Connect with us

বাংলাদেশ

সাধারণ জনগনকে প্রস্তুত থাকতে হবে: ইমরান খান

Published

on

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক বিশাল সমাবেশে দেয়া ভাষণে রাজধানী ইসলামাবাদে আসতে নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।

পাকিস্তানের জনপ্রিয় পত্রিকা ডন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) লাহোরে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণের সময় ইমরান খান এ কথাগুলো বলেছেন।

গেলো বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি ভার্চ্যুয়াল সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। মাত্র কয়েক মিনিটেই সে সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যোগ দেয়।

সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৫ লাখ টুইটার ব্যবহারকারী (৪ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি) ইমরান খানের সঙ্গে স্পেসেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। তাতে যোগদানকারী ব্যবহারকারীর গড় সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার।

প্রোগ্রামটি অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছিল যেখানে হাজার হাজার মানুষ ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে যোগ দেন।

Advertisement

গেলো বৃহস্পতিবার পিটিআইয়ের বহুল আলোচিত এ সমাবেশে লাহোরের গ্রেটার ইকবাল পার্কে নারী-পুরুষ, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।

তারা স্লোগানে স্লোগানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি সমর্থন জানান। ‘বিদেশি প্রভুদের’ পাকিস্তানে ছড়ি ঘোরানোর প্রতিবাদ জানান। সার্বভৌমত্ব ও আত্মসম্মানবোধের প্রতি সমর্থন জানান।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান লাহোর সমাবেশে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ইসলামাবাদে সমাবেশে অংশ নিতে ফোনের জন্য অপেক্ষা করুন।

বৃহস্পতিবার লাহোরের মিনার-আই-পাকিস্তানে ভাষণ দেওয়ার সময় তার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সমর্থকদের এ আহ্বান জানান তিনি।

মিনার-ই-পাকিস্তানের পাদদেশে বিশাল এই সমাবেশে নতুন সরকারকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, আমরা কখনো এই আমদানি করা সরকারকে মেনে নেব না।

Advertisement

বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকসহ যারা বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব থেকে মুক্তি চান, তাদের সবাইকে সর্বত্র প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এবং ইসলামাবাদে আসতে তার ডাকের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন ইমরান খান।

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা যদি ভাবতে থাকেন যে লাহোর সমাবেশের পর কী ঘটবে, তাহলে তাদের কাছে তার বার্তা হচ্ছে পিটিআইয়ের প্রকৃত কাজ সবে শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রতি সম্মান জানিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কোনো সংঘাত চান না।

ইমরান খান বলেন, শুধু পিটিআই নেতাদের নয়, সব পাকিস্তানিকেই সমাবেশে অংশ নিতে আহ্বান জানাবেন তিনি।  
আন্দোলন ফলপ্রসূ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ইমরান খান বলেন, শিগগির নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা ধারণা করছেন, ঈদুল ফিতরের পর ব্যাপক আন্দোলন শুরু করতে পারে পিটিআই। তাই গ্রামে, শহরে যে যেখানে থাকুক সবাই প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অনন্যা চৈতী

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

হটলাইনে কল পেয়ে ৯৪ স্থানে পানি অপসারণ করলো ডিএনসিসি

Published

on

হটলাইনে কলের সূত্র ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীর ৯৪টি স্থানে জমে থাকা পানি অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া

সোমবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে অতি ভারী বর্ষণে ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন করে মোট ১০০জন সদস্য কাজ করছেন। এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬-তে প্রাপ্ত কলের সূত্র ধরে ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।

Advertisement

ডিএনসিসি মেয়র গণমাধ্যমে বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এত ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকার প্রধান সড়কগুলোর কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসির পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পাশাপাশি কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। হটলাইন নম্বরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এবার মেট্রোরেল চলাচলে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলের উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার উভয় অংশে সচল রাখা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘এখন উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। শাহবাগ-সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ভায়াডাক্টের ওপর ঝড়ে গাছের ডাল এবং মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সোলার প্যানেল পড়ায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালুর চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির জন্য কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। কর্মব্যস্ত শহরে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের ৩ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ে ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ১০০টিরও বেশি আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিটিআরসি মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপরাশেনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে গেলো রোববার (২৬ মে) আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে এ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা ওই সেলের আইএসপি অপারেটরদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গাছপালা ভেঙে পড়া, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ইন্টারনেট ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ১০০ এর অধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আইএসপি অপারেটরদের প্রায় ৩২০টি ইন্টারনেট গেটওয়ে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) রয়েছে। ঝড়ের কারণে বর্তমানে প্রায় ২২৫টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সবমিলিয়ে উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ আইএসপি গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

Advertisement

তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত