খুলনা
এবার পুলিশের ভুলে ৪ মাস জেল খাটলেন যশোরের দিনমজুর
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/03/12/resize-600x315x1x0image-2086-1615527380.jpg)
যশোরে পুলিশের অবহেলায় বিনা দোষে চার মাস জেল খাটতে বাধ্য হয়েছেন আশরাফ আলী মিন্টু মোল্লা নামে এক দিনমজুর। আশরাফ আলী নামে এক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বদলে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। অব্যাহতি পাওয়া মিন্টু মোল্লা বেনাপোলের দীঘিরপাড় এলাকার মৃত মোহর আলী মোল্লার ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-ব্লাস্ট এর সহায়তায় আদালতের মাধ্যমে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী আশরাফ আলী মিন্টু মোল্লা জানান, তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তবে কখনও কখনও দিনমজুরের কাজও করেন। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় চৌকিদার কালা কবিরকে নিয়ে তার বাড়িতে যান বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মাসুম। তারা এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীঘিরপাড়া এলাকার মৃত মোহর আলীর ছেলে আশরাফ আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি দেখান তাকে। এসময় তারা তাকে আশরাফ আলী বলে আটক করেন। তিনি আশরাফ আলী নন জানালেও পুলিশ তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে তার পরিবারের লোকজন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি নিয়ে থানায় গেলেও তাকে ছাড়া হয়নি। এরপর পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, কারাগারে দরবার ফাইলে তিনি অভিযোগ করেন আশরাফ আলীর পরিবর্তে তাকে জেল খাটতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। গত শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে যান লিগ্যাল এইড কমিটির সচিব। এসময় মিন্টু তার কাছেও অভিযোগ করেন যে তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফ আলী নন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে লিগ্যাল এইডের আইনজীবীরা আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার আদালতে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে আশরাফ আলী অন্য এক ব্যক্তি। এরপর যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক ভুক্তভোগী মিন্টুকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
মিন্টুর স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। দুটি ছেলে নিয়ে কোনোমতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান তার স্বামী মিন্টু। ঘটনার দিন গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে এলাকার চৌকিদার কালা কবির ও থানার এসআই মাসুম বিনাদোষে তার স্বামীকে আটকের পর জেলখানায় পাঠায়। প্রায় চার মাস তার স্বামী জেলখানায় থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে তাদের দিন পার হয়েছে।
ব্লাস্ট যশোরের কোঅর্ডিনেটর মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক মিন্টু সাজাপ্রাপ্ত আশরাফ আলী নন, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর আদালত তাকে মুক্তি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাবার নাম ও নামের প্রথম অংশ একই হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করেছিল। পুলিশ একটু সতর্ক হলে ও যাচাই করলে একজন নিরাপরাধ মানুষকে চার মাস জেল খাটতে হতো না। এটা পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা।
শুভ মাহফুজ
খুলনা
স্ত্রীর গলাকেটে স্বামীর আত্মহত্যা
![আত্মহত্যা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/Jessore.jpg)
যশোরের মনিরামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রজিনা খাতুনের (৩৫) গলাকেটে হত্যা চেষ্টার পর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় রেফার করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুধবার (২৬ জুন) মধ্যেরাত দেড়টার দিকে উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের ঝাউতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মনিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ।
হতাহতরা হলেন, ওই গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে উজির আলী (৪৮) ও তার স্ত্রী রজিনা খাতুন (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার মধ্যেরাতে কোনো এক বিষয় নিয়ে উজির ও তার স্ত্রী রোজিনার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উজির তার স্ত্রী রোজিনার গলায় ধারালো দাঁ চালায়। এ সময় তাদের ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে উজির স্ত্রীকে রেখে দৌড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা আহত রোজিনাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রোজিনাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
অন্যদিকে স্ত্রী রোজিনা মারা গেছে ভেবে স্বামী উজির দৌড়ে পালিয়ে বাড়ির পাশের একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টার দিকে হতাহতদের বসতবাড়ির পাশে একটি সজনা গাছে স্বামী উজিরের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তৎক্ষণিক মনিরামপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, নিহত উজির পেশায় একজন ভ্যানচালক। তার পৈত্রিক বাড়ি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ বালিধা গ্রামে। নিহত উজির ও তার স্ত্রী রোজিনা তাদের এক প্রতিবদ্ধী ছেলেকে নিয়ে ঝাউতলা গ্রামে ভাড়া থাকতেন। উজির ও স্ত্রীর উভয়ের পূর্বে একাধিক বিবাহ ছিল। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ছিল।
ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী উজির তার স্ত্রী রোজিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাকে জখম করে মনে করে তার স্ত্রী মারা গেছে, এই ভেবে সে নিজেও পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে। আহত স্ত্রী ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইনী ব্যবস্থা প্রক্তিয়াধীন।
কেএস/
খুলনা
বাস চাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, মা আহত
![বাবা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/road-accident-2.jpg)
বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছেন মা। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ফকিরহাট উপজেলা হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, মোটরসাইকেল চালক খলিলুর রহমান (৪৫) এবং তার এক বছরের ছেলে (অজ্ঞাতনামা)। এ সময় নিহত খলিলুর রহমানের স্ত্রী মিনু বেগম (৩৫) গুরুত্বর আহত হন।
শনিবার (২২ জুন) সকালে খুলনা-বাগেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের সিএন্ডবি বাজার সংলগ্ন ধরের ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, শনিবার (২২ জুন) সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালী থেকে মোটরসাইকেলযোগে তিন আরোহী যশোর গদখালী এলাকায় যাচ্ছিলেন। খুলনা-বাগেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের ধরের ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বাগেরহাটগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মরদেহ উদ্ধার করেন।
কাটাখালী হাইওয়ে ওসি আরও জানান, তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কেএস/
খুলনা
একই আসরে বিয়ে ও নববধূকে তালাক, ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৮
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/১১-51.jpg)
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিলো। ধুমধামের সঙ্গে হচ্ছিলো বিয়ের অনুষ্ঠান। খাওয়ার পর্ব শেষে বিয়ের কাজও শেষ। এমন সময় স্ত্রীর দাবি নিয়ে বিয়ের আসরে উপস্থিত হন বরের খালাতো বোন। এ ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আটজন আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় গণমাণ্য ব্যক্তি সালিশ করেন। এতে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিনিময়ে নববধূকে তালাক দেন বর ।
রোববার(১৬ জুন) সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দর্শনা থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়,বর আসিফ রহমান (২২) জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের শমসের আলির ছেলে। রোববার বিকেলে আসিফ বিয়ের উদ্দেশে ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে যান। খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্ধ্যায় বিবাহের কাজ শেষ হওয়ার পরপরই বিয়ের আসরে হাজির হন বরের খালাতো বোন (১৮)। তিনি উপস্থিত সবাইকে জানান, ৮ মাস আগে আসিফের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিয়ের আসরেই ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়।
খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ বাবদ বরপক্ষ নববধূকে ৭৫ হাজার টাকা দেনমোহরসহ সোয়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছে। পাশাপাশি বিয়ে পড়ানোর একই কাজী দিয়ে তালাক সম্পন্ন করা হয়।
দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আট মাস আগে বিয়ে করার বিষয়টি উল্লেখ করে বরের খালাতো বোনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’
এমআর//
- আবহাওয়া2 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি18 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ1 day ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
- আন্তর্জাতিক13 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- ঢালিউড2 days ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
- টুকিটাকি2 days ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
- জাতীয়20 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
- রংপুর13 hours ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা