জাতীয়
ইজতেমায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/02/ইজতেমা.jpg)
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এবারের ইজতেমায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হলো। বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগ অসুস্থ হয়ে তারা মারা যান।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা পর্যন্ত ময়দানে আসা তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) মারা গেছেন ৪ জন। এছাড়া ময়দানে আসার সময় এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন- শেরপুরের সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত শমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণার সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লিরা হলেন, নেত্রকোণার সদর থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুরের তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হজরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
এছাড়া ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০)।
জাতীয়
বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/১১-41.jpg)
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে দলের প্যাডে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঐক্যের আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা নূন্যতম এক দফার ভিত্তিতে ও দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি তরান্বিত করতে ইনশাল্লাহ।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।’
প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে সরকার পতনের আন্দোলন থাকে। উল্লেখযোগ্য অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো-গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এমআর//
জাতীয়
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-304.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।
এএম/
জাতীয়
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-302.jpg)
ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার (২৭ জুলাই)। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।
সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।
বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এএম/
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়11 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়2 days ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়3 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস18 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়1 day ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়23 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী