Connect with us

জাতীয়

অতি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

হাছান-মাহমুদ

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কোনো সময় ভালো ছিল না। কখনো একটু ভালো হয়, আবার কখনো একটু খারাপ হয়। এ পরিস্থিতি সবসময় বিরাজমান। আমরা আশা করি, এ পরিস্থিতি সবসময় থাকবে না। আমরা অতি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের প্রেসিডেন্টের কো-অর্ডিনেটর দেখা করতে আসেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকার। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। আমাদের সঙ্গে চীন, ভারত, রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউকের সঙ্গেও চমৎকার সম্পর্ক। আজ সকালে চীনের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে জাতিসংঘের প্রেসিডেন্টের কো-অর্ডিনেটর এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করেছেন।

আম আমদানি করতে চায় চীন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। বিশেষ করে আমাদের দেশের বড় বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সেতু নির্মাণে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচনের পরপরই চীনের প্রেসিডেন্ট অভিনন্দন জানিয়েছে। চীনের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগিতা রয়েছে। এই বাণিজ্য এখনও চীনের ফেভারে। চীন থেকে আমরা তিসি আমদানি করি এবং গম রপ্তানি করি। এ বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়া, মাংস, সিফুড ও মাছ আরও বেশি আমদানি করতে চায়। এর বাইরে তারা বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে চায়।

Advertisement

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছরের সেকেন্ড হাফ অর্থাৎ জুলাই মাসের পর থেকে তারা আমদানি করতে পারে। আমরা যেহেতু গম রপ্তানি করি এবং চীন আমাদের বড় একটা মার্কেট, এজন্য শুল্কমুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আমরা যাতে চীনের শুল্কমুক্ত পণ্য প্রবেশের সুবিধা পাই।

হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আমাদের দেশের জন্য একটি বোঝা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে ২০১৭ সালে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। সেই সময় ওই এলাকার মানুষ তাদের হৃদয়ও খুলে দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমারের শরণার্থীরা কক্সবাজারে যে এলাকায় আছে, সে এলাকার বাসিন্দারা এখন মাইনরিটি হয়ে গেছে। মিয়ানমারে সব রাইটসহ তাদের প্রত্যাবর্তন একমাত্র সমস্যার সমাধান। এটা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে। আমরা চীনের সহযোগিতা কামনা করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারের সঙ্গে এনগেজমেন্টের মধ্যে আছে। তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারা মিয়ানমারকে বলছে, অন্তত বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনটা শুরু করার জন্য।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার হয়ত খুব দ্রুত প্রত্যাবর্তন শুরু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএন প্রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে তার সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু যেন ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইট থেকে হারিয়ে না যায়, কারণ ২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যু যেভাবে ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইটে ছিল পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলো, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলো, তখন রোহিঙ্গা ইস্যু ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইট থেকে কিছুটা হলেও দূরে সরে গেছে। এটি যেন না হয়, সেজন্য তার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে যেভাবে ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ব্যক্ত করেছেন, আমার কাছে করেছেন, বিশ্বমণ্ডলে বিভিন্ন জায়গায় করে চলেছেন, সেগুলো সঙ্গে ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিসের মাঝে মধ্যে যে বিবৃতিগুলো এসবের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে, সেই বিষয়েও আমি আলোচনা করেছি। কারণ তারা বায়াসড ও রং সোর্স থেকে ইনফরমেশন পায়। তিনি বলেছেন, এ বিষয়টি তিনি দেখবেন।

হাছান মাহমুদ বলেছেন, নেপাল আমাদের ইমিডিয়েট প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের উত্তরে দূরত্ব হচ্ছে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। আমাদের দুই দেশের মধ্যে আরও অর্থনৈতিক সম্পর্ক যেন বিস্তৃত হয়, পিপল টু পিপল কন্ট্রাক্ট যেন আরও বিস্তৃত হয়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি সেটি হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং এনভারনমেন্ট ইস্যু। ইতোমধ্যে নেপালের সঙ্গে ৪০ মেগাওয়াট ইলেক্ট্রিসিটি আমদানির চুক্তি করেছি। ট্যারিফ নিয়ে আমাদের মধ্যে নেগোশিয়েশন হচ্ছে। আমরা যেন সেখান থেকে আরও বেশি জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে পারি, আমাদের ইনভেস্টররা যেন সেখানে ইনভেস্ট করতে পারে– এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তিনি আমার কাছে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সেটি হস্তান্তর করেছেন। একই সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, সেটিও আমার কাছে হস্তান্তর করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

Published

on

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ফাইল ছবি

‘নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের দুই দেশের মানুষ সহযোগিতা করতে পারে এমন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে। ’

মঙ্গলবার(২৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের লক্ষ্য এক। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা এবং একে অপরকে এটি অর্জনে সহায়তা করতে আমাদের উভয় দেশের মানুষকে একত্রিত করার জন্য কাজ করি।’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তা দুই দেশের সহযোগিতার একটি মূল ক্ষেত্রকে তুলে ধরে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘সেটি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আমাদের উভয় দেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ুর ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের একটি মূল ক্ষেত্র এ ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের দুই দেশই সমস্যা সমাধানে আরও বেশি সক্ষম হবে। আমাদের উভয় দেশই জনগণের সুরক্ষা এবং তাদের শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ জীবনযাপনে সহায়তা করতে চায়।’

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সব নাগরিককে হেলথ আইডি দেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

ফাইল ছবি

নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩ হাজার ৮৮৯টি ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান করা হয়েছে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে দ্রুতই এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেয়া হবে। বললেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা কর্তৃক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডেঙ্গু রিপোর্টিং তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষাকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে একই রোগীর একাধিক রিপোর্ট রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৪টি হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৫২ লিটার, স্যালাইন সেট ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৯টি, মশারি ২৬ হাজার ১৩৫টি ও ডেঙ্গু টেস্ট কিট ১ লাখ ১ হাজার ১৫৯টি মজুত রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ২ লাখ কিট মজুত আছে। যার মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার কিট ৬৪ জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৮৮ হাজার কিট মজুত আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে বর্তমানে সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এছাড়া ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের আরও ভূমিকা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে জাপানের ভূমিকা আরও বাড়ানো এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সফররত জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওনো কেইচির সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরঙ্গ সহযোগী হিসেবে জাপানের বিস্তৃত ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং মে মাসে দুদেশের মধ্যে ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বিষয়ে প্রথম রাউন্ড আলোচনার ফলাফলকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এসময়ে তিনি  ২০২৬ সালে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের পরও জাপানের অগ্রাধিকারভিত্তিক বিভিন্ন সুবিধা চালু রাখার প্রক্রিয়ার ওপরও জোর দেন।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পর্যালোচনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ইস্যু এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাপানের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সিনিয়র উপমন্ত্রী ওনো কেইচি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত