Connect with us

রংপুর

কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

Avatar of author

Published

on

জনজীবন

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের দাপটে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। গেলো ৬ দিন ধরে কুয়াশার মেঘে সূর্য ঢাকা থাকায় দুর্ভোগে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় পঞ্চপড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সকালে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। গত বিকেলে সামান্য রোদ দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে সূর্য। সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়।

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

Advertisement
Advertisement

অপরাধ

গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ি পলাতক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মহাদেবপুরে সুমনা খাতুন নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার ( ৩১ মে) সকালে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী, শ্বশুর, ও শাশুড়ি পলাতক আছে।

সুমনার বাবা সুজন আলী বিশ্বাস সহ পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় আট মাস আগে মহাদেবপুর গ্রামের সম্রাট হোসেনের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের সময় সম্রাটের পূর্বের একটি বিয়ের কথা তার পরিবার গোপন করে।

এই সময়ের মধ্যে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা সুমনার উপরে নির্যাতন চালাতো । আজ সকালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। সেখানেই সুমনার মৃত্যুর খবর জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়না তদন্তে প্রেরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

নেটওয়ার্ক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে হাজারও গ্রাহক

Published

on

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মফস্বল এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় হালকা ও মাঝারি দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং থাকায় মফস্বল এলাকায় গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাচ্ছে গ্রাহকরা। ফলে মফস্বল এলাকার ওই মোবাইল কোম্পানি টাওয়ারগুলো সোলার অথবা জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্রই মোবাইল নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায়। ফলে উপজেলার মফস্বল এলাকার হাজার হাজার গ্রাহকরা গত কয়েক দিন থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সেই সাথে মফস্বল এলাকায় শতশত বিকাশ, রকেট ও নগদের এজেন্ট ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো লেন দেনসহ গ্রাহকদের মোবাইলে রিচার্জ (টাকা) দিতে না পাড়ায় নিজেরাও ভোগান্তির পাশাপাশি আয়ও কমে যাওয়ায় দুর্দিন পাড় করছে। গ্রাহকরা মোবাইল কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিটি মোবাইল টাওয়ারে দ্রুত জেনারেটর অথবা সোলার প্যানেল স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন।

নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী এলাকার বিমল চন্দ্র সিংহ রায় ও ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষা ফেরুষা এলাকার রনবীর চন্দ্র রায় জানান, কারেন্ট থাকলে নেটওয়ার্ক থাকে। কারেন্ট না থাকলে নেটওয়ার্কের দেখা নেই। এই দুই মোবাইল গ্রাহক জানান গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে শুক্রবার পনে ১ টা পর্যন্ত নেটওয়ার্ক ছিল না। কাল মোবাইলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। শুক্রবার টানা ১৬ ঘণ্টা পর মফস্বল এলাকায় নেটওয়ার্কের দেখা পেলাম। তারা আরও জানান এখনতো ঝড় বৃষ্টির দিন কারেন্ট যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মোবাইল কোম্পানির কর্তৃপক্ষ টাওয়ারগুলো সোলার অথবা জেনারেটরের ব্যবস্থা করলে আমাদের দুর্ভোগ কমতো।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বাজারের নগদ-বিকাশের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ও অনাথ চন্দ্র রায় জানান, গত কয়েক দিন থেকে নেটওয়ার্ক না থাকায় আমাদের ব্যবসা অবস্থা করুন। সেই সাথে গ্রাহকরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এই দুই ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক দ্রুত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

একই বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, গত কয়েক দিন থেকে একদিকে নেটওয়ার্ক অন্য দিকে কারেন্ট না থাকায় একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনসহ বিভিন্ন অনলাইনের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। তাই মফস্বল এলাকায় সব সময় গ্রামীণ টেলিটক, রবিসহ সকল প্রকার নেটওয়ার্ক থাকায় জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

Advertisement

এ ব্যাপারে গ্রামীণ ফোনের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী জোনের এসি (মাঠকর্মী) সুখী নাথ সরকার জানান, কারেন্ট না থাকায় মফস্বল এলাকায় নেটওয়ার্ক থাকে না বিষয়টি শিকার করেন জানান ঝড় বৃষ্টির কারণে এখনো কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ২৭ টি টাওয়ারের নেটওয়ার্ক নেই। এই দুই জেলা মিলে ৭ টি জেনারেটর আছে। সেগুলো দুই জেলার বিভিন্ন শহরে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কারেন্ট থাকলে কোথাও কোন নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে না।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

রানওয়েতে শিয়াল, দেরিতে নামলো বিমান

Published

on

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল ছোটাছুটি করায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট দেরিতে অবতরণ করেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।

জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরীণ রুটের উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এর অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের সময় রানওয়েতে একটি শিয়ালকে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখেন পাইলট। এমন পরিস্থিতিতে উড়োজাহাজ অবতরণ না করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তিনি। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা শিয়ালটিকে তাড়িয়ে দেন। এতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পর পৌনে ৯টার দিকে উড়োজাহাজটি অবতরণ করে।

বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক জানান, বিষয়টি বড় ধরনের কিছু না। দ্রুত নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত