হিজাব বিতর্কের মামলায় নওগাঁর আলোচিত দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত বর্মনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গেলো রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলি আদালত-৩ এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাজুল ইসলাম সেটা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, গেলো ৬ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলায় দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ড্রেস পরে না আসায় ১৮ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ ওঠে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনি পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরদিন গুজব রটানো হয় ‘স্কুল ড্রেস নয়, হিজাব পরে স্কুলে আসায়’ মারধর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এ ঘটনায় বিকেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা স্কুলে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হলে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে হিজাব কাণ্ড মিথ্যা প্রতিয়মান হয়। যেখানে স্কুল ড্রেস না পরার বিষয়টি উঠে আসে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ, সভাপতি মাহমুদুল হাসান সুমন ও জেলার পোরশা উপজেলার গহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া একই মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর গুজব ছড়ানোয় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই সাংবাদিক কিউএম সাঈদ টিটো ও কাজী সামছুজ্জোহা মিলনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় থানা পুলিশ।
তাসনিয়া রহমান
