উত্তর আমেরিকা
ইরান-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে কোন পক্ষে আমেরিকা?
ইরান এবং পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব নিয়ে এবার মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ বাধলে আমেরিকা কোন দিকে ঝুঁকবে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইরান-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন বলেন, শান্তি বজায় রাখতে হবে। বুঝতেই পারছেন, ওই এলাকায় ইরানকে কেউ খুব একটা পছন্দ করে না। এই সংঘর্ষই তার প্রমাণ। আমরা দেখছি কী করা যায়। তবে কী হতে চলেছে, বলা যাচ্ছে না।
গেলো মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠন জইশ আল-আদলের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। তেহরান জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ আল-আদল বা ‘আর্মি অফ জাস্টিস’-এর ঘাঁটি। ইরানের দাবি, এই জঙ্গি সংগঠন তাদের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানের হামলার পরপরই গর্জে ওঠে ইসলামাবাদ। তারা বৃহস্পতিবার ইরানে পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানের হামলায় ইরানে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাক হামলায় নিহতদের ‘নিজের লোক’ বলে দাবি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
পাক হামলাকে ভালো চোখে দেখেনি ইরানও। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবারই তেহরানে পাকিস্তানের সবচেয়ে সিনিয়র কূটনীতিককে তলব করেছে এবং তাঁর কাছ থেকে পাক হামলার কৈফিয়ত চেয়েছে।
বস্তুত, ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কোনও দিনই মসৃণ ছিল না। সম্প্রতি পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে সেই তিক্ততা আরও বেড়েছে। যুদ্ধে প্রথম থেকেই ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে আমেরিকা। অন্যদিকে, ইরান আবার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে এবং প্রকাশ্যে তাদের পাশেও দাঁড়িয়েছে।
এর মাঝে পাকিস্তানে ইরানের হামলা এবং তার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার বার্তা দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করলো।
উত্তর আমেরিকা
আদালতে দোষী সাব্যস্ত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
ব্যবসায়িক নথিতে তথ্য গোপণের মামলা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১১ জুলাই এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বর্তমান বা সাবেক কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন।
শুক্রবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য গোপণের মামলা ওই মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। সাজা হিসেবে ট্রাম্পের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তাকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।
যদিও স্থানীয় সময় ৩০ মে রায় ঘোষণার পরে আদালত থেকে বেরিয়েই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন,এই রায় লজ্জাজনক। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রভাবিত। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের কাছ থেকেই আসল রায় পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরও একবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে সামিল হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে তিনি লড়বেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়লেন ট্রাম্প।
আই/এ
উত্তর আমেরিকা
রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তবে জাতিসংঘের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ পরিষদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে মিলিত হবে। এরপর রাইসিকে নিয়ে তারা বক্তৃতা দিবেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ‘আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাইসিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি না।’
তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ীর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
গেলো ১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ওপর দমন পীড়ন করা কোনো নেতার স্মৃতিচারণ করা উচিত হয়।
টিআর/
উত্তর আমেরিকা
‘সরকার প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যকীয়’
গাজায় হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে এবং সেখানে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার ও সরকার প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যকীয়। বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বুধবার (২৯ মে) মালদোভানের রাজধানী চিসিনাউতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের একটি পরিকল্পনা ছাড়া সামনের দিকে আগানো সম্ভব নয়। এছাড়া গাজায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েল সত্যিই সফল হয়েছে। গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ইসরায়েলকে এককভাবে দায়ী করা উচিত নয়।
যুদ্ধ পরবর্তী গাজা নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পনা না থাকার বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, এর অর্থ হলো হামাস আবার গাজার নিয়ন্ত্রণ নিবে, যা অপ্রত্যাশিত। এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নিয়ে ইসরায়েলকে পরিকল্পনা করার বিষয়ে চাপ দিচ্ছে। তাদের দাবি যুদ্ধের পর একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) মাধ্যমে গাজা পরিচালিত হোক।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন।
তিনি বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে নয় বরং গাজা এবং পশ্চিম তীর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। এজন্য তারা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
টিআর/
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- অপরাধ7 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!