সিলেট
মধ্যরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ কর্মী নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। ট্রাকের ধাক্কায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে নিহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত চারজনই জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেট-জাফলং মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান (২৬), নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে নিহাল পাল (২৫), নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল (২৪) ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২৫) ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর থানা এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রাইভেটকারে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, জৈন্তাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, নিহতরা সবাই তামাবিল স্থলবন্দরে যাচ্ছিলেন ৷ ৪নং বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে পাঠান ৷ সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে আরও দুইজন মারা যান।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বর বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন হওয়ায় তারা এ বিষয়টি দেখভাল করছেন বলেও জানান তিনি।
সিলেট
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু
হবিগঞ্জে রাহুবল উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে দানিছ মিয়া নামে (৫৫) এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) সকালে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। বাহুবল থানার (ওসি) মো. মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দানিছ মিয়া উপজেলার চলিতাতলা মাদরাসার শিক্ষক। তিনি সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে।
এদিকে, গতকাল (৫ মে) সন্ধ্যায় চুনারুঘাটে বজ্রপাতে হালেমা খাতুন (৪৪) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হালেমা খাতুন উপজেলার সাটিয়াজুড়ি ইউনিয়নের দারাগাও গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউল জানান, রোববার জেলার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাত শুরু হয়। হালেমা খাতুন নামে ওই নারী তার বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে তার ওপর বজ্রপাত হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কেএস/
সিলেট
স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে অস্ত্র নিয়ে থানায় হাজির হলেন স্বামী
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিল্পী বেগম নামে প্রবাসফেরত স্ত্রীকে নিজ হাতে গলাকেটে হত্যা করে রক্তাক্ত অস্ত্র নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী সফর আলী। এলাকাবাসী জানান, পরকীয়ায় অন্তঃসত্ত্বা সন্দেহে প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যা করেন তার স্বামী।
রোববার (৫ মে) সকালে কমলগঞ্জ সদর ইউপির বাঘমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সফর আলী বাঘমারা গ্রামের কুদ্দুছ আলীর ছেলে। শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সফর আলী পেশায় রং মিস্ত্রির কাজ করেন নারায়ণগঞ্জে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি প্রেম করে বিয়ে করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিল্পী বেগমকে। তাদের সংসারে সোহাগ নামের পাঁচ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। গেলো পাঁচ মাস ধরে স্ত্রী শিল্পীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সফর আলীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে রমজানের চার দিন আগে সৌদি আরবে যান সফর আলীর স্ত্রী শিল্পী বেগম। গেলো শনিবার (৪ মে) রাতে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন শিল্পী। রোববার সকালে বাড়ি ফিরে স্বামীর বাড়িতে ওঠেন তিনি। স্বামীর বাড়িতে ওঠার পর স্বামী সফর আলী জানতে পারেন, তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি শোনার পরপরই পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্বামী সফর আলী দা দিয়ে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করেন।
পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, আসামি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএস/
কৃষি
হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
হাওর ভুক্ত ৭ জেলার ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাট শেষ হয়েছে। এ বছর হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, পাকা ধান দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদেরকে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিয়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওরভুক্ত ৭টি জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এবছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।
- ঢালিউড6 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক6 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- তথ্য-প্রযুক্তি5 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- ঢালিউড6 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ6 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়2 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ4 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা2 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা