Connect with us

ঢাকা

ঢাকায় গৃহকর্মীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

Avatar of author

Published

on

গৃহকর্মী

ঢাকার মোহাম্মদপুরে এক গৃহকর্মীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ২/৭ নম্বর বাড়ির নিচ থেকে প্রীতি (১৫) নামের ওই গৃহকর্মীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি মৌলভীবাজার থেকে প্রীতি ওই বাসায় কাজ করতে আসেন। আটক গৃহকর্তার নাম সৈয়দ আশফাকুল হক।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রীতির মরদেহ ওই বাসার নিচে পড়ে ছিল। পরে লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তাদের দাবি, বাসাটির লোকজন গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতন করেন। গত আগস্টেও একই ধরনের ঘটনার শিকার হয় আরেক গৃহকর্মী। তবে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক বলেন, বাসার মালিক দাবি করছেন তার গৃহকর্মী বাসা থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

Advertisement

গৃহকর্তা আশফাকুলের দাবি, তারা ওই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন প্রীতি বাসার নিচে পড়ে আছে।

এর আগে গেলো ৫ আগস্ট ওই গৃহকর্তার বাসা থেকে ফেরদৌসী নামে এক গৃহকর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময়ও গৃহকর্তা বাসা থেকে পড়ে যাওয়ার দাবি জানান। তবে শিশুটি যৌনাঙ্গে আঘাত পাওয়ায় তার একটি অপারেশনও করেন চিকিৎসকরা। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় গৃহকর্তার পড়ে যাওয়ার দাবিটি রহস্যময় ছিল।

এ ঘটনায় পরে শিশুটির মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে সৈয়দ আশফাকুল হক (৫৬), তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার (৪৬) ও আসমা আক্তার শিল্পীর (৫১ নামে একটি মামলা করেন। এর প্রায় সাত মাসের মাথায় প্রীতিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ।

Advertisement

ঢাকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গাজীপুরে গ্রেপ্তার ৩১৮ জন

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে তৈরি হওয়ায় সহিংসতায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের আট থানায় ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া দায়েরকৃত মামলাগুলোয় ১৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)  বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি জানান,  গেলো ২৪ ঘণ্টায় মহানগরের থানাগুলোতে দায়ের হওয়া ২৮ মামলায় ৬৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।   গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানাধীন শিববাড়ী, কেয়ামত সড়ক, বাসন থানাধীন ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা, তেলিপাড়া,গাছা থানাধীন কুনিয়া, বোর্ড বাজার, বড়বাড়ী,টঙ্গী পশ্চিম ও পূর্ব থানা ও কোনাবাড়ী থানাধীন কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, ফ্লাইওভারের পূর্ব ও পশ্চিম পাড় এলাকায়।

সহিংসতার পর থেকে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আশপাশে থাকা বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

নারায়ণগঞ্জে থেকে গ্রেপ্তার নরসিংদী কারাগারের পলাতক জঙ্গি

Published

on

গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পলাতক আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য মো. ফারুক আহমেদ (৪৩)।

বুধবার (২৪ জুলাই) সোনারগাঁয়ের প্রেমের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

গ্রেপ্তার ফারুক আহমেদ নরসিংদীর মাধবদীর নুরালাপুরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গেলো ১৯ জুলাই হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা করে। এসময় তারা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে ফেলে। এরপর ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ কয়েদী পালিয়ে যান।

Advertisement

এসময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্যপণ্য লুট করা হয় বলে জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক।

গ্রেপ্তার ফারুক আহমেদ নুরালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি হিসেবে ২০১৩ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উক্ত পদে চাকরিরত থাকা অবস্থায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে লিপ্ত থাকায় ২০২২ সালের ২৪ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২৮ মাস যাবত ফারুক নরসিংদী জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।

র‍্যাব আরও জানায়, নরসিংদী জেলা কারাগারে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা কয়েদীদের কারাগারের ভেতরে চিত্তবিনোদনের জন্য সময় দেয়া হয়। গেলো ১৯ জুলাই গ্রেপ্তার আসামিসহ সবাই নিজ নিজ সেল থেকে বের হয়ে কারাগারের অভ্যন্তরে হাঁটাচলা করছিলেন। আনুমানিক সাড়ে ৪টায় কারাগারের সামনে হাজারো জনতা উপস্থিত হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা কারাগারে লক্ষ্য করে প্রথমে ইট-পাটকেল এবং পরবর্তীতে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে। হামলাকারীদের প্রায় সবার হাতে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলছে

Published

on

সকাল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। তবে চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে সবশেষ লঞ্চ ছাড়বে দুপুর দেড়টায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডাব্লিউটিএ)

লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, গেলো কয়েকদিনে লঞ্চ বন্ধ থাকায় বিপুল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বাভাবিকভাবে নৌপথ সচল রাখার জন্য দাবি জানান তারা। এরইমধ্যে চাঁদপুর থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ৪ টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেলেও সকাল সাড়ে ১০ টায় বিপরীত দিক থেকে মাত্র ১টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর টার্মিনালে পৌঁছেছে।

চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে  বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান,  বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে সবশেষ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনার ওপর নির্ভর করবে।

এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ পর আবারও লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত