Connect with us

অপরাধ

দিনে ফুচকা বিক্রেতা, রাতে চোরের সর্দার তারা

Avatar of author

Published

on

ঢাকার দোহারের উত্তর শিমুলিয়া এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের থেকে স্বর্ণ, মোবাইলসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম।

গেপ্তারকৃতরা হলেন মিলন চোকদার (২৯) ও নাজির (৩৪)। গ্রেপ্তারকৃত মিলন উপজেলার মেথুয়া এলাকার বাসিন্দা। অপর আসামি নাজির একই এলাকার ছেলে।

আশরাফুল আলম জানান, গেলো (১১ নভেম্বর) উপজেলার উত্তর শিমুলিয়া হাসিবুর রহমানের বাড়িতে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র ঘরের টিন কেটে পাঁচ ভরি ওজনের একটি সীতাহার, কানের দুল, দুটি মোবাইল নিয়ে যায়। এসময় হাসিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ওয়াজ শুনতে গিয়েছিল।

এ ঘটনায় মামলা হলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এর নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের তত্ত্বাবধানে দোহার থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে বেথুয়া ও মালিকান্দা এলাকা হতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোরচক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

এএসপি আশরাফুল আলম আরো জানান, চোর চক্রের সর্দার নাজির ঢাকায় ফুচকা বিক্রি করতেন। আর তার দলের অন্যান্য সদস্যরা এলাকায় ঘুরে টার্গেট নির্ধারণ করতেন। পরে সুযোগ বুঝে নাজিরের নেতৃত্বে তারা চুরি করতেন। তাদের গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, চুরিকৃত মালামাল বিক্রি করতে না পারলে তারা সেই জিনিস টয়লেটের সেপটি ট্যাংকের ভেতর রেখে দিতেন।

এএম/

Advertisement

অপরাধ

রাজশাহীতে মাদকসহ চার কারবারি গ্রেপ্তার

Published

on

রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর একটি দল অভিযানে চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ পুরিয়া হেরোইন, ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৭ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট।

সোমবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে নগরীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের ২নং গেটের পাশে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার মমতাজ আলির ছেলে রাব্বি (২৬) একই এলাকার হাকিমের ছেলে তুষার আলী (২৫), বিলসিমলা এলাকার ইমান আলির ছেলে মেহেদি হাসান (২৬) ও তেরখাদিয়া এলাকার জমসেদ আলির ছেলে হাবিবু রহমান (৩৭)।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল রাজশাহী নগরীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের ২ নং গেটের পাশে অভিযান চালায়। এসময় সন্দেহভাজন হিসাবে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে উপরিউক্ত মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়।

গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে পরস্পর যোগসাজশে গাঁজা হেরোইন, ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল বিক্রি করে আসছিল তারা। পরে তাদের নগরীর রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কক্সবাজারে থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জন আটক

Published

on

কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর সংলগ্ন ঝাউবাগানে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় দুটি ধামা (কাটারি), ১টি সেলাই রেঞ্জ, ১টি ডুয়েল এলইডি টর্চ লাইট, ১টি বড় ছুরি, ২টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৩ জুন) রাত আড়াইটার দিকে এ অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরি এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটকরা চিহ্নিত ডাকাত এবং ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিসের ছেলে মো. ফেরদৌস, কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান, মধ্যম নতুন বাহার ছড়ার মো. আজিজের ছেলে মো. ইসমাইল প্রকাশ শতাব্দী, দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. সোলাইমান বাচ্চু ও লাইট হাউজ এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে মো. ফয়সাল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরি আরও জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে চক্রটি কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্রসস্ত্রের ভয়-প্রীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মত নানাবিধ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।

এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে আটকদের কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

পাসপোর্ট করতে বেনজীরের নজিরবিহীন জালিয়াতি, মিথ্যা পরিচয়ে বিশ্বভ্রমণ

Published

on

ফাইল ছবি

স্বপরিবারে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ পাসপোর্ট জালিয়াতিতেও জড়িত । গেলো ১৮ এপ্রিল পুলিশের সাবেক এই প্রভাবশালী কর্মকর্তার সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিটি গঠন করে।  এরপর সংস্থাটির অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি ‘লাল পাসপোর্ট’ও। বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করতে নজিরবিহীন জালিয়াতি করেছেন এই কর্মকর্তা। তার জালিয়াতি ধরা পড়ে সেই পাসপোর্ট নবায়নের সময়।

২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বেনজীর তার পুরোনো হাতে লেখা পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। তিনি নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট না নিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নেন। এ সময় আসল পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দেন। আবেদন ফর্মে পেশা লেখেন ‘প্রাইভেট সার্ভিস’।

বেনজীরকে নবায়নকৃত এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) দেয়া হয় ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর। সেই পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছিল ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর। মেয়াদ শেষের  আগেই ২০১৪ সালে আবারো পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন বেনজীর।

বেনজীর তখন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। সরকারের এতবড় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তিনি অফিশিয়াল পাসপোর্ট নেননি। দ্বিতীয় ধাপে তার নবায়নকৃত পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরে ২০১৬ সালে তিনি আবারো পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। তখন তিনি ছিলেন র‌্যাব মহাপরিচালক। তখনও তিনি বেসরকারি পাসপোর্টের আবেদন করেন। সেসময় স্পস্ট হয় তার তথ্য গোপন ও জালিয়াতির ঘটনা।

Advertisement

আর এসব জালিয়াতি করতে বেনজীর এতবেশী ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন যে তিনি নিজে কখনো পাসপোর্ট অফিসে হাজির হননি। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা সব ব্যবস্থা করতেন। তবে র‌্যাব মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি পাসপোর্ট দেখে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালককে জানানো হয়। সেসময়, বেনজীরের আবেদনপত্র আটকে দেয়া হয়। বেনজীরকে বিভাগীয় অনাপত্তিপত্র বা এনওসি জমা দিতে  বলা হয়। কিন্তু বেনজীর এনওসি জমা না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করান।

পাসপোর্ট করতে বেনজীর আহমেদ চলাচলে অক্ষম, গুরুতর অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে পাসপার্টে অফিসের মোবাইল ইউনিট বাসায় নেয়ান। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার বাসায় গিয়ে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ নেয়াসহ সব প্রক্রিয়া শেষ করেন।

২০২০ সালের ৪ মার্চ তার আবেদনপত্র জমা হয়ে যায়। ১ জুন বেনজীরের নামে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।  এখানে মেয়াদ বাড়াতেও বেনজীর তার প্রভাব খাটান। সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ বছরের বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট দেয়ার নিয়ম না থাকলেও তাকে দেয়া হয়  ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকারি পাসপোর্ট থাকলে অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেয়া অনেক জটিল। অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের দেশের বাইরে যেতে হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে এসব কারণেই এমন সব প্রতারণা এবং জালিয়াতি করেছেন বেনজীর আহমেদ।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত