Connect with us

বাংলাদেশ

ইউক্রেন-রাশিয়া আগ্রাসন: স্কুলে হামলায় ৬০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

Published

on

রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের একটি স্কুলে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৯০ জনের মতো বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিল দেশটির লুহানস্ক অঞ্চলের ওই স্কুলটিতে। স্থানীয় সময় গেলো শনিবার (৭ মে) ওই স্কুলে বিমান হামলা চালানো হয়। স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

লুহানস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি হাইদাই জানিয়েছেন, ওই স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ৩০ বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (৮ মে) এক টেলিগ্রাম পোস্টে হাইদাই বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ৬০ জনই মারা গেছে। স্থানীয় সময় গেলো শনিবার (৭ মে) বিলোহোরিভকা গ্রামের একটি স্কুলে বোমা হামলা চালায় রাশিয়া।

ইউক্রেনের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ওয়াশিংটন, এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার শীর্ষ এক আইনপ্রণেতা বলেছেন, এর অর্থ দাঁড়ায় যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার এবং মস্কোর একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। ভোলোদিন এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখেন যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের সমন্বয় করছে ও রসদ যোগাচ্ছে। ফলে সরাসরি তার দেশের বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন ও ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা কিয়েভকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করছে যাতে এটি রাশিয়ান আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করতেও পেরেছে ইউক্রেন। ফলে পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে নিলেও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও পানিপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলে।

অনন্যা চৈতী

Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশ

নৌযানের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র জরুরি নির্দেশনা

Published

on

বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আজ রাতেই এটি মহাবিপদ সংকেতে যেতে পারে। এ অবস্থায় নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানকে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

শনিবার (২৫ মে) বিআইডব্লিউটিএ থেকে জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি শনিবার ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ এ পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ অবস্থায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানকে আবহাওয়ার সংকেত ও এতদবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএয়ের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ এবং সার্বক্ষণিক আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সাবধানতার সঙ্গে নৌযান চলাচল/বন্ধ করার/ নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। রাতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে উঠে যেতে পারে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

‘শাহদৎ’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান, বিশেষ কৌশলে চলতেন সদস্যরা

Published

on

নতুন এক জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ওই সংগঠনের প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও দুই প্রশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩ এর একটি দল। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোসহ গোপনীয়তা রক্ষায় জঙ্গিরা বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৫ মে) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃত মো. ইসমাইল হোসেন (২৫) চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে। এছাড়া আঞ্চলিক প্রশিক্ষক মো. জিহাদ হোসেন (২৪) যশোরের চৌগাছা উপজেলার মো. তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং মো. আমিনুল ইসলাম (২৫) ঝালকাঠির নলসিটি উপজেলার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন গ্রেপ্তারকৃতরা। তবে সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ায় নতুন করে ‘শাহদৎ’ নামে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন তারা। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যক্রমও চালানোসহ গোপনীয়তা রক্ষায় বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করতেন গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আফগানিস্তানের তালেবান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তথাকথিত হিজরতের পরিকল্পনা করছিলেন। দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে নতুন সদস্য খুঁজছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠন।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

এমপি আজীম খুনের তদন্তে ভারত যাবে ডিবি

Published

on

ভারতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারত যাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভারতীয় পুলিশ বর্তমানে এই হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করছে। কিছুদিন পর আমিসহ ডিবির কয়েকজন অফিসার তদন্তের কাজে ভারত যাবো।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, হত্যার মোটিভ অনেকগুলো হতে পারে। পূর্ব শত্রুতার জেরে হতে পারে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত হতে পারে, রাজনীতিক বিষয়ও থাকতে পারে। এসব বিষয় জানতে তদন্ত চলছে।

হারুন আরও বলেন, তারা তাকে (আনার) ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলে টাকা আনতে চেয়েছিল। এজন্য তাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল। কিন্তু জ্ঞান না ফেরায় তাকে হত্যা করে গুম করে হত্যাকারীরা।

Advertisement

ডিবি প্রধান বলেন, হত্যাকারীরা তাকে প্রথমে অপহরণের পর ফ্ল্যাটে নেয়। এরপর তার একটি ফোন নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। যাতে বোঝা যায় তিনি অন্য জায়গায় ছিলেন। এছাড়াও হত্যাকারীরা তাকে হত্যার পর চারটি মোবাইল নিয়ে বেনাপোল সীমান্তে আসে। এরপর তারা হত্যায় আনারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে তাদের কলও করে।

ভারতে ডিবির টিম যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছে, ডিবির একটি টিম যেন ভারতে যায়। এজন্য আমাদের জিও হয়েছে। আজ রাতে অথবা আগামীকাল ভোরের মধ্যে ডিবির তিন সদস্যের টিম ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, হত্যার তদন্তে আমাদের পাশাপাশি কলকাতার টিমও কাজ করছে। তবে বাংলাদেশে যারা এসেছেন তাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাদের কাজ শেষ হলে আমরা রওনা হব। তারা আজ ৩টার দিকে ডিবিতে আবারও আসবেন। এরপর পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলব, তারপর আমরা যাব। সেটি আজ রাতেও হতে পারে আগামীকাল ভোরের মধ্যেও হতে পারে।

লাশ পাওয়া গেল না, তাহলে কীসের প্রেক্ষিতে আপনারা এই ঘটনাটিকে মার্ডার বলছেন; এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, এমন ঘটনা আছে- বছরের পর বছর লাশ পাওয়া যায়নি। তিন বছর লাশ পাওয়া যায়নি, এমন ঘটনাও আমাদের কাছে আছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত