Connect with us

জাতীয় পার্টি

‘রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না সরকার’

Avatar of author

Published

on

রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কারণ সরকার এখন পর্যন্ত যে কয়েক দফা পদক্ষেপ নিয়েছে তার কোনোটাই তারা কার্যকর করতে পারেনি। তারা যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলো সঠিক হচ্ছে না। ইমপ্লিমেন্টেশন (বাস্তবায়ন) পর্যায়ে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীসভায় এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়ানমারে সংঘাত নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে- তাদের গোলাবারুদ আমাদের দেশে এসে পড়ছে। কয়েকজন মারাও গেছে। এমনিতেই ১১ লাখ রোহিঙ্গা দেশে এসে আমাদের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। তার ওপর আবারো যদি তারা আসে তাহলে আমরা সমস্যায় পড়বো। এ জন্য দেশের মানুষ চরম উদ্বেগের মধ্যে আছে- এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার।’

রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বানকে অবৈধ আখ্যায়িত করে জি এম কাদের বলেন, ‘শুধু কাউন্সিল করা হলে আইনগতভাবে কাউন্সিল বলা যায় না। এ জন্য তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিটে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিল করতে হবে। প্রতিটি জেলা উপজেলায় দলের কার্যালয় থাকতে হবে। তাহলেই কাউন্সিল গ্রহণযোগ্যতা পায়। রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিল নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না। এটাকে আমলেই নিচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির কোনও অংশ নেই। তবে এরশাদ সাহেবের আদর্শ নিয়ে যে কেউ দল করতে পারে। এর আগে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও নাজিউর রহমান মঞ্জুরাও চেষ্টা করেছিলেন- সফল হয়নি। মূলধারার বাইরে গেলে কোনও লাভ হয় না। এবার যারা কাউন্সিল অধিবেশন ডেকেছেন তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তারা অনেক আগে দলে ছিল। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

Advertisement

‘তারা আলাদা প্ল্যাটফর্ম করতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি কোনও মতামত দিতে চাই না’, যোগ করেন তিনি।

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এএম/

Advertisement

জাতীয় পার্টি

গ্রেপ্তার হলেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ

Published

on

ব্যারিস্টার-আন্দালিব-রহমান-পার্থ

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবি প্রধান হারুন-উর-রশিদ।

ডিবি প্রধান জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উসকানি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যারিস্টার পার্থের বিরুদ্ধে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। এ জন্য তাকে তুলে নেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য,  সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) ৭৩ মামলায় ১৭৫৮-কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর আজ ১২৮ মামলায় ৪৫১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২০১ জনকে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে  নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা  এবং পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানায় দলটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সমর্থন জানান।

ফিরোজ রশীদ বলেন, সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে- এটা জাতীয় পার্টিও মানতে পারছে না। তাহলে মেধার মূল্যায়ন হয় না। ছাত্ররা চেয়েছে কোটা থাকবে। তবে তা বিশেষ ক্ষেত্রে এবং তার হার ৫ শতাংশের বেশি নয়। এসব বিষয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা করা উচিৎ ছিল।

তিনি বলেন, কোটা যেখানে সরকারই বাতিল করেছিলেন সেটা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হলো। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে- কোটা থাকবে। তবে কোটার হার কমানো বা বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের হাতে থাকবে। ফলে রায় অনুসারেই সরকারের পক্ষে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। এই পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোটের শুনানি এগিয়ে নিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাই জাতীয় পার্টি দাবি জানাচ্ছে কোনোভাবে কালক্ষেপণ না করে আগামী রোববারই সুপ্রিম কোর্টে মেনশন করে- সিভিল আপিলটি দ্রুত শুনানি করা হোক।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

৬ শিক্ষার্থী হত্যায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি : জিএম কাদের

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় অংশ নেয়া ৬ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর ক্ষোভ-শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। একইসঙ্গে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও জানান তিনি।

বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোক বার্তায় এ দাবি জানান জিএম কাদের। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে আহ্বান জানান জিএম কাদের।

তিনি বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি যৌক্তিক। তাদের এ যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন ঠান্ডা মাথায় একের পর এক গুলি করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের ভিডিও বিশ্ববাসী দেখেছে।

তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া, সরকারি দলের আনুগত্যে অন্ধ ও অনুপযুক্ত আইনশৃখলা বাহিনীর সদস্য এবং সশস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নির্বিচারে হামলা করেছে আন্দোলনরত নিরিহ ছাত্রদের ওপর। গণমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের ওপর গুলি করেছে। কিন্তু অবৈধ অস্ত্রধারীদের বাধা বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Advertisement

রাতের আধারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরিহ ছাত্রীরাও রেহাই পায়নি এইসব নরপশুদের নির্যাতন থেকে— উল্লেখ করে জিএম কাদের।

কাদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় কিছু দিন আগে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দরকারের বেশি শক্তি প্রয়োগ করেনি বোঝা যায়। কেননা, শ্রীলঙ্কায় এতবড় আন্দোলন হলো কিন্তু কোনো মায়ের কোল খালি হয়েছে বলে শুনিনি। আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত