Connect with us

ইসলাম

শেষ হলো ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত

Avatar of author

Published

on

ইজতেমা

শেষ হয়েছে তুরাগতীরের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত । এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এখন সবাই ঘরমুখো হয়েছেন। ফলে সড়কে যানবাহনে সংকট দেখা দিয়েছে। মোনাজাতের সুবিধার জন্য গাড়ি প্রবেশ করতে না দেয়ায় ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অপেক্ষমাণ যাত্রীরা। তবে অনেকেই গাড়ির অপেক্ষা না করে হেঁটে রওনা দিয়েছেন।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ ১১ ৪৪ মিনিটে। এর পরেই সড়ক, ট্রেন এবং নৌপথে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে কয়েক দিন আগে থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ইজতেমা মাঠে।

শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমার প্রথমদিন জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী।

এ লক্ষ্যে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত মোনাজতের আগ পর্যন্ত অব্যহত থাকে।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন বলে ধারণা করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা।

Advertisement

বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন।

এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম।

ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন।

Advertisement

তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা’দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা’দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা’দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী।

 

Advertisement

ইসলাম

দেশে ফিরেছেন ৬৯ হাজার ৭৪২ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৬৫

Published

on

চলতি বছরে হজ যাত্রীদের মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন এবং নারী ১৩ জন।

সোমবার (১৫ জুলাই) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়, হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৭৪২ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১৯৬টি ফ্লাইটে এসব হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৭, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৯টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

গেলো ২০ জুন থেকে দেশে আশা শুরু করেন হজ যাত্রীরা। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

Advertisement

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।

জেডএস/এমএম/এএম

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

আশুরা কবে জানা যাবে আজ

Published

on

১৪৪৬ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং আশুরার তারিখ নির্ধারণে আজ শনিবার (৬ জুলাই) সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

আজ মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে জিলহজ মাস ২৯ দিনের হবে এবং আগামীকাল রোববার মহররম মাস শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ১৬ জুলাই আশুরা হবে। আর আজ মহররমের চাঁদ দেখা না গেলে জিলহজ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে এবং আগামী সোমবার থেকে মহররম মাস শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে ১৭ জুলাই আশুরা হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স  ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

আশুরা কবে জানা যাবে শনিবার

Published

on

ঈদের চাঁদ

১৪৪৬ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং আশুরার তারিখ নির্ধারণে শনিবার (৬ জুলাই) সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স  ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত