Connect with us

রাজশাহী

নার্সিং কলেজের পরীক্ষা স্থগিত, তিন শিক্ষক বরখাস্ত

Avatar of author

Published

on

নার্সিং-কলেজের-পরীক্ষা

বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের। ফলে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রামেবির অধিভুক্ত নার্সিং কলেজগুলোতে বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ নার্সিং (পোস্ট বেসিক) এবং বিএসসি ইন মিডওয়াইফারি (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গেলো ১ জানুয়ারি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয় রামেবি কর্তৃপক্ষ। রামেবিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আনোয়ার হাবিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

অন্যদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বগুড়া নার্সিং কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- আবদুল বারী সরকার, মোস্তানুর সুলতানা ও গুলনাহার খাতুন। রামেবিতে প্রশ্নপত্র তৈরির সময় তারা সেখানে ছিলেন বলে জানা গেছে।

রামেবি সূত্র বলছে, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও প্যারামেডিকেল কলেজ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। রোববার অধিভুক্ত নার্সিং কলেজগুলোতে বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ নার্সিং (পোস্ট বেসিক) এবং বিএসসি ইন মিডওয়াইফারি (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর জন্য সকল প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন সংশ্লিষ্ট কলেজগুলো। কিন্তু তার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়।

এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় ওইসব কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অসন্তোষ সৃষ্টি হয় রামেবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝেও। প্রশ্নপত্রের সার্বিক দায়দায়িত্ব হলো রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের। কিন্তু ওই শাখা থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় কীভাবে- এমন প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

জানা গেছে, এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কয়েক বার। কিন্তু এসব নিয়ে কখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এবারের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয় রামেবি কর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলে রামেবি কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘রামেবির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাদের কারণে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেলো ১৭ জানুয়ারি প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। বগুড়া নার্সিং কলেজের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আবদুল বারী সরকার, মোস্তানুর সুলতানা ও গুলনাহার খাতুন প্রশ্নপত্র তৈরির সময় রামেবিতে ছিলেন। এরপর ৩০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রামেবির নিজস্ব পরিবহনে এই অঞ্চলের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ভল্টে ভল্টে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়। রোববার থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। এর আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আর ওই তিন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বগুড়া নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ আরশে আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের আরও কয়েকজন শিক্ষক প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করার সময় ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় জানতে পেরেছে যে, তারা প্রশ্ন ফাঁস করেছেন। সে জন্য গেলো বৃহস্পতিবার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটির চিঠিতে বিষয়টি আমি জেনেছি।’

এ বিষয়ে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হাবিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (ভিসি) এ. জেড. এম মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তদন্ত করবে। তারা একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। এখন দেখা যাক কারা এর সঙ্গে জড়িত।’ এ সময় তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement
Advertisement

রাজশাহী

পুলিশকে কামড় দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

Published

on

রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলায় পুলিশের দুই নারী কনস্টেবলকে কামড় দেয়ার ঘটনায় নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মোহনপুর উপজেলা চত্ত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) হরিদাস মন্ডল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো সোমবার রাতে বাকশিমইল  কাঁচা বাজারে দুই নারী কন্সটেবল সাথী রানী শীল , শান্তনা মহান্ত  বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন । এ সময়ে সাথীর হাতে ক্যানুলা দেখে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা  জিজ্ঞাসা করেন সাথী রানী শীলের হাতে কী হয়েছে। তারা দুজন কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করলে হাবিবা গালাগাল শুরু করেন।

এসময় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা তাদের বলেন মোহনপুর থানায় চাকরি করতে হলে তার কথার জবাব দিতে হবে। তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে তুই সম্বোধন করে কথা বললে দুই পক্ষের  মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে হাবিবা দুই কনস্টেবলকে লাথি মারেন। এর মধ্যে শান্তনা মহান্তর বাম হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে আহত করেন ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা। হাবিবার হামলায়  কনস্টেবল সাথী রানী শীল আহত হন।

Advertisement

এ ঘটনায় আহত নারী কনস্টেবল শান্তনা রানী মহন্ত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে। পুলিশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হাবিবা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

রাজশাহীতে আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, হাতবোমা বিস্ফোরণ

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। রাজশাহীতে এ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ১০ টি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে  শুরু হওয়া সংঘর্ষে রাজশাহী জিরোপয়েন্ট, রাণীবাজার, অলোকার মোড়, নিউমার্কেট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় ।

জানা যায়,  পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর জিরো পয়েন্টে এর দিকে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের সামনে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ  ভাংচুর করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।  পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে লাঠি চার্জ  করে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য ছাড়াও  লাঠি চার্জে  বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

Advertisement

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করে। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীর আত্মহত্যা

Published

on

আত্মহত্যা

রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। গত তিনদিন আগে স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে স্বামী জারমান আলী (২০) আত্মহত্যা করেন। বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে এক আম বাগান থেকে সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা লক করা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তিনি দেখতে পন সাগরিকা তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পুলিশ জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে।

সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার জারমান আলীর বাবা নওশাদ আলী ও তার সৎ মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আর জারমান পলাতক ছিলেন।

স্ত্রীর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার নিজ বাড়ির ৪শ’ মিটার দুরে আম বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জারমান আত্মহত্যা করেছেন। মামলার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা করছে থানা পুলিশ।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত