Connect with us

বাংলাদেশ

ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে ৬৮১

Published

on

পবিত্র ঈদুল ফিতরের গেলো ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৮১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২ হাজার ৭৭ জন।

আজ মঙ্গলবার (১০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড। দেশের ২৮টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশনে পাওয়া তথ্য এবং সারা দেশে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্য সমন্বয় করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিবৃতিতে সেভ দ্যা রোড বলেছে, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম টিকিট সংকট তৈরি করে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করে একটি মহল। এতে সম্পৃক্ত ছিল সরকারি দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ-প্রশাসনের একটি অংশ।

সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদে নিয়ম না মানা ও হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬৮ জন আহত এবং ১৯০ জন নিহত হয়েছে। অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩২১ জন এবং নিহত হয়েছে ১৬৮ জন। খানাখন্দ অচল রাস্তাঘাট ও সড়কপথে নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩১০ জন এবং নিহত হয়েছে ১৫৪ জন। পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সঙ্গে চলাচলের কারণে লরি পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬টি, এতে আহত হয়েছে ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬৪ জন।

নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহার না করায় ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯০ জন নিহত এবং ৯৬৮ জন আহত হয়েছে।

Advertisement

সেভ দ্য রোড দাবি করেছে, ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা হলেও পুলিশ-প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এ থেকে উত্তরণে সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে।

মেঘ হাসান

Advertisement

জাতীয়

‘উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও ব্যবসায়ী প্রার্থী বেশি, কোটিপতি ১১৬ জন’

Published

on

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও প্রার্থীদের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। এই পর্বে ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ী। এছাড়া সব মিলিয়ে এই পর্বে ১১৬ জন কোটিপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় এবার কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ।

রোববার (১৯ মে) ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় পর্বে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন ১০৫ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় এবার কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। চেয়ারম্যান ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। সব পদে মোট কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ১১৬ জন।

টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, এই পর্বে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। তবে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ কিংবা দায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৩১০ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা ঋণ আছে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর। প্রার্থীদের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।

টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচন দলীয় হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে দলীয়ভাবে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলটির স্থানীয় মন্ত্রী অথবা সংসদ সদস্যের সমর্থনপুষ্ট। এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া বিএনপি দ্বিতীয় ধাপেও তাদের ৬৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।

Advertisement

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। তাদের হলফনামায় দেয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যতটুকুই আছে, তাতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা গেছে। রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী, অনেকেই ক্ষমতাশীলদের আত্মীয়। প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য ও পুরুষের আধিক্য রয়েছে। ক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক ও শুদ্ধাচার চর্চা দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক আদর্শ এখানে বড় বিষয় নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটতে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

Published

on

হাইকোর্ট

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয় লেন প্রকল্পের কারণে সড়কের দুই পাশে থাকা গাছ না কাটার ওপরে আপাতত স্থিতি অবস্থা জারী করেছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে—  সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে  জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

রোববার (১৯ মে) এইচআরপিবির রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, যশোর-নড়াইল ছয় লেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য কোনও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।  প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা উচিত। গাছ সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের সড়কের কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসময়ে বলেন, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনও আইন দেশে নেই।গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে।

পাল্টা যুক্তিতে মনজিল মোরশেদ বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে  বলা হয়েছে ২০৩০ সালে দাবদাহের অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘ্নিত হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গাছ কাটার ওপর স্থিতি অবস্থা দেয়ার পাশাপাশি ছয় লেন মহাসড়কের টেন্ডার আহ্বান করার পরে এই স্থিতি অবস্থার আদেশ বাতিল হবে জানায় আদালত।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক

Published

on

বিএনপি-নেতা-ইশরাক

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে…

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত