জাতীয়

প্রণোদনা তুলে নেয়ায় কতটা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে?

প্রণোদনা তুলে নেয়ায় কতটা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে?
তৈরি পোশাক-সহ রপ্তানি পণ্যের ওপর সরকারি নগদ প্রণোদনা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে বলে সম্প্রতি এক সার্কুলারের মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের খাত, তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা বলছেন এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে এই খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ওপর। হারিয়ে যেতে পারে বিকল্প বাজার তৈরির সম্ভাবনা। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেহেতু বেশ সময় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে, তাই এটি খুব বেশি একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না। বরং ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা-নির্ভর এই কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতানির্ভর বাজারের দিকে ঝুঁকতে হবে। গেলো (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মোট ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা দিয়ে থাকে সরকার। তৈরি পোশাক খাত ছাড়ার এর আওতায় রয়েছে, পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি খাত, চামড়াজাত দ্রব্য, হাতে তৈরি পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি, নানা ধরণের কৃষিপণ্য, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, হিমায়িত পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ইত্যাদি। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে অল্প অল্প করে এই প্রণোদনা কমিয়ে আনা হবে। সার্কুলারে বলা হচ্ছে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা একবারে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেই বিবেচনায় অল্প অল্প করে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ যেহেতু ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে, তাই এই প্রণোদনা প্রত্যাহার করতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে গেলে তারা কোনও রপ্তানি প্রণোদনা দিতে পারে না। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন হারে প্রণোদনা দেয়া হয়। এগুলো হচ্ছে, শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে ৩ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য অতিরিক্ত ১ শতাংশ, নীট, ওভেন ও সোয়েটার খাতের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অতিরিক্ত ৪%, নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা হিসেবে ৩ শতাংশ এবং তৈরি পোশাক খাতে ০.৫০ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা। এছাড়া তৈরি পোশাক খাতে সব বাজারে সব পণ্যের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে দেশের পোশাক রপ্তানি ৪৭.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রণোদনা | তুলে | নেয়ায় | কতটা | প্রভাব | পড়বে | বাংলাদেশের | গার্মেন্টস | শিল্পে