Connect with us

আইন-বিচার

খুলনায় ৩ জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার

Published

on

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর ৩ সদস্যকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) র‌্যাব-৬ খুলনা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইলিয়াস দাস আব্দুল্লাহ ওরফে হুজাইফা উসামা (২৭), মো. সাব্বিরুল ইসলাম সাব্বির ওরফে আবু সাব্বির আল বাঙালি (২০) ও শামিম লস্কর (১৯)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৬ এর একটি অভিযানিক দল খুলনার বটিয়াঘাটা সাচিবুনিয়া রেল ক্রসিং এলাকার একটি টিনসেড ঘরে অভিযান চালিয়ে ‘আনসার আল ইসলাম’ এর ৩ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন সদস্য পালিয়ে যায়।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলা’” এর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে ওই সংগঠনে যোগদান করে। পরবর্তীতে তারা নিজেরাই সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ উদ্দেশ্য সংগঠনের সদস্যদেরকে তারা বিভিন্ন পুস্তিকা, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও সরবরাহ করতো।

Advertisement

অন্যদিকে তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভুল তথ্য প্রদান করে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও সদস্যদের নিকট থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ করতো। এর পাশাপাশি তারা মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করে বিভিন্ন তথ্যের অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সর্ম্পকে বিরূপ মনোভাব তৈরি করে তথাকথিত ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য সদস্যদেরকে উগ্রবাদী করে তুলতো।

গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলে জানা যায়, তাদের সকলের নামেই পূর্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ কারণে তারা বিভিন্ন সময় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

আইন-বিচার

ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদের জামিন আবেদন

Published

on

হাইকোর্ট

ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত।

সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এর আগে গেলো ২৭ জুন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন একই সংগঠনের সাবেক এক নেত্রী। ইডেন কলেজের সাবেক ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর একাধিকবার ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তিনি।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এজাহারকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক।

এজাহারের অভিযোগ অনুযায়ী, ইডেন কলেজে পড়ার সময় ২০১৪ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান বাদী। সেখানে গিয়ে ফুয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদী ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা ‘শরীয়াহ মোতাবেক’ বিয়ে করেন।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন ফুয়াদ। বাদী তাতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে বাদীকে ওষুধ মিশিয়ে জুস খাওয়ান ফুয়াদ। এরপর বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন, নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা। পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির আশ্বাস দিয়ে বাদীর ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ফুয়াদ ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশ চেয়ে রিট

Published

on

সরকারি

দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

সোমবার (০১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলান তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ এই রিট দায়ের করেন।

রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।

রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসেব আইনে উল্লিখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি। আগামীকাল এই রিটের শুনানি হতে পারে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

মতিউর দম্পতির সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

Published

on

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর দম্পতির সম্পদের তথ্য চেয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৩০ জুন) এসব চিঠি দেয়া হয়। এর আগে, দুদকের আবদনের প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী কলেজশিক্ষক লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।

এসব ঘটনা আলোচনায় আসার পর মতিউর রহমানকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে প্রত্যাহার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৪ জুন) মতিউর রহমান, তার স্ত্রী কলেজশিক্ষক লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিরুদ্ধে বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন মহানগর দায়রা জজ। মতিউর রহমানের স্ত্রী বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী। তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস করছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেল কুরবানির ঈদে ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত