Connect with us

ঢাকা

যাত্রীদের সুবিধার্থে তিন মেট্রো স্টেশনে ‘স্কাইওয়াক’ নির্মাণের পরিকল্পনা

Avatar of author

Published

on

মেট্রোরেল

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে তিনটি মেট্রো স্টেশনে “স্কাইওয়াক” নির্মাণ করবে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) কর্তৃপক্ষ। স্টেশনে সহজে এবং সরাসরি প্রবেশ করতে পারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টের সঙ্গে যুক্ত করে “স্কাইওয়াক” নির্মাণ করা হবে।

গেলো বছরের ২৭ নভেম্বর এমআরটি লাইন-৬-এর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে “স্কাইওয়ে” নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

“স্কাইওয়াক” হলো উঁচু করে নির্মিত আচ্ছাদিত হাঁটার পথ যা স্টেশনকে মল এবং ট্রান্সপোর্ট হাবের মতো স্থানের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করে। রোদ-বৃষ্টি যেকোনো সময় এসব স্কাইওয়াক ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। রাস্তায় যানজট কমাতেও সহায়তা করে এগুলো।

ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ রেখে একটি স্কাইওয়াক ফার্মগেট স্টেশনে স্থাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সঙ্গে সরাসরি সংযোগের সুবিধার্থে দ্বিতীয় স্কাইওয়াকটি শাহবাগ স্টেশনে স্থাপন করা হবে। পল্টনের সচিবালয় স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সরাসরি যাওয়ার জন্য তৃতীয় স্কাইওয়াকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে  বলেছেন, স্কাইওয়াকগুলো নির্মিত হওয়ার পর মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের চলাচল সুগম হবে। ফার্মগেট স্টেশনের স্কাইওয়াকটি ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে যাত্রীরা স্টেশন থেকে সরাসরি ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবেন। একইভাবে শাহবাগ স্টেশনের স্কাইওয়াক ব্যবহার করে সরাসরি বিএসএমএমইউতে চলে যাওয়া যাবে।

Advertisement

শাহবাগ স্টেশনে দুটি স্কাইওয়াকের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি বারডেম হাসপাতালের সঙ্গে এবং অন্যটি শাহবাগ ফুট-ওভারব্রিজের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক  বলেন, “যাত্রী ও কর্তৃপক্ষ উভয়েই স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য আগ্রহী।”

তিনি বলেন, “প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের কারণে বাংলাদেশ সচিবালয়ের জন্য স্কাইওয়াক তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনার প্রয়োজন এবং এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

এম এ এন সিদ্দিক আরও বলেন, “বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত স্কাইওয়াকের অনুমোদন দিয়েছে এবং এটি বর্তমানে নকশার পর্যায়ে রয়েছে। স্কাইওয়াকগুলোতে দুটি র‌্যাম্প থাকবে। একটি হাসপাতালের কেবিন ব্লকের দিকে এবং অন্যটি সুপার স্পেশালাইজড ইউনিটের দিকে।”

তৃতীয় স্কাইওয়াক সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল এটিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন থেকে সরাসরি ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে সংযুক্ত করা। তবে ওই স্থানে সিটি কর্পোরেশন বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সুবিধার্থে একটি চলন্ত সিঁড়ি বসানোর পরিকল্পনা করছে।”

Advertisement

ডিএমটিসিএল প্রধান আরও বলেন, “যদি ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে র‌্যাম্প সংযুক্ত না করা হয়, তাহলে একজন মেট্রো যাত্রীকে স্টেশন থেকে নেমে আবার ফুটওভার ব্রিজে উঠতে হবে ফার্মগেট মোড় অতিক্রম করতে, যা যাত্রীদের জন্য কষ্টকর হবে।”

তবে সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এসব প্রকল্পের বাজেটের বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্দিক বলেন, প্রকল্পের নকশা শেষ করে বাজেট নির্ধারণ করা হবে।

প্রস্তাবিত ৩টির বাইরে অতিরিক্ত স্কাইওয়াক নির্মাণে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “স্কাইওয়াক প্রকল্পের জন্য তহবিল মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্পের মূল বরাদ্দ থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ চলমান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বাড়তি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মূল প্রকল্প ব্যয় থেকে পরিচালিত হয়।”

Advertisement

ঢাকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গাজীপুরে গ্রেপ্তার ৩১৮ জন

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে তৈরি হওয়ায় সহিংসতায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের আট থানায় ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া দায়েরকৃত মামলাগুলোয় ১৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)  বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি জানান,  গেলো ২৪ ঘণ্টায় মহানগরের থানাগুলোতে দায়ের হওয়া ২৮ মামলায় ৬৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।   গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানাধীন শিববাড়ী, কেয়ামত সড়ক, বাসন থানাধীন ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা, তেলিপাড়া,গাছা থানাধীন কুনিয়া, বোর্ড বাজার, বড়বাড়ী,টঙ্গী পশ্চিম ও পূর্ব থানা ও কোনাবাড়ী থানাধীন কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, ফ্লাইওভারের পূর্ব ও পশ্চিম পাড় এলাকায়।

সহিংসতার পর থেকে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আশপাশে থাকা বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

নারায়ণগঞ্জে থেকে গ্রেপ্তার নরসিংদী কারাগারের পলাতক জঙ্গি

Published

on

গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পলাতক আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য মো. ফারুক আহমেদ (৪৩)।

বুধবার (২৪ জুলাই) সোনারগাঁয়ের প্রেমের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

গ্রেপ্তার ফারুক আহমেদ নরসিংদীর মাধবদীর নুরালাপুরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গেলো ১৯ জুলাই হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা করে। এসময় তারা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে ফেলে। এরপর ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ কয়েদী পালিয়ে যান।

Advertisement

এসময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্যপণ্য লুট করা হয় বলে জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক।

গ্রেপ্তার ফারুক আহমেদ নুরালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি হিসেবে ২০১৩ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উক্ত পদে চাকরিরত থাকা অবস্থায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে লিপ্ত থাকায় ২০২২ সালের ২৪ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২৮ মাস যাবত ফারুক নরসিংদী জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।

র‍্যাব আরও জানায়, নরসিংদী জেলা কারাগারে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা কয়েদীদের কারাগারের ভেতরে চিত্তবিনোদনের জন্য সময় দেয়া হয়। গেলো ১৯ জুলাই গ্রেপ্তার আসামিসহ সবাই নিজ নিজ সেল থেকে বের হয়ে কারাগারের অভ্যন্তরে হাঁটাচলা করছিলেন। আনুমানিক সাড়ে ৪টায় কারাগারের সামনে হাজারো জনতা উপস্থিত হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা কারাগারে লক্ষ্য করে প্রথমে ইট-পাটকেল এবং পরবর্তীতে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে। হামলাকারীদের প্রায় সবার হাতে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলছে

Published

on

সকাল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। তবে চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে সবশেষ লঞ্চ ছাড়বে দুপুর দেড়টায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডাব্লিউটিএ)

লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, গেলো কয়েকদিনে লঞ্চ বন্ধ থাকায় বিপুল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বাভাবিকভাবে নৌপথ সচল রাখার জন্য দাবি জানান তারা। এরইমধ্যে চাঁদপুর থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ৪ টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেলেও সকাল সাড়ে ১০ টায় বিপরীত দিক থেকে মাত্র ১টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর টার্মিনালে পৌঁছেছে।

চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে  বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান,  বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে সবশেষ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনার ওপর নির্ভর করবে।

এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ পর আবারও লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত