বাংলাদেশ
খেলোয়াড়দের চেয়ে সংগঠকদের আধিক্যে প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার
Published
2 years agoon
By
জাকির হোসাইনআজ বুধবার (১১ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৮৫ জন খেলোয়াড় ও সংগঠকের প্রদান করা হবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেবেন। এরই মধ্যে গতকাল (বুধবার) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ও সংগঠকের নাম ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
৮৫ জনের মধ্যে পাঁচজন মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দেরও দেওয়া হচ্ছে ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় এই পুরস্কারটি। তবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে সাত-আটজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এক বা দুজন সংগঠক থাকেন-এমনটাই হয়ে আসছে প্রতিবার। কিন্তু এবার আট বছরের যে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাতে রেকর্ডসংখ্যক সংগঠকের নাম! ৮৫ জনে ৩৩ জন, প্রায় ৪০ শতাংশ। যেখানে আগের ১২ বছরে ১৩২ জন পুরস্কারপ্রাপ্তর মধ্যে সংগঠক ছিলেন ২১ জন, অর্থাৎ ১৫ শতাংশ।
যেমন কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান পালোয়ান। ১৯৭৮ সাল থেকে পালোয়ান এই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। এত বছর দায়িত্বে থেকে কুস্তিতে তাঁর বলার মতো অর্জন নেই। আজ পর্যন্ত এসএ গেমসে সোনা জেতার মতো একজন কুস্তিগীর তৈরি হয়নি। সারা দেশেও খেলাটার কোনো জনপ্রিয়তা নেই। পালোয়ান তাই যেন শুধু চেয়ার আঁকড়ে থাকারই পুরস্কার পাচ্ছেন।
আরেকজন রোইং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। ১৯৮৪ সালে প্রথম ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ টানা দুই মেয়াদে এই চেয়ারে আছেন তিনি। খোরশেদ আলমের বয়স প্রায় ৯০। এত দিন ধরে রোইংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকলেও দেশে খেলাটির কোনো প্রসার নেই।
আর এখন তিনিই পাচ্ছেন ক্রীড়া পুরস্কার।
হ্যান্ডবলের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুরও পাচ্ছেন পুরস্কার। ঘরোয়াভাবে খেলাটির ব্যস্ততা আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে কোনো ছাপ রাখতে না পারায় কোহিনুরের এত দিনের সাংগঠনিক দক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
তালিকায় আছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী। তিনি ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতেও এই ক্লাবকে বিতর্কিত করেছেন। উদ্ধার করা হয়েছিলো জুয়ার সামগ্রী। ফুটবলে গত কয়েক বছরে চট্টগ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি আলোচনায় এসেছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করে। যদিও এই টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তরফদার রুহুল আমিনকেই সবাই চেনে। চট্টগ্রাম আবাহনীর বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন আছে। দলটি নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগে খেললেও চট্টগ্রামেই তাদের কোনো ভেন্যু নেই দীর্ঘদিন।
বাস্কেটবলে খেলোয়াড় হিসেবে এ কে সরকার (ভায়া) বড় নাম, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি এবার পুরস্কার পাচ্ছেন সংগঠক হিসেবে। সেখানে অবশ্য তিনি সমালোচিত। বাস্কেটবলে গত ১০ বছরে জাতীয় প্রতিযোগিতাই হয়েছে যেমন মাত্র চারবার, তার মধ্যে দুবারই হয়েছে বাংলাদেশ গেমসে। অনিয়মিত প্রিমিয়ার লিগও। খেলাটির ভালো একটি ভেন্যুও নেই দীর্ঘদিন।
ধানমণ্ডির ভাঙা উডেন ফ্লোরে চোটের ঝুঁকি নিয়েই খেলতে হয় খেলোয়াড়দের। এ ছাড়া এ তালিকায় যোগ হয়েছেন তায়কোয়ান্দোর মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যারম ফেডারেশনের ড. শেখ আব্দুস সালাম, হ্যান্ডবলের প্রয়াত কাজী মাহতাবউদ্দিন আহমেদ, শ্যুটিংয়ের ইন্তেখাবুল হামিদ, অ্যাথলেটিক্সে ফরিদা আক্তার বেগম।
এবারের ক্রীড়া পুরস্কারে উল্লেখযোগ্য নাম শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল। খেলোয়াড় ও সংগঠক দুই ক্যাটাগরিতেই তাঁকে মরণোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আছেন মরহুম আফজালুর রহমান সিনহা, তানভীর মাজহার ইসলাম তান্না, শামসুল বারী, এনায়েত হোসেন সিরাজ, ফজলুর রহমান বাবুল, সৈয়দ শাহেদ রেজা, মোজাফফর হোসেন পল্টু, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, কাজী নাবিল আহমেদ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, আওলাদ হোসেন, শেখ বশির আহমেদ (মামুন), মরহুম এ টি এম শামসুল আলম, জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম।
খেলোয়াড় তালিকায় বিতর্ক কম নয়। ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়ার ঠিক আগের দিন ভারোত্তোলনের কাজল দত্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ভারোত্তোলন, তায়কোয়ান্দো ও জুডো খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পেতে যাওয়া জেসমিন আক্তারের পরিচয়ও বেশির ভাগের অজানা। হকিতে অনেক কৃতী খেলোয়াড়ের আগে মাহবুবুল এহসানের নাম আসায় প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই দীর্ঘ তালিকাও আলোকিত অনেকের নামে, যেমন-কাজী আনোয়ার, মোহাম্মদ মহসীন, আবু ইউসুফ, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, জুয়েল রানা, খাজা রহমতউল্লাহ, মাহবুব হারুন, দিপু রায় চৌধুরী, খালেদ মাহমুদ, হাবিবুল বাশার, মিউরেল গোমেজ, শাহজাহান মিজি, আব্দুল্লাহ আল রাকিব।
হাসিব মোহাম্মদ
অন্যরা যা পড়ছেন
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখলেন কালাম ও মশিউর
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আট জনের মৃত্যু
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
জাতীয়
‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না’
Published
23 mins agoon
এপ্রিল ২৬, ২০২৪By
Anik Mahmudবাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না। বললেন, মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মার্টিন।
ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছেন যে, ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। যুক্তরাষ্ট্র যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এটাই তাঁরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছেন।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে মার্টিন বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি বলছেন। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এ কথা বলছেন বলে দাবি করেন।।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের আধিপত্যবাদী আচরণ দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেয়া হচ্ছে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
আই/এ
জাতীয়
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
Published
12 hours agoon
এপ্রিল ২৫, ২০২৪‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এসব কথা বলেন।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ইস্যু এবং বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মার্কিন দূতাবাস।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ কে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলছে ওয়াশিংটন।’
আইপিএসের ক্ষেত্রে চীন বা রাশিয়ার মতো দেশগুলোর আধিত্যবাদী আচরণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।’
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কীভাবে দেখেন-এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের এই রাজনৈতিক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
এপ্রসঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইপিএস অঞ্চলে বাণিজ্যিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘আপনি আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকান। সেখানে দেখতে পাবেন বিশ্ব বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলে। এই অঞ্চলকে ঘিরে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে। আর একারণেই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’। গত বছরের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।
গেলো বুধবার (২৫ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এ নিবন্ধনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলেন। নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গণমাধ্যমে জানান, রাজশাহী জেলায় উৎপাদিত পান এখন থেকে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’ হিসেবে পরিচিত হবে। জিআই নিবন্ধন পাওয়ার ফলে রাজশাহীর পান বাংলাদেশ তো বটেই, দেশের বাইরের অন্য পানের চেয়েও এটি উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত হবে।
এই পান এবার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, পানের বাজারজাতকরণের এখন থেকে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। রাজশাহীর পানের পরিচিতি, সুনাম ও চাহিদা আরও বাড়বে। এর ফলে চাষিরাও পানের ভালো দাম পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, তানোর, পবা ও পুঠিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পানের বরজ আছে। পান চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক। গত বছর জেলায় ৭৬ হাজার ৬৭৮ টন পান উৎপাদন হয়। রাজশাহীর পান দেশের অন্য স্থানের তুলনায় মিষ্টি। তাই এর চাহিদাও বেশি। আমের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত হলেও আর্থিক মূল্যে জেলার পানের বাজারই বড়।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে পান চাষের সম্প্রসারণের কারণে এখানে দেশের প্রথম পান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
এএম/
জাতীয়
‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না’
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা...
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া...
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’। গত বছরের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে...
১৩৭তম বন্দর দিবসে বর্ণিল আয়োজন
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হলো ১৩৭তম বন্দর দিবস। তৎকালীন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া সরকার...
বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবি: ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ১
নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ১১...
হবু শিক্ষকদের হাতে আগেই পৌঁছে যায় উত্তরপত্র : ডিবি প্রধান
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার...
কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কৃষি ও শিল্প খাত দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইটি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দেশের সেবাখাতের বিকাশ হবে।...
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নাশকতার পৃথক ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানার চার মামলা...
‘অনুমতি মিললেই ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব’
ব্রাজিলের খামারগুলো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পশু প্রস্তুত করা আছে। অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব। জানিয়েছেন...
দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছেন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক এমডিসহ ৯ জন
দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও...
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমানারি পরীক্ষা শুরু
‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না’
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩
চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
‘বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়’
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান
নেতানিয়াহুর জন্য আরও বেশি অপমান অপেক্ষা করছে-হামাস মুখপাত্র
ওমরাহ পালনে বড় সুখবর দিলো সৌদি আরব
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন চট্টগ্রামে
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বলিউড5 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
- বাংলাদেশ7 days ago
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- বাংলাদেশ7 days ago
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
- বাংলাদেশ2 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
- আবহাওয়া6 days ago
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
- দেশজুড়ে5 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
- জাতীয়6 days ago
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
- বাংলাদেশ4 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে