Connect with us

রংপুর

শ্যালিকার বিয়ে অনুষ্ঠানে এসে দুলাভাইের মৃত্যু

Avatar of author

Published

on

মৃত্যু

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামে শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে দুলাভাই (জামাইবাবু) বিকাশ চন্দ্র সরকার (৪২) নামের এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গায়ে হলুদের দিনে বুকের ব্যাথা অনুভব হলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন দ্রুত ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভারতীয় নাগরিককে মৃত ঘোষনা করেছেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমিন আক্তার।

এ দিকে একমাত্র শ্যালিকার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বিয়ে বাড়িসহ এলাকায় চলছে শোকের ছায়া।  বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন স্ত্রী শেফালী রানী ও একমাত্র শ্যালিকা কাকলী রানীসহ শ্বশুরবাড়ীর লোকজন। নিহত ভারতীয় নাগরিকের বাড়ী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার পুন্ডীবাড়ী থানার দক্ষিণ খাপাইটারী গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মিলন চন্দ্র সরকারের ছেলে। বিকাশের মরদেহ ফুলবাড়ী হাসপাতাল থেকে রোববার রাত ১১ টার দিকে শ্বশুড়বাড়িতে নেয়া হয়েছে।

নিহত বিকাশ চন্দ্র রায়ের চাচা শ্বশুর ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় ও প্রতিবেশি দাদা শ্বশুর কিশোরী চন্দ্র রায় জানান, শ্যালিকার বিয়ে উপলক্ষে গেলো ১৭ দিন আগে জামাই বিকাশ চন্দ্র সরকার তার স্ত্রী শেফালী রানী রায় (৩৬) ও তিন বছর বয়সী ছেলে বিবেক চন্দ্র সরকারসহ তার শ্বশড়বাড়িতে আসেন।

তারা আরও জানান, ভাল মানুষ, বয়সও কম। বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এ ভাবে হঠাৎ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। পুরো বিয়ে বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের আনন্দ উৎসবটা একেবারে বিষাধে পরিনিত হলো। যেহেতু বিয়ের দিন তারিখ হয়েছে। কনের বাড়ি ও বরের বাড়িতে সব আত্মীয়-স্বজনরা এসেছে এবং এই দুর্ঘটনার খবরটি সাথে সাথে বর-পক্ষকে (নতুন আত্মীয়কে) জানানো হয়েছে। তাই তাদের সম্মতিক্রমে লগ্নমতো সোমবার রাতে বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হবে।

Advertisement

নিহত বিকাশের স্ত্রী শেফালী রানী (৩৫) কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, একমাত্র বোনের বিয়েতে এসে ভাল মানুষটাকে (স্বামী) হারাবো ভাবতে পারিনি। কোলে তিন বছরের দুধের শিশুটাকে বিভাবে মানুষ করবো ভগবান, তুমি একি করলে শ্যাষ পর্যন্ত মোর স্বামীকে কিরে নিলু ভগবান এভাবে বলতে বলতে স্ত্রী শেফালী বাকরুদ্ধ হয়ে হাসপালে চাচির বুকে ঘুমিয়ে পড়েন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ তার শ্বশুড়বাড়িতে আছে। কোন প্রক্রিয়ায় মরদেহ ভারতে যাবে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, পার্সপোট ভিসা করে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহাদয়কে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ফুলবাড়ী সীমান্তের লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন বিজিবির সদস্যদের মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ ফেরত দেয়ার বিষয়ে রাতে জানানো হয়েছে। আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত বিএসএফের পক্ষ থেকে কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে আশাকরছি দুপুরের মধ্যে মরদেহ ফেরত নেয়ার বিষয়ে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

Advertisement

দুর্ঘটনা

তদন্তকাজে বেরিয়ে সাপের কামড় খেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

দিনাজপুরের বিরামপুরে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) সাপের দংশনে আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিজুলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনা গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আব্দুর রশীদ। তিনি বিরামপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক শাহরিয়ার পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে বিষধর কোনো সাপ কামড় দেয়নি।

আহত এসআই আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, সকালে উপজেলার দিওড় বটতলি এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানতে পারি। দ্রুত সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে আহত ড্রাইভার ও হেলপারের নাম ঠিকানা লিখছিলাম। এ সময় চেয়ার বেয়ে একটি সাপ উঠে ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভালো আছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

সীমান্তবর্তী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে চালু হলো ভাসমান সেতু

Published

on

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা জিঞ্জিরাম নদীর ওপর একটি ভাসমান সেতু নির্মান করা হয়েছে হয়েছে। এতে  উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার চারটি গ্রামের পাঁচ  হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যম এ সেতুর উদ্বোধন করেন।

জানা যায়, রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারচর, চর বায়োলমারী গ্রামের তিন পাশে জিঞ্জিরাম নদী।  অপরপাশে রয়েছে ভারতের কাঁটাতার বেস্টিত সীমান্ত। গ্রাম দুটিতে প্রায় তিন হাজারের অধিক মানুষের বসবাস। এ ছাড়াও নদী ও ভারত বেষ্টিত ওই গ্রাম দুটির মানুষের পশ্চিম কাউয়ারচর, ধর্মপুর গ্রামে কৃষি জমি রয়েছে। তাই ফসল চাষাবাদের জন্য তাঁদেরকে প্রতিদিন নদী পার হতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এ এলাকার বাসিন্দারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে ঝুঁকির মধ্য নৌকায় পারাপার হয়ে আসছিল।

১২০ফুট দৈর্ঘ্যের এই ভাসমান সেতু নির্মানের ফলে তাদের সেই দুর্ভোগের অবসান হল।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ার ফলে বিজিবি সীমান্তে তাঁদের টহল জোরদার করতে পারবে। এত সীমান্ত দিয়ে মাদক ও চোরাচালান কমে আসবে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুলি আখতার বলেন, ছোট ছোট বাচ্চারা নৌকা করে স্কুল যেতো। নৌকা না পেলে সময় মতো স্কুল যেতে পারতো না।এখন পায়ে হেঁটে বাচ্চারা ঠিক মতো স্কুল যেতে পারবে।

মোখলেস মিয়া বলেন, কৃষি পণ্য নিয়ে বাজার যাওয়া অনেক কষ্ট ছিল। রোগী নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হতো। সাময়িক ভাবে ভাসমান সেতু হওয়ায় এই কষ্ট কমবে। তাঁরা এখানে স্থায়ী একটি সেতু চান।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ বলেন, প্রত্যন্ত ও সীমান্ত এলাকার মানুষ যেন সরকারের উন্নয়ন বঞ্চিত না হয় সেজন্য ভাসমান সেতু দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে সেখানে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা যায় কিনা সেই বিষয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষকের ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা

Published

on

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থানীয় বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায়  কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। এছাড়া প্রায় ৫০ হাজার কৃষক এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর বাড়ির ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার কৃষক ছমির আলী বলেন, তাঁর এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছেন না। আমন আবাদও মনে হয় এবার করা হবে না তাঁর।

একই এলাকার কৃষক মোস্তাফা বলেন,বন্যার পানি এখনো জমি থেকে নামেনি। অথচ বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার এলাকার কৃষক কেমন করে আবাদ করবে সে চিন্তায় তাদের দিন কাটছে।

Advertisement

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এ মুহূর্তে বন্যার কোন পূর্বাভাস নেই।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত