Connect with us

বাংলাদেশ

নাক দিয়ে রক্তপাত রোগের নাম ‘নোজ ব্লিড ফিভার’

Published

on

কোভিড-উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি, এর মধ্যেই বিরল ভাইরাস ঘটিত রোগের আর্বিভাব। এতে গুজরাটে মৃত্যু হল ৫৫ বছর বয়সি এক মহিলার। আক্রান্ত আরও একজন।

আক্রান্ত রোগীর নাক থেকে অনর্গল রক্তপাতের কারণে ভাইরাস ঘটিত এই রোগটিকে ‘নোজ ব্লিড ফিভার’ বা নাক থেকে রক্ত পড়া জ্বর বলা হয়। বাইরের বেশ কিছু দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উদ্বেগ বড়াচ্ছিল এই ভাইরাস। ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ইরাকে। সেখানে ইতিমধ্যেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগের প্রকোপে। আক্রান্ত শতাধিক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, এই ভাইরাস ঘটিত জ্বরের আসল নাম, ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার। রোগ সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও টিকা নেই।

নোজ ব্লিড ফিভার এর উপসর্গ

১। মাথা যন্ত্রণা

Advertisement

২। তীব্র জ্বর

৩। লাল টকটকে চোখ

৪। পিঠে ব্যথা

৫। পেট ব্যথা ও বমি

৬। অস্থিসন্ধির ব্যথা

Advertisement

 

এই উপসর্গগুলি ছাড়াও, রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এই অবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায় রোগীর।

এ রোগ কী ভাবে ছড়ায়?

মূলত গবাদিপশুর দেহ থেকে এই রোগ মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গবাদিপশুর দেহে অবস্থিত উকুনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই রোগ। পাশাপাশি, পশু নিধনের পর যে রক্ত নির্গত হয়, সেই রক্ত থেকেও সুস্থ মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। তবে হঠাৎ কেন এই রোগের প্রকোপ এতটা বৃদ্ধি পেল, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহীসহ চারজনের রিমান্ড নামঞ্জুর

Published

on

পৃথক দুই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ চারজনের রিমান্ড ও জামিন বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম।

গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় পৃথক তিন মামলা করেন। মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেনে, প্রতিষ্ঠানটির আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান।

Advertisement

এই চার আসামির উপস্থিতিতে গুলশান ও বনানীর পৃথক দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামিন বাতিল চেয়ে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিবুল্যাহ হিরু, ঢাকা বারের সভাপতি আব্দুর রহমান রহমান, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন ও শাহিনুর রহমানসহ আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

বাদীপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুসহ আরও অনেকেই রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন বাতিল করেন এবং রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

স্থগিত ২৩ উপজেলায় ভোট কবে, জানালো ইসি

Published

on

ঘূর্ণিঝড় ও মামলাজনিত কারণে স্থগিত ২৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিন উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন। আর বাকি ২০ উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।

বুধবার (২৯ মে) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৮টি উপকূলীয় জেলা ও একটি পার্বত্য উপজেলার ভোট স্থগিত করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে চাঁদপুরের দুটি উপজেলা এবং সড়ক যোগাযোগ সমস্যার কারণে খালিয়াজুড়ীতে স্থগিত করেছিলাম।

মোট দুই দফায় ২২টি উপজেলা স্থগিত করা হয়েছিল। এছাড়া মামলাজনিত কারণে চান্দিনার ভোট স্থগিত করা হয়েছিল।

ইসি সচিব বলেন, আজকের তফসিল অনুযায়ী চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভোট হবে ৫ জুন। এছাড়া চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জের ভোটও ৫ জুন হবে। বাকি ২০টি উপজেলার ভোট হবে ৯ জুন, রোববার।

Advertisement

বাকি ২০টি উপজেলা হলো বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

‘শাহিনকে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে’

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনে হত্যার ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিনকে সনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহিন আমেরিকায় পলাতক। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। কিন্তু সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহিনকে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি সদরদপ্তরে আয়োজিত ‘ডাটাবেজ এন্ড এনালাইসিস অফ রোড ক্র‍্যাশ (DARC) সফটওয়্যার’ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো পলাতক চারজন। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়া মূল পরিকল্পনাকারী আমেরিকায় আখতারুজ্জামান শাহিন ও সহযোগী সিয়াম নেপালে পালিয়ে গেছেন। তদন্তের স্বার্থে ডিবি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির এনসিবির কাছে সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরো (এনসিবি)।

হাবিবুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্যকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে অর্থাৎ হত্যার মোটিভ কি? এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা ভারতীয় পুলিশ কেউই উদ্ধার করতে পারেনি। এটার যিনি ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তিনি এখন দেশের বাইরে রয়েছেন তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই হত্যার কারণ এখনো কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার করলেই কেবল এই হত্যার মোটিভ জানা যাবে।

শাহিনকে ফেরানোর ক্ষেত্রে কি ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের প্রচেষ্টা করা দরকার সেটির সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। যেহেতু তিনি (আনার) সংসদ সদস্য ছিলেন সুতরাং বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। যদিও আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সেই ধরণের চুক্তি নেই। তাই অন্য যে কোনো মাধ্যম বা কূটনৈতিক চ্যানেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি কাজে লাগানো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি বাংলাদেশের আইনে বিচার হতে পারে এবং ভারতে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে সেখানেও বিচার হতে পারে। সুতরাং এটি আমাদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

কলকাতা পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডে যে কয়েকজনের নাম এসেছে তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার চারজন ছাড়াও এখনো পলাতক চারজন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তিনজন এবং ভারতের কলকাতায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তাররা হন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ও সিলিস্তি রহমান। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ জিহাদ হাওলাদার নামে একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার দুই মাস আগে মুম্বাইয়ের অবৈধ অভিবাসী জিহাদকে পাঠানো হয়েছিল। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়।

সংসদ সদস্য আনার খুনের বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত আরও কমপক্ষে চারজনের নাম পেয়েছে দুদেশের পুলিশ। তাদের মধ্যে আখতারুজ্জামান, সিয়ামসহ চারজন এখনো ধরা পড়েননি। বাকি দুজন হলেন ফয়সাল আলী সাজী ও মো. মুস্তাফিজুর রহমান ফকির। দুজনই খুলনার ফুলতলার বাসিন্দা। ঢাকা ডিবির হাতে গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত তারা। দুজন বাংলাদেশে আছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত