আওয়ামী লীগ
সংরক্ষিত আসনে ফরম নিয়েছেন ১৫৪৯ জন, আয় ৭ কোটি ৭৪ লাখ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কিনেছেন ১৫৪৯ জন প্রার্থী। মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এবার দলটি ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফরম বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। প্রথমদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
আর প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ
নির্বাচনের তৃতীয় ধাপও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে : কাদের
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট প্রয়োগ করেছেন। ভোটারের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি ছিল। নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন অনেক তৎপর ছিল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (২৯ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও এ নির্বাচনে কোন প্রাণহানি হয়নি। নির্বাচন ফেয়ার করতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশে দুর্যোগের পরেও ভোটার উপস্থিত ছিল সন্তোষজনক। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। আগামীকাল চূড়ান্ত পরিসংখ্যান জানা যাবে। এই নির্বাচনে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম ভোটার উপস্থিতি কম হবে। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় কিছু কিছু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও ধান কাটা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি মোটামুটি সন্তোষজনক।
‘বেনজির ও আজিজ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি’ বলে উল্লেখ করে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, কোহিনূর – এরা কাদের সৃষ্টি? দুর্নীতি, লুটপাটের ভবন ‘হাওয়া ভবন’কাদের সৃষ্টি? তাদের বিচার কি বিএনপি করেছে? শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। সে কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স। আজকে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দুইজনের নিয়োগ বাতিল হয়েছে। তাদের নিশ্চয়ই কর্তব্যে কোন বিচ্যুতি ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজিরের যে ক্যারিয়ার ও পারসোনালিটি তাতে তাকে তো বাইরে থেকে কেউ এমনটি ভাবেননি, এখন যা জানছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) ভাবেননি, কেউ ভাবেনি। আজিজ আহমেদ অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন, তার এমন ডিগ্রি আছে যা অনেক অফিসারের ছিল না।
তিনি বলেন, আজিজ আহমেদকে তার যোগ্যতার জন্য সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। কিন্তু সে দুর্নীতি করলে তো তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদ এর অপরাধ ব্যক্তিগত। সে অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি পেতেই হবে। আওয়ামী লীগ বেনজীর ও আজিজদের বিচারের মুখোমুখি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ
আওয়ামী লীগ
বিএনপির গলাবাজি আগের তুলনায় বেড়ে গেছে : কাদের
উপজেলা নির্বাচন সফল করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচনকে ঘিরে কত মিথ্যাচার, অপপ্রচার…। বিএনপির গলাবাজি আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৯ মে) আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন সফল করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচনকে ঘিরে কত মিথ্যাচার, অপপ্রচার…। গেলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পরেও বিএনপি এখন তাদের গলাবাজি আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। তারা মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ। নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার কারণে তারা হতাশ।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের ভোটারের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। আগামীকাল চূড়ান্তভাবে জানা যাবে। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন অনেক তৎপর ছিল। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সারা দেশে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) সবশেষ আন্দোলন দেখলাম লিফলেট বিতরণ। তারা ভেবেছিল জাতীয় নির্বাচনের পর দেশে একটা দুর্ভিক্ষ হবে। মানুষ মারা যাবে। তাদের এই স্বপ্ন কর্পুরের মতো উড়ে গেছে। একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী।
আওয়ামী লীগ
বেনজির-আজিজ ইস্যুতে সরকার বিব্রত নয়: কাদের
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত করে সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদের দুর্নীতি বের করেছে। সেই স্বাধীনতা দুদককে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। তদন্ত হচ্ছে মানে মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কোনো অপরাধী শাস্তি ছাড়া পার পাবে না। বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, বেনজির আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ইস্যুতে সরকার বিব্রত নয়, বরং সরকারের বিচার করার সৎ সাহস আছে। দুর্নীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো ট্রলারেন্স রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারপ্রধান আপসহীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানও যদি অপরাধী হন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুদকের কোনো বাধা নেই। অপরাধী হলে শাস্তি তাতে পেতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল কথায় কথায় বেনজিরের দুর্নীতির কথা বলে। কিন্তু তিনি তাদের আমলে আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদার কথা ভুলে গেছেন। এসপি কহিনুরের হাতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব দুর্নীতির বিচার কী বিএনপি করেছে? হাওয়া ভবনসহ বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির বিচার তারা করেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার প্রমাণ করেছে অপরাধীর কোনো ক্ষমা নেই। বিএনপি নিজেদের অপরাধকে ঢাকার জন্য অপপ্রচার করছে। অপরাধীদের ক্ষমা করেছে বিএনপি। তাদের আমলে অপরাধীদের শাস্তি পেতে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তনের উপায় আছে। এক হলো গণঅভ্যুত্থান ও দুই হলো নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থান বিএনপির গলাবাজি ছিল। গণআন্দোলনও করতে পারেনি। তাদের সাথে জনগণ ছিলে না বলেই ব্যর্থ হয়েছে। এখনও তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি।
টিআর/
- টুকিটাকি7 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- বাংলাদেশ2 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ7 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ