Connect with us

পরামর্শ

জরায়ুর ক্যানসার কী, মুক্তি পাবেন কীভাবে?

Avatar of author

Published

on

জরায়ুর ক্যানসারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিজের মৃত্যুর গুজব ছাড়ালেন পুনম পাণ্ডে। জরায়ুমুখের ক্যানসারেই তারকার অকালমৃত্যু। পরে জানালেন, তিনি বেঁচে আছেন, জরায়ুমুখের ক্যানসারের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে ছিলেন তিনি।

জরায়ুমুখের ক্যানসার কী, তা জানতে আগ্রহী অনেকে। মহিলাদের জরায়ুমুখের ক্যানসার বা সার্ভাইক্যাল ক্যানসারে মৃত্যুহারও বেশি। কেন হয় এই মারণ রোগ? মুক্তি পাবেন কীভাবে?

কারণ

সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের জন্য মূলত দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসের অনেক ধরন রয়েছে। তার মধ্যে এই ভাইরাসের ১৬, ১৮, ৩১, ৩৩ স্ট্রেন ক্যানসারের বাহক। সাধারণত যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ও ক্যানসার ডেকে আনে। মূলত যাদের একধিক যৌনসঙ্গী তাদের মধ্যে ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও ওবেসিটি বা অতিরিক্ত মেদ, ধূমপান ও মদ্যপান করার প্রবণতাও এই ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়।

মুক্তি পাবেন কীভাবে?

Advertisement

অতিরিক্ত সাদাস্রাব, মাসিকের পরও রক্তপাত, মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরও রক্তক্ষরণ, কোমরে ব্যথা হলে সাবধান হতে হবে।

৫০ ঊর্ধ্বদের যদি মেনোপজ পরবর্তী ব্লিডিংয়ের উপসর্গ থাকে, আর ব্যথা যদি কোমরের উপর থেকে ক্রমশ ঊরু হয়ে পায়ের নিচের দিকে যায় তা হলে খুব সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। এই ব্যথা ক্রমাগত চলতেই থাকে। সারতে চায় না।

প্যাপস স্মিয়ার টেস্ট অত্যন্ত প্রয়োজন

পেপ টেস্ট এর মাধ্যমে জরায়ুমুখের কোষ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষায় কোষের এমন কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয় যা ধীরে ধীরে ক্যানসারের রূপ নিতে পারে। অর্থাৎ এ পরীক্ষাটি জরায়ু মুখের ক্যানসারের পূর্বাবস্থা নির্ণয় করতে সক্ষম। যা দেখে সহজেই চিকিৎসা সম্ভব। এ পরীক্ষার জন্য চামচের মতো একটি যন্ত্র মাসিকের রাস্তা দিয়ে ব্রাশ এবং কাঠির সাহায্যে জরায়ু মুখ থেকে কোষ নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে আপনি তেমন ব্যথা পাবেন না, তবে সামান্য অস্বস্তি লাগতে পারে। এই টেস্টটি হল সার্ভাইক্যাল বা জরায়ুর মুখের ক্যানসার নির্ণয়ের একটি অন্যতম স্ক্রিনিং পদ্ধতি।

বিকল্প ভিআইএ (VIA)

Advertisement

পেপটেস্ট-এর একটি বিকল্প হচ্ছে VIA (Visual Inspection with Acetic Acid) টেস্ট, যা আরও সহজে এবং কম খরচে করা যায়। বলা ভাল, জরায়ুমুখের ক্যানসার একটি প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসার। তাই এই টেস্টের মাধ্যমে ক্যানসার পূর্বেই নির্ণয় হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।

এক্ষেত্রে জরায়ুর মুখে এক ধরনের অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করা হয় সেখানে কোনও টিউমার রয়েছে কি না। সংকটজনক কিছু দেখলে সেক্ষেত্রে বায়োপসি করতে বলা হয়। এই পরীক্ষায় খরচও কম।

অল্প বয়সের সচেতনতা

৫০ বছর বয়সের পর এই ক্যানসারের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু এই ক্যানসারের ভাইরাস কিন্তু অনেক অল্প বয়স থেকে শরীরে প্রবেশ করতে পারে অজ্ঞতার কারণে। তাই অল্প বয়স থেকেই কিছু ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকা দরকার। যেমন-

১. সহবাসের সময় কন্ডোমের ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ।

Advertisement

২. সেক্স হাইজিন মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ সহবাসের পর পরিষ্কার হওয়া, রক্তপাত হলে সতর্ক হওয়া দরকার।

৩. মাসিকের সময় পরিচ্ছন্ন থাকাটাও খুব জরুরি।

৪. একাধিক পার্টনার থাকলে বেশি সতর্ক হতে হবে।

ভ্যাকসিন

সাধারণত এখন ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের মধ্যেই সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের ভ্যাকসিন রয়েছে। এটা নিতে হবে। সাধারণত প্রথম যৌন মিলনের আগে এই ভ্যাকসিন নিতে হবে। তবেই এই প্রতিষেধক কার্যকর হবে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে এই ভ্যাকসিন মোটামুটি ১৪-১৮ বছর বয়সের মধ্যে নিয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভাল। সার্ভারিক্স, গার্ডাশিল ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। যাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ বা বয়স চলে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সঙ্গমের সময় কন্ডোমের ব্যবহার অতি জরুরি। এক্ষেত্রে কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা অন্যান্য ধরনের কন্ট্রাসেপটিভ হিউম‌্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে কিন্তু প্রতিরোধ করতে পারে না।

Advertisement
Advertisement

পরামর্শ

লেবুতে রস আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

Published

on

সারাদেশেই বইছে তীব্র দাবদাহ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে বা ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। বার বার পানি পান করেও তৃপ্ত হচ্ছে না দেহ। শরীর চাঙ্গা রাখতে লেবুর শরবতে জোঁকছে অনেকে। বাইরে থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরার পর কেউ যদি এক গ্লাস লেবুর শরবত এগিয়ে দেন, উল্টো দিকের মানুষটির মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য। এই গরমে চাঙ্গা এবং চনমনে থাকতে লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার।

তবে তার জন্য বাড়িতে পাতিলেবু থাকা চাই। শুধু পাতিলেবু থাকলে চলবে না, তাতে রসও থাকতে হবে। পাতিলেবু চিপে রস বেরোবে কিনা, তা আগে থেকে বলা যায় না। বাইরে থেকে দেখে তরতাজা মনে হলেও, বাড়ি নিয়ে আসার পর ভুল ভাঙে। তবে রসে টইটুম্বর লেবু চেনার কিছু টোটকা রয়েছে। জেনে রাখলে ঠকতে হবে না।

১. লেবুর খোসার অংশটিতে হাত বুলিয়ে পরখ করে নিন মসৃণ কিনা। যদি মসৃণ না হয়, তা হলে সেটা না নেওয়াই শ্রেয়। কারণ অমসৃণ খোসাযুক্ত লেবুতে রসের পরিমাণ কম থাকে। চকচকে, মসৃণ ত্বক দেখেই লেবু কিনে আনুন।

২. রসালো লেবু চেনার ক্ষেত্রে রং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে লেবুগুলিক পাক ধরেছে, হলুদ রং এসেছে সেগুলি নিশ্চিন্তে নিতে পারেন। সবুজ লেবু কচি হলেও, তাতে রস বেশি নয়। গন্ধই আছে শুধুমাত্র।

৩. রসের ভারে লেবুর ওজনও বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই হাতে নিয়ে দেখুন ভারী লাগছে কিনা। যদি ওজনদার মনে হয়, তা হলে নিতে পারেন। ছোট, হালকা ওজনের লেবুতে রসের পরিমাণ কম।

Advertisement

৪. হাড়িতে চাল টিপে যেমন বোঝা যায় ভাত হয়েছে কিনা, তেমনই লেবুর গায়ে চাপ দিয়ে বোঝা যায় সেটা শুকনো না রসালো। রস থাকলে লেবু নরম হয়। কিন্তু শুকনো লেবু বেশ শক্ত হয়। হাতে নিয়ে পরখ করে দেখলেই দু’টো অবস্থার ফারাক বোঝা যাবে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

Published

on

কর্মব্যস্ত জীবনে আমরা সময় বাঁচানোর জন্য কয়েকদিনের খাবার একসঙ্গে রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেই এবং পরে সেটা অল্প অল্প করে গরম করে খাই। এটি আসলেই একটি ভালো অভ্যাস। কথায় বলে, অলস ব্যক্তির ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নাকি ওভেন। টেবিলে খাবার রেখে মুঠোফোন স্ক্রলিংয়ে ব্যস্ত। দুই ঘণ্টা পর চায়ের কাপে চোখ পড়লো। মনে পড়লো, চায়ে তো আর চুমুক দেয়া হয়নি। সহজ সমাধান হিসেবে ঠান্ডা চা ঢুকিয়ে দিলেন ওভেনে। এ রকম ঘটনা সচরাচর ঘটছেই। চুলায় গরম করাও ক্ষতিকর। ওভেনে সেই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। পুষ্টিমান কমতেই থাকে। জেনে নিন, কোন খাবারগুলো পুনরায় গরম করলে বিষাক্ত হতে থাকে।

এক. চা

বিশ্বের জনপ্রিয় পানীয়গুলোর একটি চা। অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় চা বানিয়ে উষ্ণ থাকতেই তা পান করা হয়ে ওঠে না। ঠান্ডা হয়ে গেলে সে চা অনেকেই গরম করে খেয়ে থাকেন। এটা করা যাবে না। চা দ্বিতীয়বার গরম করলে তাতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা পান করলে বদহজম বা পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দুই. আলু

আলু আমাদের সবচেয়ে ‘আপন’ সবজি। সবকিছুর সঙ্গেই তার ভাব। রান্নার পর আলু পুনরায় গরম করার ফলে এর পুষ্টিমান কমতে থাকে। এমনকি রান্না করা আলু লম্বা সময় ধরে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলেও এর পুষ্টিমান কমতে থাকে। এমনকি বিষাক্তও হয়ে পড়ে। তাই যে খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাবেন, সেখানে আলু দেবেন না।

Advertisement

তিন. ডিম

ডিম এতটাই সহজলভ্য যে একে বলা হয় ‘গরিবের প্রোটিন’। ব্যাচেলররা তো ‘দিন আনি দিন খাই’ কথাটাকে পাল্টে ‘ডিম আনি ডিম খাই’তে পরিণত করেছেন। প্রোটিনের ‘পাওয়ার হাউস’ ডিম অত্যধিক তাপমাত্রায় পুনরায় গরম করলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। কেননা, পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে তা ‘টক্সিক’ হয়ে পড়ে।

চার. পালংশাক

পালংশাকে থাকে প্রচুর আয়রন। পালংশাক দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে আয়রন অক্সিডাইজড হয়ে যেতে পারে, যা থেকে দেহে নানা সমস্যা হতে পারে।

পাঁচ. রান্নার তেল

Advertisement

রান্নায় ব্যবহৃত তেল কোনোভাবেই পুনরায় ব্যবহার করবেন না। এর মধ্যে টক্সিন তৈরি হতে পারে।

সাত. মাশরুম

মাশরুম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই প্রোটিনে ভরপুর। দ্বিতীয়বার গরম করলে মাশরুমের প্রোটিনের কম্পোজিশন ভেঙে যেতে পারে।

আট. ভাত

ভাত দ্বিতীয়বার গরম করলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে ডায়রিয়া হতে পারে।

Advertisement

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ফ্রিজে সবজি টাটকা রাখবেন যেভাবে

Published

on

ফ্রিজে রাখলেও টাটকা থাকছে না সবজি। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সবজি খাওয়ার উপায় থাকছে না। তা ছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে শাক সবজি সংরক্ষণ না করলে রান্না করা পর্যন্ত তার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে না। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিজে সবজি টাটকা রাখার পদ্ধতি।

১. সবজি বাড়িতে এনে অনেকেই ঝুড়িতে বা অন্য কোনও পাত্রে রেখে দেন। তাতে সবজি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সবজির পুষ্টিগুণও চলে যেতে পারে। শাক সবজি, ফলমূল তাজা ও সতেজ রাখতে সেগুলি ফ্রিজে তুলে রাখুন। কিংবা সুতির নরম কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে তাতে সবজি গুলি মুড়ে রাখতে পারেন। তবে এই টোটকা সব সবজির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। টমেটো বা কাঁচামরিচ এ ভাবে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একান্তই প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখলে ব্যাগে দু-একটা ছিদ্র করে রাখতে পারেন।

২. বাজার থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেওয়া সবজি অনেকেই বাড়িতে এনে সে ভাবেই রেখে দেন। এতে সবজির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি পচেও যেতে পারে। তাই বাজার থেকে সবজি কিনে আনার পর তা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বার করে খোলা হাওয়ায় রাখুন। তাতে সবজি বেশ অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।

৩. শাকসবজির পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রান্নার পদ্ধতিও সঠিক হওয়া প্রয়োজন। শাক সবজির পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তা কতটা আঁচে বা কত ক্ষণ ধরে রান্না হচ্ছে। বেশি ক্ষণ ধরে অতিরিক্ত আঁচে রান্না করা ঠিক নয়। এতে সব পুষ্টিগুণই চলে যায়। এ ছাড়াও রান্নায় কত জল দেবেন তার উপরও নির্ভর করছে রান্নার পরেও সবজি কতটা পুষ্টিকর থাকবে। তাই শাকসবজি দিয়ে তরকারি রান্না করার সময়ে কম আঁচে রান্না করুন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত