Connect with us

বাংলাদেশ

মৃত্যু গুজবে বিরক্ত নায়ক ফারুকের পরিবার

Published

on

ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের এমপি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, জানিছেন তার পরিবার।

তবে আজ রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অভিনেতার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পরে । কে বা কারা ভুয়া এ খবরটি ছড়িয়ে দিয়েছেন। প্রিয় অভিনেতার এমন সংবাদে বিচলিত হয়ে পড়েন নায়ক ফারুকের ভক্ত ও অনুরাগীরা।

বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিত্রনায়ক ফারুকের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান। এ বিষয়ে জানতে ফারহানা গণমাধ্যমকে বলেন, সকলের প্রিয় অভিনেতা ফারুক ভালো আছেন। এসময় ফারহানা পাঠান অভিনেতা ফারুকের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার অভিনেতা ফারুকের মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় বিরক্ত তার পরিবার। এর আগে গেলো বছরের ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক এক বছর পর আবারও কিংবদন্তি এ অভিনেতার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এতে চরম বিরক্ত তার পরিবার ও স্বজনরা।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন নায়ক ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

Advertisement

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী।

এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে তার অভিনীত 'সুজন সখী' ও 'লাঠিয়াল' সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসাসফল হয়। ওই বছর 'লাঠিয়াল'র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে 'সূর্যগ্রহণ' ও 'নয়নমণি', ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আবদুল্লাহ আল মামুনের 'সারেং বৌ', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে'সহ বেশকিছু সিনেমায় 'মিয়া ভাই'খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

অনন্যা চৈতী

Advertisement
Advertisement

জনদুর্ভোগ

বাড়ছে তিস্তার পানি, চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Published

on

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার মহসিন আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চরসিন্দুর্না গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানিতে আমার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমে বলেন, ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

Published

on

গাজীপুরে বকেয়া পরিশোধ ও লে-অফ প্রত্যাহার করে কারখানা চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শ্রমিকরা পুনরায় কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা দুপুরে দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামের কারখানাটিতে শ্রমিকদের চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও গত বছরের বাৎসরিক ছুটির টাকা ও ২ মাস ১৯ দিনের বেতন, ঈদ বোনাস ও লে-অফ প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করছে।

শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে কারখানাটির মালিক এমএনএইচ বুলুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। কারখানার একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক সংকট ও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানাটিতে লে-অফ রয়েছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে ১০ মিনিটের মতো যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘এমপি আজীম হত্যার তদন্তে কারও হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে চলছে’

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে। মামলা তদন্তে কারও কোনো চাপ বা হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি সদরদপ্তরে কোরবানি ঈদে চামড়া সংগ্রহ, বিপণন, সংরক্ষণ ও সরবরাহে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

এমপি আনার হত্যা মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তারে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘আনার হত্যার মামলা তদন্তে কারও হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর রাজধানী থেকে এক কোটি মানুষ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে যায়। তাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে পুলিশ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়েছে। এবারও ঈদ উপলক্ষে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের যে নিজস্ব কার্যক্রম রয়েছে চেকপোস্ট, টহল। এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভবনের নিরাপত্তায় থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের। তারা সমন্বয় করে আমাদের কাজ করবেন যাতে কোনো সমস্যা না হয়।

চামড়া পাচারের বিষয়ে কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, চামড়া যেন ঢাকা থেকে বের হতে না পারে সেজন্য প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। গাবতলী থেকে বের হয়ে চামড়াবাহী গাড়ি হেমায়েতপুর পর্যন্ত যেতে পারবে। এরপর ঢাকা জেলা পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরের দেশের বিভিন্ন এলাকার চামড়া যেন সীমান্ত পার হয়ে বাইরে না যেতে পারে সে বিষয় জেলা পুলিশের প্রতি পুলিশ সদরদপ্তর থেকে আইজিপি নির্দেশনা দিয়েছেন। সব চামড়া যেন ঢাকামুখী হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত