রংপুর
কুড়িগ্রামে ঈদ উপহার পেল ৬৩১ ভূমিহীন পরিবার
কুড়িগ্রামে ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৬১৩টি ভূমিহীন পরিবারের কাছে জমির দলিলসহ আধাপাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তৃতীয় দফায় কুড়িগ্রাম সদরে ৮২, নাগেশ্বরীতে ১৩০, ভূরুঙ্গামারীতে ৭৯, ফুলবাড়ীতে ১৬২, রাজারহাটে ১৫০ উলিপুরে ১৮০, চিলমারীতে ২৭০, রৌমারীতে ৫৫ ও চর রাজীবপুরে ১১১টি ভূমিহীন পরিবার এসব উপহার হিসেবে ঘর ও জমির দলিল হাতে বুঝে নেন।
সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের ধরলা আবাসনে ৩৮টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মো:পনির উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম,পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাসেদুল হাসান প্রমুখ। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়,জেলায় ৪ হাজার ১২০টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ১ম দফা ১ হাজার ৫৬৯
দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৭০ ও তৃতীয় দফায় ১ হাজার ২৫৯টিসহ মোট ৩ হাজার ৮৯৮টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৭০টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ জন্য ৩ একর ৬৭ শতক খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া চর এলাকায় বিশেষভাবে তৈরী ৩৯২টি ঘরও শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগ যাতে সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তত্বাবধায়ন করে ঘরগুলো নিমার্ণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার পেয়ে খুশি হয়েছেন অনেক গৃহহীন পরিবার বলে আমি মনে করি।
জনদুর্ভোগ
বাড়ছে তিস্তার পানি, চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার মহসিন আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চরসিন্দুর্না গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানিতে আমার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমে বলেন, ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে।
এএম/
অপরাধ
মাদকসহ এক নারী কারবারি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের ভায়ালটারী গ্রামের মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমের বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার নামের ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তার মাদক কারবারির নাগেশ্বরী থানায় একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা রয়েছে। সেই সাথে কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এএম/
রংপুর
পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে তিস্তার
তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার নিচে।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ‘গতকাল ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নদী তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেলে বাদাম ও শাক-সবজির ক্ষতি হবে।’
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ‘কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সব সময় নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।’
টিআর/
- বাংলাদেশ5 days ago
উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনে ধীরগতি
- টুকিটাকি5 days ago
৩শ’ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন তরুণী, অতপর…
- দেশজুড়ে6 days ago
রাজনীতিতে আসছেন এমপি আনারের মেয়ে ডরিন
- ক্রিকেট3 days ago
বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে যারা থাকবে প্রতিপক্ষ
- ক্রিকেট2 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- রোগব্যাধি6 days ago
অল্প বয়সেই কোমর ব্যথা, পরিত্রাণের উপায় কী
- চট্টগ্রাম5 days ago
সকালে সন্তান জন্মদানের স্ট্যাটাস, রাতেই মারা গেলেন মা
- আবহাওয়া6 days ago
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে ভিজবে দেশ