Connect with us

এশিয়া

মালদ্বীপের পর্যটন খাতে ধস নামাতে চাইছে ভারত!

Avatar of author

Published

on

অফুরন্ত সমুদ্রসম্পদ আর শক্তিশালী জাহাজ নির্মাণশিল্প থাকার পরও দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানতঃ নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের ওপর। দেশটির মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ ভাগই আসে এ খাত থেকে। চীনপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসায় মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সম্পর্ক ভাল নয়।এরমধ্যে মালদ্বীপের পর্যটনখাতে ধস নামাতে চাইছে ভারতীয়রা?কিন্ত কেন এমনটা চাচ্ছে ভারতীয়রা

বিশ্লেষকরা মনে করছেন বেশ কয়েকটি কারনেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো- ‘মালদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ’ বিতর্ক। সম্প্রতি লাক্ষা দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তা দেখে মোদিকে অপমানজনক মন্তব্য করেন মালদ্বীপের তিনমন্ত্রী মালশা শরিফ, মারিয়ম শিউনা, আবদুল্লা মাহজুম মজিদ। এথেকেই শুরু দুই দেশের কূটনৈতিক টানা পড়েন।দিল্লি-মালের কূটনৈতিক সম্পর্ক অনেকটাই এখন সাপে-নেউলে।

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় শাসকদল,বিরোধীনেতা ও বিশিষ্টজনেরা। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বলিউড তারকা থেকে শুরু করে ভারতের তাবড় সব শিল্পপতি, ক্রিকেটার, শিল্পী ও গণমাধ্যমকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মলদ্বীপ‘বয়কটের’ডাক দেন অনেকেই। এই দ্বন্দ্ব এমন সময়ে ঘটলো,যখন ভারতকে বাদ দিয়ে দেশটিকে চীনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়তে দেখা যাচ্ছে।ভারতীয়রা মনে করছে চিনের‘প্ররোচনায় মালদ্বীপ সরকার এমন করছে।

অতীতে প্রায় সবসময় ভারতের পাশে ছিল মালদ্বীপ। মালদ্বিপের আগের সরকারগুলোও ভারতপন্থী ছিলো। ২০২৩ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মালে ও দিল্লির মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।

ভারতপন্থী মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রার্থী মুইজ্জু। চীনপন্থী এই দলটির নেতা মুইজ্জু চীনঘেষা ও ভারত-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পরই ভারতবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন মালদ্বীপের এই রাষ্ট্রপতি। সম্প্রতি চীন সফর শেষে দেশে ফিরেই ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,তার দেশ ছোট হতে পারে,তবে তাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই।

Advertisement

ওই সফরে চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের ২০টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও সই হয়। শুধু তাই নয়, মালদ্বীপে আরও বেশি বিনিয়োগ ও চীনা পর্যটক পাঠাতে বেইজিংয়ের প্রতি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান মুইজ্জু।চীনও দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপকে পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে।এর বিনিময়ে চীনের থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে মালদ্বীপ।

দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বলয়ে থাকার পর বেরিয়ে গিয়ে চীনের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপন, চীনা-বিনিয়োগ,চীনা-পর্যটক আকর্ষণকরা-এসব ভালোচোখে নেয়নি ভারত।ফলে বদলা নিতেই ভারতীয়রা‘ মালদ্বীপ বয়কট’এর ডাক দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

এশিয়া

মৌসুমি বন্যায় নিহত ১৪, স্কুল বন্ধ ঘোষণা

Published

on

শ্রীলঙ্কায় মৌসুমি ঝড়ের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় গাছাপালা উপড়ে এবং ভূমিধসে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন পানি ডুবে মারা গেছেন। বন্যার কারণে ৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

রোববার (২ জুন) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর কলম্বোর কাছে  একই পরিবারের তিন সদস্য পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া ১‌১ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণসহ আরও কয়েকজন ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) বলছে, গেলো ২১ মে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে সাতটি জেলায় গাছ পড়ে আরও ৯ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে দেশটিতে আরও ভারী বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমসি।

Advertisement

কলম্বোর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমানের সব ফ্লাইট অন্য একটি ছোট বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্যায় বিমানবন্দরমুখী কয়েকটি প্রধান মহাসড়ক ও প্রস্থানের সড়ক তলিয়ে গেছে।

দেশটির বিশেষজ্ঞরা  বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘন ঘন বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই পদত্যাগ করবেন ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী

Published

on

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব খোলাসা করেছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হলে ইসরায়েলের দুই উগ্র ডানপন্থি মন্ত্রী ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার ও ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

রোববার (২ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বাইডেনের প্রস্তাবিত চুক্তির বিরোধী। শনিবার তারা জানিয়েছেন, হামাস নির্মূলের আগে এই চুক্তি মেনে নিলে তারা পদত্যাগ করবেন। এমনকি সরকার ভেঙে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।

তবে পাল্টা অবস্থান ইসরায়েলের বিরোধী জোটের। যুদ্ধ বিরোধী এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করলে বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং শাসন করার ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া বং সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।

Advertisement

বাইডেনের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে শুরু হবে। যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার জনবহুল এলাকা থেকে প্রত্যাহার করবে। চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তীতে সব জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী শত্রুতার অবসান এবং ব্যাপকভাবে গাজা পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই প্রস্তাবের পর শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অর্থমন্ত্রী মি. স্মোট্রিস জানান তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, হামাসকে ধ্বংস করা এবং সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে না এনে প্রস্তাবিত রূপরেখায় যদি নেতানিয়াহু রাজি হন তাহলে সরকারের এই প্রক্রিয়ার অংশ হবেন না তিনি।

প্রায় একই মনোভাব প্রকাশ করে বেন-গভির বলেন, এই চুক্তির অর্থ হলো যুদ্ধের সমাপ্তি এবং হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্য থেকে সরে আসা।

তিনি বলেন, এই চুক্তি মানে সন্ত্রাসবাদের বিজয়, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে ‘সরকার ভেঙে দেয়ার’ কথা বলেন।

নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোট সংসদে একটি ছোটখাটো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আছে। বেন-গভিরের ওটজমা ইয়েহুডিত (ইহুদি শক্তি) পার্টির ছয়টি আসন রয়েছে। আর স্মোট্রিসের ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টির রয়েছে মাত্র সাতটি আসন। তারা ক্ষমতায় থাকতে জোটবদ্ধ হিসেবে সংসদে রয়েছে।

Advertisement

অপরদিকে, ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী রাজনীতিবিদদের একজন ইয়ার ল্যাপিড। এই সংকটে তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তার সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার দল ইয়েশ আতিদ ২৪টি আসন নিয়ে সংসদে রয়েছে। রাজনীতিতে যাদের ভবিষ্যতও বেশ ভালো।

তিনি বলেছেন, ‘বেন-গভির এবং স্মোট্রিস সরকার ছেড়ে দিলে জিম্মি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহুর জন্য আমাদের সমর্থন আছে।’

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আফগানিস্তানে নৌকা ডুবে প্রাণ গেলো ২০ জনের

Published

on

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশে নৌকাডুবিতে শিশুসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ ২৫ যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশের এক নদীতে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নানগরহার প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান কুরাইশি বদলুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, মোমান্দ দারা জেলার বাসাউল এলাকার একটি নদীতে এ নৌকাডুবি ঘটে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দুর্ঘটনার সময় ৫ যাত্রী কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান। নৌকাডুবির কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

এদিকে, প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত