Connect with us

বাংলাদেশ

ইভিএমে চ্যালেঞ্জ একটাই, সেটি হলো ডাকাত-সন্ত্রাসী : ইসি আহসান

Published

on

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের সময় ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে ‘সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের’ উপস্থিতিকেই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান। এ ধরনের সন্ত্রাসী-ডাকাতদের অপতৎপরতা ছাড়া ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে আর কোনো চাপ নেই,জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে (কুসিক) বিভিন্ন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের ইভিএম কাস্টমাইজেশন দেখানো হয়।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব বলেন, ইভিএমে চ্যালেঞ্জ একটাই, প্রতিটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে একজন করে ডাকাত ও সন্ত্রাসী দাঁড়িয়ে থাকেন আর ভোটাররা এলেই বলেন- ‘আপনার ভোট হয়ে গেছে, চলে যান’। দিস ইজ দ্যা চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে এর বাইরে আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না।

তবে আগামী দিনে কোনো নির্বাচনে এরকম কিছু হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে, সাংবাদিকদের অ্যালাউ করা হবে। কোথাও এরকম কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই। কোনো চাপ নেই। আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবেই কাজ করবো, দেখবেন। আমি কথা কম বলতে চাই।

Advertisement

কুসিক নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রতিনিধিদের কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আহসান হাবীব বলেন, তাদের অনেক প্রশ্ন ছিল। সেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। ভবিষ্যতে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হবে।

কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে বা আঙুল কেটে গেলে তা সমাধানে প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে ১ শতাংশ ক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভিডিও কল দিয়ে দেখা হবে এরকম কতজন রয়েছে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব থাকবে না।

২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগরীর জামালখান এলাকার একটি ওয়ার্ডের ১৪টি ভোটকেন্দ্রে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিন ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়। সেবার নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ইভিএমে ভোটে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ইভিএম নিয়ে বেশ আগ্রহী হলেও রাজনীতিতে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকেই এ যন্ত্রের বিরোধিতা করে আসছিল। বিএনপির অভিযোগ, এ যন্ত্র দিয়ে দূর থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু বলেছেন, ইভিএম ভালো, কিন্ত যারা পরিচালনা করবেন তারা তো নিরপেক্ষ নন। ইভিএমে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কুসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৭ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ হয় ২৭ মে। আগামী ১৫ জুন এ সিটির ১০৫টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদের জামিন আবেদন

Published

on

হাইকোর্ট

ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত।

সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এর আগে গেলো ২৭ জুন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন একই সংগঠনের সাবেক এক নেত্রী। ইডেন কলেজের সাবেক ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর একাধিকবার ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তিনি।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এজাহারকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক।

এজাহারের অভিযোগ অনুযায়ী, ইডেন কলেজে পড়ার সময় ২০১৪ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান বাদী। সেখানে গিয়ে ফুয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদী ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা ‘শরীয়াহ মোতাবেক’ বিয়ে করেন।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন ফুয়াদ। বাদী তাতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে বাদীকে ওষুধ মিশিয়ে জুস খাওয়ান ফুয়াদ। এরপর বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন, নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা। পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির আশ্বাস দিয়ে বাদীর ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ফুয়াদ ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জঙ্গি তৎপরতা রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

Published

on

জঙ্গি

অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ। অনলাইনের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বললেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

সোমবার (০১ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সচেতন শ্রেণির মানুষ ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কীভাবে চলছে, কার সঙ্গে চলছে, কতক্ষণ তার সন্তান মোবাইলে থাকছে, একা একা থাকছে সবকিছু খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈষয়িক সমস্যা। বাংলাদেশেও এর থেকে মুক্ত নয়। এরপরও পুলিশের সিটিটিসি, এটিইউ ও জঙ্গি দমনে অন্যান্য বাহিনীর দক্ষতা ও দুরদর্শিতা বাংলাদেশকে সুন্দর অবস্থায় রেখেছে। জঙ্গি দমনে বিশ্বে রোল মডেল পরিচিত পেয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে দেখে থাকি জঙ্গি আক্রমণের পরে অপারেশন হয়, কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র উদাহরণ যে জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার তথ্য পুলিশের কাছে ছিল এবং ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং করে জঙ্গিদের অ্যাটাক করতে পেরেছি এবং অনেক ক্ষেত্রেই নির্মুল করতে পেরেছি।

Advertisement

হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে কোনো ঘটনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি চলমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবো।

জঙ্গিদের অর্থায়নে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্সের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি কিংবা সংগঠন তাদের পেছনে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোনও অর্ডার করিনি, অনুরোধ জানিয়েছি : এসবি প্রধান

Published

on

সংবাদে অতিরঞ্জিত ও খণ্ডিত তথ্যের কারণে প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। প্রতিবাদলিপিতে আমরা কোনও নির্দেশনা দেইনি। আপনাদের কোনও অর্ডার করিনি। শুধু পুলিশ নয়, যেকোনও নিউজ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করেছি। এটি পেশাগতভাবে আসলে যেকেউ করতে পারে। অনুরোধ রাখা না রাখা আপনাদের বিষয়। আপনাদের শুধু অনুরোধ করেছি। বললেন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানের দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এসবি প্রধান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপ্রকাশ হওয়ার পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। সেই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। আপনাদের কোনও অর্ডার করিনি। অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি ব্যক্তির দায় সংগঠনের বা বাহিনীর না। কিন্তু পাশাপাশি অতিরঞ্জিত এবং খণ্ডিত তথ্য থাকে। যেমন আমাদের এক কর্মকর্তার বিষয়ে বলা হয়েছিল তিনি সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। আসলে তিনি পালিয়ে যাননি।

মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায়র পর অনেক দেশ মনে করেছিল এই জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আরও জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলেও অনেকে মনে করেছিলো। তবে দেশে এখন জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত