Connect with us

আইন-বিচার

সাজা থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো বিচারক সোহেল রানাকে

Avatar of author

Published

on

বিচারক-সোহেল-রানা

আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন সব্বোর্চ আদালত।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দেন। আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।

গেলো ৬ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়।

গেলো ৫ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে হাইকোর্টে এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানা আপিল বিভাগে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্ষমার আবেদনে তিনি বলেছেন, আমাকে ক্ষমা করে সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়ে একজন ভাল বিচারক হওয়ার সুযোগ দিন।

Advertisement

গেলো ১২ অক্টোবব সন্ধ্যায় কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানার সাজার রায় ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। তিনি তার খাস কামরায় এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের সাজার আদেশের পর জামিন আবেদনের পাশাপাশি চেম্বার আদালতের কাছেও একটি আবেদন নিয়ে যান বিচারক সোহেলের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তখন চেম্বার আদালত তার খাস কামরায় বসেই সাজা স্থগিত করে আদেশ দেন।

এর আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালত অবমাননার দায়ে বিচারক মো. সোহেল রানাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। কিন্তু ৩ ঘণ্টা পর দুপুরে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক আদালত প্রাঙ্গণে কিছুটা চাঞ্চল্য তৈরি হলেও আইনের দিক থেকে এখানে কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে জানান আইনজীবীরা।

Advertisement

মামলার নথি থেকে জানা যায়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে মামুন-রিয়া দম্পতির করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ৬ মার্চ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে মামলার কার্যক্রম চালানো এবং অভিযোগ গঠন করায় বিচারক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন আসামি মামুন চৌধুরী।

গেলো ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে বিচারক সোহেল রানাকে তলব করেন। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ২১ আগস্ট তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তিনি হাইকোর্টে হাজির হন। পরবর্তী সময়ে জবাব দাখিল করেন। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি আদালত অবমাননার স্বপ্রণোদিত রুল দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৯ অক্টোবর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত অবমাননার রুলের পর গেলো ৩১ আগস্ট বিচারক সোহেল রানা কুমিল্লার সেই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন। হাইকোর্টের ধার্য তারিখে হাজির না হয়ে তিনি সময়ের আবেদন জানান। হাইকোর্ট আজ ১২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।

Advertisement

সে অনুযায়ী বিচারক সোহেল রানা আজ হাইকোর্টে হাজির হন এবং আদালত অবমাননার বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট কারাদণ্ড দেন এবং জরিমানা করেন।

Advertisement

আইন-বিচার

এমপি আজীম হত্যা : ৩ আসামি আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

Published

on

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আরও পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় মুখ ঢেকে বের হন আসামি শিলাস্তি রহমান।

শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আট দিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এই তিন আসামিকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়।

আদালতে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের আরও আট দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত থেকে বের হওয়ার সময় শিমুল ভূইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ ও তানভীর ভূইয়াকে হেলমেট পড়িয়ে আদালত থেকে বের করা হয়। এই দুই আসামির মধ্যে ছিলেন আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান। তার মুখে ছিল মাস্ক আর মাথায় ওড়না ব্যবহার করে লম্বা ঘোমটা দিয়ে রেখেছিলেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

র‍্যাব কর্মকর্তা উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Published

on

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রমোট) উত্তম কুমার বিশ্বাসকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উত্তম কুমারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য এ আদেশ দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে র‍্যাব-২, তেজগাঁওয়ে এ কর্মরত।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে দুদকের পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক।

আবেদনে বলা হয়, উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়, যা বর্তমানে চলমান আছে। ইতোমধ্যে তার ও তার স্ত্রীর নামে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বেশকিছু রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরপরেই অসংখ্য হিসাব থেকে সব টাকা-পয়সা তুলে হিসাব বন্ধ করছেন, যা সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি অনুসন্ধানের শুরু থেকে তেমন কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি বরং বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অহেতুক কালক্ষেপণ করছেন।

অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ শঙ্কা রয়েছে। এজন্য তার বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।

Advertisement

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। এ সময় আদালত তার কাছে জানতে চান, তিনি কী এখনও চাকরিরত কি না। দুদক প্রসিকিউটর জানান, তিনি এখনও চাকরিরত। শুনানি শেষে আদালত উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ মঞ্জুর করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট সাহেদসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

Published

on

করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীরের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন।

বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন, মাসুদ পারভেজ, দিপায়ন বসু, অনিন্দ্য দত্ত ও মো. মিজানুর রহমান। এর মধ্যে দিপায়ন বসু ও অনিন্দ্য দত্ত মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন একশিড করপোরেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

উল্লেখ্য, মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াদুর রহমান ২০২১ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত