জাতীয়
হত্যার হুমকির অভিযোগ আনলেন নোয়াখালী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী
প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার চৌমুহনী বাজারের মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক হাওয়া ভবনের লোক। বিএনপি নেতা আবদুর রহমান কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ জন্য সে তিন-চার মাস জেল খেটে বের হয়। সে কুখ্যাত ডাকাত ছিল। সে তমা মানিকের ডান হাত। তার বাড়িতে নিজের লোকজন দিয়ে হামলার নাটক সাজিয়ে বিএনপিকে কাছে টানার চেষ্টা করছে।’
নোয়াখালী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম মানিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি হলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শেখ হাসিনার নৌকার প্রার্থী। আমার সাধারণ সম্পাদক নৌকার জন্য কাজ না করে স্বতন্ত্রের জন্য কাজ করছে। সে আমাকে রক্তাক্ত করে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান মোরশেদ আলম।
প্রসঙ্গত,নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম (নৌকা), স্বতন্ত্র মোহা. আতাউর রহমান ভূঁইয়া (কাঁচি), জাসদের নাইমুল আহসান (মশাল), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন (ছড়ি), জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলম (হাতঘড়ি)। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন।
জাতীয়
নিজ চোখে মেট্রো স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। নিজেই পুরো স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। একপর্যায়ে স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। বারবার নিজের অশ্রু সংবরণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। এ সময় ধ্বংসযজ্ঞকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনে যান তিনি।
শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটওভার ব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পরদিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। একই দিনে পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়। সেখানেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষতি হয়েছে।
এসব দুর্বৃত্তদের রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। যা ধ্বংসযজ্ঞকে সুযোগ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর উপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল তাদের জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে। এসব তাণ্ডব যারা চালিয়েছে তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন। টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ প্রায় সবকিছুই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এককথায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে মেট্রো স্টেশন।
এএম/
জাতীয়
রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার হবে : প্রধানমন্ত্রী
সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে। একই সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় মিরপুরে ১০ এ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশটা যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টাই করবো। এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সেই দেশটা ব্যর্থ হতে পারে না।
তিনি বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোনো ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রো স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এ পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে, বিষয়টা মানতে পারছি না।
উল্লেখ্য, গেলো শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গা। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। পরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কমিটি করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
এসি//
জাতীয়
সকাল ১০টা থেকে সাত ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ
আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী বাদে বাকি ৬০ জেলায় কারফিউ শিথিলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। তারা চাইলে এ সময় কমাতে কিংবা বাড়াতে পারেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারফিউ শিথিলের সময় সারা দেশে যানচলাচলসহ দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। চলবে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার কাজ। খোলা থাকবে অফিস আদালাত ও সরকারি অফিস। এমনকি এ সময়ে চলতে পারবে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস।
এদিকে গেলো বুধবার থেকে কারফিউ শিথিল করা শুরু হয়। খুলছে সরকারি বেসরকারি সব অফিস। তবে, সকাল ৯টার পরিবর্তে অফিস শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে এবং বিকেল ৫টার পরিবর্তে অফিস চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে সহিংসতা শুরু হয়। এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায়, শুক্রবার রাতে জারি করা হয় কারফিউ। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেদিন মধ্যরাতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী।
আই/এ
- অপরাধ21 hours ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়19 hours ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- জাতীয়1 day ago
বাসা-বাড়িতে রাতেই ফিরতে পারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট : আইএসপিএবি
- অপরাধ7 days ago
বেধড়ক মারধরে র্যাব সদস্যের অবস্থা সংকটাপন্ন
- জাতীয়7 days ago
ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করবেন? ম্যাথিউ মিলারকে মুশফিকুল
- জাতীয়1 day ago
অল্প সময়ে আমরা সব নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি: সেনাপ্রধান
- জনদুর্ভোগ7 days ago
যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ
- জাতীয়7 days ago
ছাত্র-ছাত্রীদের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ