বাংলাদেশ
পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করে : ডেইলি টাইমস
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2022/06/02/resize-600x315x1x0image-22386-1654171128.jpg)
পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ড. মালিকা-ই-আবিদা খাত্তাক সেদেশের সর্বাধিক প্রচারিত ‘ডেইলি টাইমস’ পত্রিকার এক নিবন্ধে লিখেছেন, বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের প্রকল্প। এ মাসের ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০ টায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেতুটি উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর গল্প, যা সেতুর চেয়েও বড়।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করে। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও একবার জানার সুযোগ পেল বিশ্ব। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা বারবার তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে।
ড. মালিকা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের মূর্তিমান প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মতো বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশাল প্রতিবন্ধকতার পথে তাঁকে হাঁটতে হয়েছে কিন্তু তিনি তাঁর গন্তব্যে ঠিকই পৌঁছেছেন। সেতুর নির্মাণের সময় যে ষডযন্ত্র ছড়িয়ে পড়েছিল তিনি তা দৃঢতার সাথে মোকাবিলা করে সত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ড. মালিকা আরও বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও সেতুটির নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছিল। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে সেতুর কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। করোনা মোকাবিলায় পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়েছে। সবাই যখন দেখলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু অসাধু ও ষড়যন্ত্রকারী গুজব ছড়াতে থাকে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীরা দেশের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি দিয়ে পদ্মা নদী পার হয়। দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। চালু হলে, এটি হবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু এবং সড়ক চলাচলের জন্য প্রথম নির্দিষ্ট নদী পারাপার। দ্বি-স্তরের ইস্পাত ট্রাস সেতুটির উপরের স্তরে একটি চার লেনের মহাসড়ক এবং নীচের স্তরে একটি একক-ট্র্যাক রেলপথ থাকবে।
দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এ মাসে উদ্বোধন হলে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্ট এবং শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের সাথে সংযোগকারী বাংলাদেশের একটি স্বপ্নের প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু, যা যাত্রী ও মালবাহী যানবাহনের জন্য যাত্রা সহজ করবে এবং ধীরে ধীরে দেশের জিডিপি ১.৩-২% বাড়িয়ে দিবে।
পদ্মা সেতু যেটির নকশা করা হয়েছে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট স্টিল-ট্রাস কম্পোজিট কিপিং রোডের ওপরে এবং নীচে রেলপথটি বিশ্বের গভীরতম ভিত্তি সেতু। ২৫ জুন পূর্ব দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর অপর পারে একটি বিশাল জনসভায় ভাষণ দিবেন। যা ২০১৮ সালের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাঁর প্রথম জনসাধারণের সামনে উপস্থিতি।
পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে এবং অন্যান্য দাতারা তা অনুসরণ করে। পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংক ও দাতারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। তখন সমালোচকরা হাসতে হাসতে ফেটে পড়েন। শেখ হাসিনার পক্ষে পদ্মা সেতু করা সম্ভব হবে না বলে বিরূপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছিল ষডযন্ত্রকারীরা।
বিশ্বব্যাংক একটি মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে এক ব্যক্তির যোগসাজশে বোর্ড সভা না করে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, যা পরবর্তীতে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। পদ্মা সেতুতে ঘুষ কেলেংকারির কোনো প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত।
তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়। এটি ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুর চিত্র। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সরকার। নদী শাসন এবং পাইলিংয়ের ক্ষেত্রে সাহসী এবং যুগান্তকারী প্রকৌশল দক্ষতা প্রয়োজন ছিল। একই সময়ে নির্মাণ ব্যয় বাড়তে থাকে।
গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে সেতু তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগবে। সরকারও দক্ষতার সঙ্গে তা মোকাবেলা করেছে। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে শুধু পদ্মা সেতুই নয়, মেট্রোরেল ও দেশের বৃহত্তম টানেলের কাজও প্রায় শেষের দিকে। সে গুলো এ বছর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ, পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরী নির্মাণসহ অনেক প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়; এটা দেশের একটি বড় সম্পদ। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮.১০ মিটার চওড়া সেতুটির নির্মাণ কাজ ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে শুরু হয়।
আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। গর্বের সেতু আজ দাঁড়িয়ে আছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একটি সাহসী সিদ্ধান্ত তাকে একজন আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, ক্রমাগত জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সাফল্য সেই ত্যাগকে যৌক্তিক প্রমাণ করেছে।
প্রাথমিকভাবে, নির্মাণ খরচ কম ছিল। কিন্তু পরে এটি কয়েক পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৩.৮৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। নির্মাণ সময় এবং নির্মাণ খরচ উভয় বৃদ্ধি, যদিও নির্মাণ ব্যয় নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয় হল সেতুটি সম্পূর্ণ হয়েছে এবং জুন মাসে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
সেতুটি রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং সামাজিক ঘটনার সাথে গভীরভাবে জড়িত। সেতুটি নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল। সেতুটি চালু হলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। দেশের অর্থনীতির কাঠামো বদলে যাবে।
কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হবে। সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে রাজধানীতে কৃষিপণ্য পরিবহনে একটি যুগান্তকারী অধ্যায় তৈরি করবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটবে।
পদ্মা সেতু হয়ে উঠতে পারে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একটি অংশ। যোগাযোগ ও পরিবহন ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে। সেতুটির মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হবে। সেতুটির দেশের মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর সেকশনে একটি ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যা খুবই নজরকাড়া ও চিত্তাকর্ষক।
সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে এই সেতু। এই সেতুর চারপাশে গড়ে তোলা হবে রিসোর্ট, হোটেল ও রেস্তোরাঁ। যেখানে বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে, যা বিদেশীদের কাছে বাঙালি সংস্কৃতিকে আরও পরিচিত করে তুলবে। পদ্মা সেতু দেশের জিডিপি বাড়াবে এবং মাথাপিছু আয় ও বাড়াবে।
এই সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও মজবুত করবে। মানুষ ঢাকা থেকে স্বল্প সময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবে।
সেতুকে ঘিরে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বহুগুণ বেড়ে যাবে।
পদ্মা সেতুর নাম উচ্চারণ করলে শেখ হাসিনার নাম উচ্চারণ করতে হবে। শেখ হাসিনার নাম এবং পদ্মা সেতু একে অপরের পরিপূরক। তাদের আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে না হলেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানবে শেখ হাসিনার কারণেই এই সেতু সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে জয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু দেশকে দ্রুত নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে এই সেতু অনন্য ভূমিকা রাখবে।
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল যা আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার মাধ্যমে প্রমাণিত হবে। বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জাতির আস্থাকেও ত্বরান্বিত করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং জাতির আস্থাকেও ত্বরান্বিত করেছে।
অপরাধ
শাহজালালে মিললো সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণের বার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/স্বর্ণের-বার.jpg)
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার মোট ৩৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। ওমানের মাস্কাট থেকে অবতরণ করা সালাম এয়ারএয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে এসব স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবৈধ স্বর্ণ আসছে। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ওমানের মাস্কাট থেকে আসা ওভি-৪৯৭ নম্বর ফ্লাইটটি রামেজিং করা হয়।
এ সময়, সিট নং ২ (ডি-ই-এফ) এর উপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কচটেপে মোড়ানো দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
টিআর/
জাতীয়
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য ‘মডেল’ এবং ‘উদাহরণ’: প্রধানমন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/11.jpg)
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে অন্যদের জন্য ‘মডেল’ এবং ‘উদাহরণ’ হিসাবে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের মধ্যকার স্থল সীমানা ও সমুদ্রসীমা সমাধানের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “এগুলোর (সমাধান) সমন্বয়ে এই উদাহরণ তৈরি করা হয়েছে।”
ঢাকা সফররত ভারতের নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। খবর বাসস’র।
মো. নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের সহায়তা ও অবদান সবসময় স্মরণ করি।”
সাক্ষাতকালে ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে নিজের বাড়ির মতো অনুভব করছেন কারণ। প্রকৃতিগত দিক থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
প্রেস সচিব ভারতের নৌপ্রধানকে উদ্ধৃত করে জানান, উভয় দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কে এডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি বলেন, “যদি বাংলাদেশ নৌবাহিনী কোনো সহযোগিতা চায়, তবে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ‘না’ বলার কোনো সুযোগ নেই।”
ভারতের নৌবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর (বিএমএম) পরিদর্শন করেন এবং এটিকে বিশ্বমানের উল্লেখ করে বলেন তিনি বিএমএম পরিদর্শন করে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছেন। “এটি শিক্ষামূলক, কার্যকর এবং তিনি কিছু ধারনা সঙ্গে করে দেশে নিয়ে যাচ্ছেন যা তিনি তাদের সংস্থাকে প্রদান করবেন যাতে তারা সেগুলো অনুকরণ করতে পারে।”
বাংলাদেশের অনেক নৌ কর্মকর্তা ভারতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উল্লেখ করে এডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী বলেন, তিনি তার বাংলাদেশী সমকক্ষকে বলেছেন যে বাংলাদেশ চাইলে আরও অফিসার পাঠাতে পারে।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় নৌপ্রধান অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরকে ‘শান্তিপূর্ণ’ রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েরই একই মানসিকতা রয়েছে এবং উভয় দেশই একসঙ্গে কাজ করবে, যেহেতু তারা এই অঞ্চলে কোনো ব্যাঘাত আশা করে না। .
বৈঠকে তিনি ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও অবদানের প্রতিফলন দেখে অভিভূত হন।
ভারতের নৌবাহিনী প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসাও করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এমআর//
জাতীয়
অবৈধ দখলে থাকা বনভূমির পরিমাণ জানালেন মন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-10.gif)
বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। দখলকৃত বনভূমির উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গত মে মাস পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমি দখলদারদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বললেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পরিবেশ মন্ত্রী।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মোট ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৬১১টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া ২৫০টি ইটভাটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এসময় ১৫ কোটি ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বলেন, বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে সড়ক ও মহাসড়ক ব্যতীত সকল সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কারকাজে ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
যা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
আই/এ
- পর্যটন5 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম5 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড4 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ5 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া7 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি6 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর6 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়6 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!