Connect with us

বাংলাদেশ

এখনকার শিশুরা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরব উজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ দেশের গুণী ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে দেয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৮৫ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠককে ‌এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ভরপুর ছিলো ক্রীড়ার তারার মেলা! দেশের বিশিষ্ট খেলোয়াড়, সংগঠক, কোচরা এক ছাদের নিচে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সময় স্বল্পতার জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালের পদকজয়ীদের মঞ্চে পদক দেয়া হয়। 

বিগত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এবার সশরীর উপস্থিত থাকতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সশরীর উপস্থিত থাকতে পারলে খুব ভালো লাগত। আগামীতে অবশ্যই থাকব এবং এই পুরস্কার প্রতি বছর আয়োজন করতে হবে।’

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী খেলোয়াড়রা ভালো করছে। তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’ 

তিনি প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ খেলাগুলো আমাদের চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা করছি। আমরা চাই, আমাদের এ খেলাগুলো আরো এগিয়ে যাক।’ 

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে খেলার সুযোগ কম। শিশুরা ফ্ল্যাটে বাস করে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়েদের প্রতি অনুরোধ, কিছু সময়ের জন্য যেন শিশুরা খেলতে পারে, এমন ব্যবস্থা করতে।’

প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালে নির্বাচিত ৮ জনকে মঞ্চে পদক পরিয়ে দেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পান একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন :

(১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (মরণোত্তর)

(২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৩) নাজমুল আবেদীন (ফাহিম), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট কোচ)

(৪) মোঃ মহসীন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৫) মোঃ মাহাবুবুল এহছান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৬) গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (দাবা)

(৭) বেগম নিলুফা ইয়াসমিন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮) আব্দুল কাদের স্মরণ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৯

(৯) তানভীর মাজহার তান্না, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১০) অরুন চন্দ্র চাকমা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস) (মরণোত্তর)

(১১) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (আর্চারি)

Advertisement

(১২) দিপু রায় চৌধুরী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

(১৩) কাজী নাবিল আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১৪) ইন্তেখাবুল হামিদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (শুটিং)

(১৫) মাহফুজা রহমান তানিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(১৬) ফারহানা সুলতানা (শীলা), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাইক্লিং)

Advertisement

(১৭) টুটুল কুমার নাগ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(১৮) মাহবুবুর রব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

(১৯) সাদিয়া আক্তার উর্মি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৮

(২০) ফরিদা আক্তার বেগম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(২১) জ্যোৎস্না আফরোজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(২২) রফিক উল্যা আখতার (মিলন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

(২৩) কাজী আনোয়ার হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল) 

(২৪) শওকত আলী খান (জাহাঙ্গীর), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(২৫) মীর রবিউজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিকস)

Advertisement

(২৬) মোহাম্মদ আলমগীর আলম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(২৭) তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রেফারি)

(২৮) নিবেদিতা দাস, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(২৯) মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (তায়কোয়ান্দো)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৭

Advertisement

(৩০) শাহরিয়া সুলতানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন)

(৩১) আওলাদ হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট)

(৩২) ওয়াসিফ আলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (বাস্কেটবল)

(৩৩) শেখ বশির আহমেদ (মামুন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৩৪) সেলিম মিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

Advertisement

(৩৫) খোরশেদ আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রোইং)

(৩৬) আবু ইউসুফ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৩৭) এ. টি. এম. শামসুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (টেবিল টেনিস)

(৩৮) রহিমা খানম যুথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৩৯) আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

Advertisement

(৪০) মাহবুব হারুন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৬

(৪১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৪২) লে. কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ), ক্যাটাগরি- সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৪৩) বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভলিবল)

(৪৫) আরিফ খান জয়, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৬) খন্দকার রকিবুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৭) জালাল ইউনুস, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৪৮) তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৯) কাজল দত্ত, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন)

(৫০) তাবিউর রহমান পালোয়ান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (কুস্তি)

(৫১) জেড. আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল) (মরণোত্তর)

(৫২) আবদুর রাজ্জাক (সোনা মিয়া), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

(৫৩) হাবিবুল বাশার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৫

(৫৪) ড. শেখ আবদুস সালাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্যারম)

(৫৫) আহমেদুর রহমান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৫৬) আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৫৭) খাজা রহমতউল্লাহ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৫৮) মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৫৯) ফারহাদ জেসমিন লিটি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৬০) বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৬১) রেহানা জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৬২) জুয়েল রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

Advertisement

(৬৩) জেসমিন আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ান্দো)

(৬৪) শিউলী আক্তার সাথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৪

(৬৫) শামসুল বারী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি) (মরণোত্তর)

(৬৬) এনায়েত হোসেন সিরাজ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৬৭) ফজলুর রহমান বাবুল, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৬৮) সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৬৯) ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৭০) এহসান নামিম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৭১) কামরুন নেছা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৭২) সামছুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৭৩) মিউরেল গোমেজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৭৪) জোবায়েদুর রহমান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৩

(৭৫) মুজাফফর হোসেন পল্টু, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৭৬) কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৭৭) উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভারোত্তোলন)

(৭৮) শামসুল হক চৌধুরী, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৭৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জাহান মিজি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৮০) রোকেয়া বেগম খুকী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮১) মুনিরা মোর্শেদ খান (হেলেন), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস)

(৮২) ইলিয়াস হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৮৩) জ্যোৎস্না আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৮৪) ভোলা লাল চৌহান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (স্কোয়াশ)

(৮৫) খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

হাসিব মোহাম্মদ 

Advertisement

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

তদন্তকাজে বেরিয়ে সাপের কামড় খেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

দিনাজপুরের বিরামপুরে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) সাপের দংশনে আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিজুলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনা গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আব্দুর রশীদ। তিনি বিরামপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক শাহরিয়ার পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে বিষধর কোনো সাপ কামড় দেয়নি।

আহত এসআই আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, সকালে উপজেলার দিওড় বটতলি এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানতে পারি। দ্রুত সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে আহত ড্রাইভার ও হেলপারের নাম ঠিকানা লিখছিলাম। এ সময় চেয়ার বেয়ে একটি সাপ উঠে ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভালো আছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

Published

on

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার (২৭ জুলাই)। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

Advertisement

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত