Connect with us

খুলনা

ভাষাসৈনিক রিজিয়া খাতুন মারা গেছেন

Avatar of author

Published

on

বার্ধক্যজনিত কারণে নড়াইলের ভাষা সৈনিক রিজিয়া খাতুন মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নড়াইলের নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রাসেল।

ভাষা সৈনিক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রিজিয়া খাতুন নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রিজিয়া খাতুনের কফিনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। আজ বাদ আসর জানাজা শেষে নড়াইল শহরের আলাদাতপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানা যায়, ১৯৩১ সালের ১৫ জানুয়ারি এই ভাষা সৈনিকের জন্ম বর্তমান নড়াইল পৌরসভার ডুমুরতলা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুর জালাল। রিজিয়া খাতুন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন অগ্রজ সৈনিক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন শুরু হলে সবার মতো তিনিও রাস্তায় নেমে আসেন। তখন তিনি ছিলেন শহরের দিলরুবা গার্লস হাই স্কুলের (বর্তমান নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) ছাত্রী। অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে মিছিল মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নিতেন। মেয়েদের মধ্যে মিছিলে নেতৃত্ব দিতেন সুফিয়া খাতুন, রিজিয়া খাতুন ও রুবি বেগম।

Advertisement

২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের খবর সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে ওই রাতেই অন্যান্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রিজিয়া খাতুন নড়াইল পৌর পার্কের কালিদাস ট্যাংকের পাড়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভাষা আন্দোলনে তার অবদান স্থানীয়ভাবে স্বীকৃত হলেও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি পাননি তিনি।

জীবিত অবস্থায় তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল ভাষা সৈনিক হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি। সেই আক্ষেপ নিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন রিজিয়া খাতুন।

Advertisement

খুলনা

পহেলা জুন থেকে বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার

Published

on

পহেলা জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট। সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় সকলের জন্য সুন্দরবনের দুয়ার খুলে দেয়া হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল শনিবার (১ জুন) থেকে তিন মাসের জন্য জেলে-বাওয়ালিদের সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকরাও এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। ২০২১ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটক প্রবেশ, সাধারণ মানুষের চলাচলসহ সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২১ সাল থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরেও এটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মূলত সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্রসহ মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এই তিন মাস ব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে।

এদিকে তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ। এ সময় তাদের কোনো রোজগারের পথ থাকবে না।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে প্রবেশ তিন মাস বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে জেলেদের মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব : সুন্দরবন থেকে ১০০ বন্য প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে যাওয়ার পরে সময়ের সাথে বাড়ছে বন্য প্রণীর মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ৯৬ টি হরিণ এবং ৪ টি শূকরসহ মোট ১০০ বন্য প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো।

এ বন সংরক্ষক জানান,  মৃত হরিণগুলো সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেসে আসা ১৮টি হরিণ এবং একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে।

একাধিক বন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে  বনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।

Advertisement

আই/এ

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব : সুন্দরবন থেকে ৫৪ হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার

Published

on

সময়ের সাথে স্পষ্ট হচ্ছে রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের ক্ষত। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১৫টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৪ টি হরিণ এবং ২ টি শূকরের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো।

মিহির কুমার দো জানান, মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা করা হয়। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে।

একাধিক বন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে  বনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত