিনারসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মেলা উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ৫দিন ব্যাপী মেলার মধ্যদিয়ে বিজু সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু তথা বৈসাবী উৎসবের সূচনা হবে।

১২ এপ্রিল পাহাড়ের বৈসাবী উৎসবের প্রথম দিন চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর ফুল বিজু বৈসু কিংবা বিষু। এদিন তারা বন থেকে ফুল আর নিম পাতা সংগ্রহ করে ফুল দিয়ে ঘর সাজানোর পাশাপাশি গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন। ১৩ এপ্রিল দ্বিাতীয় দিন চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মুল বিজু বৈসু বা বিষু। এদিন তারা ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী পাচনসহ অন্যান্য খাবার রান্না করেন। আর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলে মারমাদের জল কেলী উৎসব। মারমাদের পানি উৎসবের মধ্য দিয়েই পাহাড়ে বৈসাবী উৎসবরে সমাপ্তি ঘটে।

Advertisement

বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে পাহাড়ে বৈসাবী উৎসবের তেমন আয়োজন না থাকলেও এবার করোনা মহামারী কমে যাওয়াতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়েই পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে উদযাপিত হবে বৈসাবী উৎসব এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Advertisement

চট্টগ্রাম

১৭ টাকার দ্বন্দ্ব নিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দিনমজুরের

Published

on

ছুরিকাঘাতে-প্রাণ-গেল-দিনমজুরের

চায়ের দোকানে মাত্র ১৭ টাকা বকেয়া পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন মাহমুদুল হক (৩৩) নামে এক দিনমজুর। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মিঠার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।

মাহমুদুল হক ছদাহা ইউনিয়নের পূর্ব আজিমপুর এলাকার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদিউল আলমের ছেলে।

বাবা বদিউল আলম জানান, তার ছেলে মিঠার দোকান এলাকার এক মাছের খাদ্যপ্রস্তুতকারী কারখানায় দিনমজুরের কাজ করছিল। কারখানার পার্শ্ববর্তী ফেরদৌসের চায়ের দোকানে চা পান বাবদ তার ছেলের কাছে ১৭ টাকা বকেয়া ছিল। এ পাওনা টাকা পরিশোধ নিয়ে রোববার তার ছেলের সঙ্গে চায়ের দোকানি ফেরদৌসের ছেলে রায়হানের বাগবিতণ্ডা হয়। পরদিন একই বিষয় নিয়ে ফের কথাকাটাকাটি হলে রায়হান তার ছেলেকে রড দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। পরে তার বড় ছেলে এনাম ওই দোকানে গিয়ে পাওনা টাকা পরিশোধ করে ঝগড়া মিটিয়ে দেয়। মঙ্গলবার দুপুরে মাহমুদুল আবারও ওই চায়ের দোকানে গেলে মীমাংসার বিষয়টি উপেক্ষা করে রায়হান মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ২০/২৫ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য নিয়ে এসে তার ছেলেকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেরানিহাট আশ-শেফা হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

মাহমুদুলের পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে জানিয়ে ছেলে হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন বদিউল।

Advertisement

ওসি প্রিটন সরকার বলেন, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যে জেলায়

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুর জেলায়। এসময়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ৫৭ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব।

তিনি বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ১২৯ মিলিমিটার। এরপরও একটানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

৩৭ যাত্রী নিয়ে বাস পড়লো পুকুরে

Published

on

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরের পানিতে পড়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। আহতরা প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এখনো কেউ মারা যায়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ফকির বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জগামী আল আরাফাহ পরিবহনের একটি বাস ফকির বাজারের দক্ষিণে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বুড়ির বাড়ির পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক বাসের ডানদিক দেবে গেলে বাম পাশ দিয়ে কিছু যাত্রী তড়িঘড়ি করে বের হন। আবার ডান দিকের কয়েকজন যাত্রী গ্লাস ভেঙে পানিতে সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন। বাসে ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন।

বাসের যাত্রীরা জানান, বাসটি দ্রুত গতিতে চলায় সড়কের ভাঙ্গা স্থানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটি পুকুরে পড়ে।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মিন্টু দত্ত গণমাধ্যমে বলেন, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। কোনো যাত্রী পুকুরে পড়ে আছে কিনা- সেটা দেখতে আমাদের জেলা পুলিশের রেকার দিয়ে পুকুরে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আরও অনুসন্ধানের জন্য কুমিল্লা থেকে আরেকটি রেকার আনা হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত