Connect with us

বিএনপি

‘ভোট জালিয়াতির তথ্য আপনার দলের নেতারাই জাতির সামনে তুলে ধরে’

Avatar of author

Published

on

রিজভী

আপনার ভোট জালিয়াতির তথ্য আপনার দলের নেতারাই সংবাদ সম্মেলন করে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। গতকাল তারাও আপনার সামনে বসেছিলেন। আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো লজ্জা পেয়েছেন। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি ।

রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নির্বাচন অনিয়ম বা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, তার প্রমাণ কই’। সাংবাদিক ভাইয়েরা, যারা অপরাধ করে তারা নিজেদেরকে নিরাপরাধ ভাবে। প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনে জালিয়াতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ আপনি নিজেই। কারণ আপনার নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের সচিব নিজেই বলেছেন যে, যারা জিতবে ডিসিদের কাছে তাদের তালিকা আগেই দেয়া আছে, ঘোষণা দিয়ে দিলেই বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী, আপনার জালিয়াতির নির্বাচনের প্রমাণ কেবল আন্তর্জাতিকভাবেই উত্থাপিত হয়নি, দেশেও এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। শুধু তাই নয়, শূন্য ভোটকেন্দ্রে ছবি এবং ভিডিও—ই কেবল দেখা যায়নি, বিভিন্ন আসন থেকে প্রার্থীরা জালিয়াতি হচ্ছে বলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনার ভোট জালিয়াতির তথ্য আপনার দলের নেতারাই সংবাদ সম্মেলন করে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। গতকাল তারাও আপনার সামনে বসেছিলেন। আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো লজ্জা পেয়েছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বহু মৃতুঞ্জয়ী সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দল বিএনপি। জনগণের সংগ্রামী ঐক্য, সংকল্প ও বীরত্বকে সাথে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। যে রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে শেখ হাসিনা দমিয়ে রাখতে পারবে না। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে শুরু হওয়া এক দফার আন্দোলন এখনো চলছে, চলবে।

Advertisement

নির্বাচনের সময়ের কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার পরেও বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচনের ভিডিও ফুটেজসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরেছে। ১০ বছরের শিশুর ভোট দেয়া, কেন্দ্র দখল করে গণহারে সিল মারা এবং তারা নির্বাচনের পূর্বাপর নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অসংখ্য ভিডিও ও স্থির চিত্র ভাইরাল হয়েছে এবং গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। ভোটারবিহীন শূন্য ভোটকেন্দ্র তো সারাদিন দৃশ্যমান হয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। জনগণ এই ভোট সর্বান্তকরণে বর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু আপনিই ‘চোখ থাকিতে অন্ধ’।

বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলের ওপর চরম ক্র্যাকডাউন চালিয়ে বিএনপি’র শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আপনি (শেখ হাসিনা) বন্দী করেছেন কি উদ্দেশে সেটি কি দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানে না? কারাগারে রাজবন্দীদের নিকট থেকে মুক্তিপণ আদায়ের মতো দস্যুদের ন্যায় পরিবেশে তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল ‘আমরা আর মামুদের’ একতরফা নির্বাচন। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে আপনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের মিছিল—সমাবেশে হামলা চালিয়ে, গুলি করে, মানুষ হত্যা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে নিষ্ঠুরভাবে দমন—পীড়ন চালিয়েছেন তা আপনার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন। সেটাকে খন্ডন করবেন কিভাবে? ভারত যে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে সেটি তো আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, মিথ্যার তাস দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না।

দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টান্তহীন নৈরাজ্য চলছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, আবারও ক্ষমতা দখলের পর দেশজুড়ে বেপরোয়া দখলবাজী চলছে। দখলকৃত সম্পদ ভাগাভাগী করতে গিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করছে। যার প্রমাণ কুড়িগ্রাম ও কুমিল্লাসহ সারাদেশে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে আওয়ামী লীগ নেতারা খুন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা নেমে পড়েছে বেপরোয়া নারী ও শিশু নির্যাতনে। একটি গণমাধ্যমের মতে শিশু নির্যাতনে ৭৬ শতাংশ শিশুই যৌন নির্যাতনের শিকার। বিরোধীদের নির্বিচারে গ্রেফতার, ব্যাপকভাবে নির্যাতন, নারকীয় অত্যাচারের পাশাপাশি জনপদের পর জনপদে আধিপত্য বজায় রাখতে চলছে গণধর্ষণ এবং বেছে বেছে খুন। ফলে সমাজের ওপর নেমে এসেছে এক ভয়াল আতঙ্ক, উদ্বেগ ও বিপদের ছায়া।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে লুটপাটে মেতে উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাক-সবজী, মাছ—মাংসসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে ঊর্ধ্বশ্বাসে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মানুষ এখন মাছের কাঁটা কিনে খাচ্ছে। মুরগীর বদলে মুরগীর চামড়া ও ঠ্যাং কিনে খাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এই ভরা মৌসুমে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় না নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে, গ্যাস—বিদ্যুৎ ও পানির দাম। আর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। অথচ সচিবরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন মাসিক মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়।

Advertisement
Advertisement

বিএনপি

নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি টিকে আছে : আব্বাস

Published

on

যারা বলেন বিএনপি নাই, বিএনপি থাকবে না। তাদের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি টিকে আছে এবং থাকবে। বিএনপির হাতেই দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। বললেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শুক্রবার (৩১ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। বিএনপিই এ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। যারা দেশকে বিপদে ফেলে চলে যায় তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।

এ বিএনপি নেতা দাবি করেন, শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত হননি, সম্মুখ যুদ্ধও করেছেন। যে কাজটি তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) করার কথা ছিলো সেটি জিয়াউর রহমান করেছেন। কিন্তু ওই সময় তারা দেশকে বিপদে ফেলে চলে গেছেন। এর জন্যই জিয়াউর রহমানের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ।

তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে জিয়া দেশকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়িকে স্বাবলম্বী করেছিলেন। এই আওয়ামী লীগ সরকার আবার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করেছে। মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। এর মধ্যে সরকার আবারও তেলের দাম বাড়িয়েছে। এই বৃদ্ধির কারণে আবারও সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

তারেক রহমান দেশে এলে সরকার ভেসে যাবে : গয়েশ্বর

Published

on

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। যেদিন সে আসবে তার ঢেউয়ে আপনারা কোথায় ভেসে যাবেন তা চিন্তা করুন। বললেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (৩১ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে প্রায় সাত বছর বন্দী করে রাখা হয়েছে। সরকারের সে হীন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আজকে দেশের মানুষের আস্থাস্থলে পরিণত হয়েছেন তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজকে বিদেশি রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টসের ওপর ভর করে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। এগুলোও জিয়াউর রহমানের অবদান। জিয়া শুধু বীরউত্তম নন, উত্তমের উত্তম। জিয়াউর রহমানের সততা নিয়ে কারো কথা বলার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বন্যরা বনে সুন্দর, আর ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে। ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারবে না। ক্লাস করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়। প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় হাজিরা দিতে যেতে হয়। ১৭ বছরে অনেক মেধাবী ছাত্রের জীবন ধ্বংস করা হয়েছে। যুবকরা নিজ নিজ স্থান থেকে বিতাড়িত হয়ে রাজপথে ঘুরছে। আজকে ছাত্রদের যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকতে হচ্ছে। এটি একটি অভিশপ্ত জীবন।

Advertisement

প্রসঙ্গগত, ছাত্রদল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি  রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

বেনজির ও আজিজের কাহিনী লুকাতে পারছে না সরকার : রিজভী

Published

on

বেনজির ও আজিজের কাহিনী লুকাতে পারছে না সরকার। নানা ধরনের বাস্তব সত্য কেচ্ছা কাহিনী রয়েছে যেগুলো মানুষ জানলেও ভয়ে কিছু বলতে পারছেনা। মিডিয়ার মালিকদের সরকারের কাছে বিভিন্নভাবে আত্মসমর্পণ করে থাকতে হয়। এখন সত্য কথা বলার মতো প্ল্যাটফর্ম নেই। কারণ দেশে একদলীয় শাসন চলছে। কেউ সত্য বলে সাহস পায় না। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালে আন্দোলনের সময় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এবং সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ।

রিজভী বলেন, বখাটেরা আর ক্যাসিনোর মালিকরা আওয়ামী লীগ করে। আমরা এখন এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। জনগণ এক রুদ্ধশ্বাস দিনযাপন করছে।

তিনি বলেন, পানির অপর নাম জীবন সেই পানিও আপনি খেতে পারবেন না। পানির শুল্ক ১০ শতাংশ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ওয়াসা তো দুর্নীতির হিমালয়। এই ওয়াসার এমডিকে কেউ সেখান থেকে সরাতে পারে না। উনি নাকি বিদেশ থেকেও অফিস পরিচালনা করেন, এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।

Advertisement

এসময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ ড্যাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত